হাঁপানি — শ্বাসের জন্য লড়াই(এক)

হাঁপানির ধরণ ১.সবিরাম হাঁপানি এই ধরনের হাঁপানি নিয়মিত বিরতিতে আসে এবং যায়। ফলে মাঝের সময়টাতে রোগী স্বাভাবিক অনুভব করতে পারে। ২.অবিরাম হাঁপানি অবিরাম হাঁপানি মানে রেগীর বেশিরভাগ সময়ই উপসর্গ থাকে। লক্ষণগুলো হালকা, মাঝারি বা গুরুতর হতে পারে। ৩.অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি পরাগরেণু, পোষা প্রাণী এবং ধূলিকণার মতো অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ দ্বারা উদ্ভূত হয়। ৪.মৌসুমি হাঁপানি মৌসুমি হাঁপানি শুধুমাত্র বছরের নির্দিষ্ট সময়ে জেগে ওঠে, যেমনঃ খড় জ্বরের মৌসুমে বা যখন ঠান্ডা হয়। ৫.পেশাগত হাঁপানি

পেশাগত হাঁপানি হতে পারে যদি হাঁপানির উপসর্গ একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শুরু হয় এবং কর্মস্থলে না থাকার দিনগুলোতে হাঁপানির লক্ষণগুলো উন্নত হয়। ৬.নন-অ্যালার্জিক হাঁপানি নন-অ্যালার্জিক হাঁপানি এমন এক ধরনের হাঁপানি যা পরাগরেণু বা ধুলার মতো অ্যালার্জি উত্তেজকের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং অ্যালার্জিজনিত হাঁপানির চেয়ে কম লক্ষণীয়। ৭.ব্যায়াম উদ্ভূত হাঁপানি কিছু লোকের ক্ষেত্রে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হওয়া ছাড়াই হাঁপানির মতো উপসর্গগুলি শুধুমাত্র ব্যায়ামের মাধ্যমেই শুরু হয়। ৮.কঠিন হাঁপানি কখনও কখনও অ্যালার্জি সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর কারণে হাঁপানি পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন সেটা কঠিন হাঁপানির পর্যায়ে পড়ে। ৯.মারাত্মক হাঁপানি হাঁপানিতে আক্রান্ত প্রায় মাত্র ৪% লোক এই ধরনের হাঁপানিতে ভুগে। এটি গুরুতর হাঁপানি হিসেবে পরিচিত। দশ.শৈশব হাঁপানি হাঁপানি প্রায়শই শৈশবে শুরু হয়। হাঁপানি রোগে আক্রান্ত কিছু শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটির উন্নতি হয় বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের হাঁপানি কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর প্রথমবার হাঁপানি ধরা পড়ে। এটিই প্রাপ্তবয়স্কদের হাঁপানি হিসেবে পরিচিত। রাত্রি হাঁপানি এক্ষেত্রে হাঁপানির লক্ষণগুলো রাতে দেখা দেয় এবং লক্ষণসমূহ খারাপের দিকে যায়।