Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » কাদামাটি, দিয়ে বিশ্ব কবি , জাতীয় কবি সহ বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের অপূর্ব রূপ দিতেন মেহেরপুরের নাজাত রহমান খাঁন ( একুশ পর্ব)




কাদামাটি, দিয়ে বিশ্ব কবি , জাতীয় কবি সহ বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের অপূর্ব রূপ দিতেন মেহেরপুরের নাজাত রহমান খান ( একুশ পর্ব)

মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার পুরাতন বাস স্টান্ড পাড়ার বাসিন্দা নাজাত রহমান খান জন্ম: উনিশ শত চৌদ্দ সালে ও মৃত্যু: দুইহাজার চার ষালে ছিলেন একাধারে কবি, চারু ও কারুশিল্পী, পুতুলনাট্য পরিচালক, ফুটবলার, যাত্রাশিল্পী এবং নিঃস্বার্থ দানশীল এক মানবিক শিল্পস্রষ্টা। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার পলাশিপাড়া গ্রামে জন্ম নেয়া এই মানুষটি শিশু বয়স থেকেই কাদামাটি, কাগজ, কাঠ, সোলা, তুলা কিংবা গাছের পাতা—সবকিছুকেই রূপ দিতেন প্রাণবন্ত শিল্পকর্মে। তার সৃষ্টিশীলতায় যেমন ছিল রূপের বৈচিত্র্য, তেমনি ছিল অন্তরের গভীরতা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছেড়ে দিয়ে শিল্পের টানে বেছে নিয়েছিলেন ভিন্ন এক জীবন। মাটির গন্ধ, পাতার নকশা, তুলার কোমলতা—এসবই ছিল তার রঙ-তুলির ক্যানভাস। শিল্পই ছিল তার নিঃশ্বাস। তিনি নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন বিশ্ব কাব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কাজী নজরুল ইসলামসহ বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের প্রতিকৃতি, প্রাণীকুল ও প্রকৃতির অপূর্ব রূপকল্প। তাঁর কর্মজীবন কখনো প্রদর্শনীর রঙিন আলোকচ্ছটার সামনে আসেনি। কখনোই তিনি শিল্প বিক্রি করেননি। যা তৈরি করেছেন, তা-ই তুলে দিয়েছেন মানুষকে উপহার হিসেবে—মন্ত্রীর হাতে, শিল্পীর হাতে, এমনকি বন্ধুবান্ধবের হাতেও। একটি শিল্পকর্মের পেছনে তার শ্রম ছিল নিখাদ ভালোবাসা, মমতা আর শিল্প-উৎসর্গ। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সেই প্রতিভা যেমন পূর্ণরূপে বিকশিত হয়নি, তেমনি অজ্ঞাত থেকে গেছে অনেক অমূল্য সৃষ্টি। তিনি তুলার তৈরি কবুতর উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা ও জিয়াউর রহমানকে, সুলতানা রাজিয়ার যুদ্ধ প্রশিক্ষণের প্রতিকৃতি দিয়েছেন এরশাদকে, আর অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি তার কাছ থেকে পেয়েছেন নিঃস্বার্থ ভালোবাসার শিল্পস্মারক। কিন্তু যখন প্রয়োজন ছিল সামান্য সহায়তার, তখন তার চোখের আলো নিভে গিয়েছিল ভুল চিকিৎসায়। নাজাত রহমান খান ছিলেন একজন প্রকৃত শিল্পী—যিনি নিঃস্বার্থভাবে সৃষ্টি করে গেছেন মানুষের জন্য। দুঃখজনকভাবে, অনেক শিল্পকর্ম হারিয়ে গেছে, নদীতে ভেসে গেছে, কেউ কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে তার সৃষ্টিগুলো। তবুও তিনি থেমে যাননি। শেষ বয়সে মেহেরপুর শহরের একচালা ঘরে একাকী বসে গড়েছেন তার হৃদয়ের শিল্পকর্ম। একজন শিল্পীর জীবনের শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি হলো তার কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকা। এই সত্যের প্রতীক হয়ে আজও নাজাত রহমান খান স্মরণীয় হয়ে আছেন তার অনন্য শিল্পধারায়। তার পুত্র মশিউর রহমান খান (মজনু) ঠিকই বলেছেন—নাজাত রহমান খান রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের যোগ্য ছিলেন। তার সাহিত্যকর্ম এবং চারুশিল্প স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সংরক্ষণের দাবি রাখে। নতুন প্রজন্ম তার জীবন ও শিল্পকর্মের ভেতর দিয়ে খুঁজে পাবে সততা, নিষ্ঠা ও আত্মিক শিল্পের পথ। নাজাত রহমান খান ছিলেন নিঃশব্দে আলো ছড়ানো এক প্রদীপ—যার দীপ্তি আজও বিস্ময়ে উদ্ভাসিত করে সত্যিকারের শিল্পপ্রেমীদের হৃদয়। গ্রেটার কুষ্টিয়া নিউজ। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর। দুটি কবিতা নাজাত রহমান খান ১.শিল্পীর স্বপ্ন না -নামে আমি খাম হয়েছি, গর্ভে কিছু নাই, বকন গরু বাছুর না হলে বলে কি কেউ গাই ? জা - জানে সবেই শোনা আছে কবলে গাইএর কথা, কোথায় আছে, কে দেখেছে নয়কি মিথ্যা কথা ? ত- তর্কে যদি জিততে চাও, স্বপ্নে পেয়ে মানিক, রাজা হবে স্বপ্ন রাজ্যের (হবে)সাহারা মরুর বণিক র- রক্ত মাংশ হাড় শূন্য, মানুষ হয়েছে অনেক, কোথায় আছে ? কে দেখছে ?(বোলে) ভুল বুঝোনা ধনিক হ-হয় -হবো এই কথা নিয়ে, তর্ক করে যারা, মানুষ তাদের বলি যদি অমানুষ তবে কারা ? মা-মানুষ যাচ্ছে চাঁদের দেশে, মিথ্যা কথা কি এটা ? যেন মহা শূন্যে ও ছাদ আছে, মানুষ গড়বে চিলে কুঠা । ন-নগর হবে নাগর বুকে, সাগর হবে মরু, শিষ্য হবে শিক্ষা দাতা, ছাত্র হবে গুরু । খাঁটি সবই মাটি হবে, ভেজাল হবে জমা মাটি হবে সব কিছু, আখ হবে গেমা ২.প্রার্থনা না- না অধব্য হবনা সাহস দাও সহিবার দাও সকতি জা- জাগরন দাও আঘাতে আঘাতে নাহি যেন ভূলি ভকতি ত- তবু তাতে পাব শান্তি, যদি মুছে দাও ভূল ভ্রান্তি র- রহিম তোমার রহমত পেলে বোধ নাহি হবে ক্লান্তি হ- হক রুজিতে বরকত দিও, না হক দিওনা হৃদে মা- মানুষ করিয়া গড় না গরীব, তুমি থেকো মোর হৃদে ন- নমরুদ সম দেমাগ দিওনা, থাকি যেন সাদাসিদে খান- খান বাহাদুর পদও দিওনা চলি যেন মিলেমিশে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply