স্মৃতিতে অম্লান: নাসির উদ্দিন মিরু -মীর রওশান আলী মনা ১৯৫৭-৫৮ সালের দিকের কথা। তখন আমি খুবই ছোট। সবে আব্বাজান আমাকে বিএম প্রাইমারিতে মরহুম মৌলভী আব্দুল হাকিম সাহেবের নিকট ক্লাস টু তে ভর্তি করে দিয়েছেন। সেকেন্ড স্যার ছিলেন দাশুরথী ব্যানার্জী (দাশু স্যার)। ওই সময় হোটেল বাজারের ঐতিহাসিক পাকুড়তলায় একেবারে সদর রাস্তার পশ্চিম পাশে, একেবারে শনের মত সাদা চুল-দাড়িতে আচ্ছাদিত দুধ-সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরিহিত কেতাদুরস্ত (অবশ্য মাথার চুল খুব কম ছিল) আকবর আলী মন্ডল নামের দশাসই ভদ্রলোক চা-মিষ্টির দোকান করেছিলেন, তখন "রেস্টুরেন্টের"কথা চালু হয়নি। দোকান টা হলো এখন যেটা পলি ফার্মেসী ওই ঘরেই । তখন অবশ্য ঘরের চেহারা এখনকার মতো ছিল না । আমি কিন্তু পুরী-বুন্দে(বুদে) খাবার লোভে আব্বার সাথে মোটামুটি নিয়মিত এই দোকানে আসতাম। ওখানে কিশোর নাসির ভাই তথা মিরু ভাই কে আমি প্রথম দেখি ।ওই দোকানের মালিক বর্ষীয়ান আকবর আলি সাহেব ছ
িলেন নাসির ভাইয়ের দাদা হুজুর । তারপর আস্তে আস্তে পরিচয়, সখ্যতা শুরু হলো। নাসির ভাই কিশোর বয়স থেকেই সদাহাস্য, মিষ্টিভাষী ও সদালাপী ছিলেন। মাঝে মধ্যে ওই দোকানে নাসির ভাইয়ের মতোই গায়ের রং এবং তার থেকে খর্বকায় এক ভদ্রলোক আসতেন, যিনি কিনা তাঁর পিতা মহোদয় নকীবউদ্দীন মন্ডল । তারপর আস্তে আস্তে তাঁদের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে বিএম প্রাইমারিতে প্রাথমিক পাঠ শেষ করে আমি ১৯৬১ সালে মেহেরপুর মডেল হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হই। তখন নাসির ভাই নবম শ্রেণীর ছাত্র । ওই সময় নবম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা হতো। যতটুকু মনে আছে হামিদুর রহমান শিক্ষা নীতির বিপক্ষে অর্থাৎ মূলত নবম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের লক্ষ্যে তখনকার সিনিয়ার ছাত্র ভাইয়েরা,নবম-দশম শ্রেণীর মূলত, আন্দোলন গড়ে তোলেন। মাঝেমধ্যে আমরা জুনিয়ররাও একটু-আধটু অংশ নিয়েছি ওই আন্দোলনে। আন্দোলনের পুরোভাগে থাকতেন জলা ভাই, বাদল ভাই, নাসির ভাই, পটল ভাই, লিজ্জু ভাই, মেজবা ভাই, শহীদুল্লাহ ভাই প্রমুখ। হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন শ্রদ্ধেয় সাফদার আলী বিশ্বাস। ওই সময় গুলোতে হাইস্কুলে নিয়মিত বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (প্রতিযোগিতামূলক) অনুষ্ঠান হতো। এই অনুষ্ঠানে বাস্তবায়নে নাসির ভাই সহ উল্লেখিত বড় ভাইয়েরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করত । ২৩ যেটুকু স্মরণ করতে পারি মিরু ভাই ১৯৬৩ সালের যশোর বোর্ডের প্রথম ব্যাচ হিসেবে এস এস সি পাস করেন। এদিকে আমিও ১৯৬৭ সালে এস এস সি পাস করে মেহেরপুর কলেজে ভর্তি হই। কলেজে ভর্তি হবার পর নাসির ভাইয়ের সাথে সখ্যতা বেড়ে যায়। তাঁরই অনুপ্রেরণায় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি এবং রাশেদ খান মেনন ছাত্র ইউনিয়নের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাই।মেহেরপুর কলেজেও কিন্তু নিয়মিত বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো। সেবার সম্ভবত১৯৬৯ সালে "টিপু সুলতান" নাটকে শহীদুল্লাহ ভাই টিপু সুলতানের দারুণ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে অন্যান্যদের মধ্যে আমঝুপির শামীম ভাই, নূর ভাই, মেহেরপুরের জলা ভাই, মেজবা ভাই সুন্দর অভিনয় করেছিলেন। আর অন্তরালে নাসির ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অনন্য। পেছন থেকে প্যালা দিতাম আমি, সামাদ, মোস্তাক, কাজী বাচ্চু মেহেদী প্রমুখ বন্ধুরা। সেই সময় কলেজ জীবনের ছাত্র রাজনীতিতে-ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রলীগের গাঁটছাড়া ছিল অনন্য অসাধারণ। আন্দোলনগুলো ছিল পাক সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারি ছাত্র সংগঠন এন এস এফ এর বিরুদ্ধে সার্ভিস সংগঠন এম এস গ্রুপ। কলেজ উন্নয়নের বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন- ছাত্রলীগ ছিল একত্মায় একান্ত । ইত্যবসরে ১৯৬৭ এর মাঝামাঝি সময় নাসির ভাইয়ের নেতৃত্বে এবং আমাদের বন্ধুদের সহযোগিতায় "আমরা কজন সাহিত্য সংসদ" নামে একটি নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। যার উপদেষ্টা ছিলেন ডক্টর আব্দুল বাকি, ওস্তাদ মীর মোজাফফার আলী, সভাপতি মোঃ ইসলাম আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন মিরু, আমি ছিলাম যুগ্ম-সম্পাদক । অন্যদের মধ্যে ছিল আব্দুস সামাদ, মোস্তাক আহমেদ, কাজী বাচ্চু,আব্দুল মতিন-০১ ও ০২, তপন ভট্টাচার্য, অশোক পাল, মীর কালামুল ইসলাম বেনু, ওবাইদুল হক, আকরামুল হক, কাজী মোজাম্মেল হক প্রমুখ । এই সংগঠনটাই পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে "মধুচক্র"(সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন) নামে নব রূপে আত্মপ্রকাশ করে। পরিচালনা পরিষদ অপরিবর্তিত থাকে।মিরু ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা নিয়মিত সাপ্তাহিক ও মাসিক সাহিত্য বাসর, ধাঁধা ও সাধারণ জ্ঞানের আসর, চিত্রাঙ্কন ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করতে থাকি । সেইসাথে প্রত্যেক জাতীয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (আলোচনা, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি), বর্ষাবরণ, বর্ষবরণ, বসন্তবরণ, সর্বোপরি পাকিস্তান আমলের নজরুল জয়ন্তীতো বটেই, সেই সাথে রবীন্দ্র-মাইকেল-সুকান্ত জয়ন্তী অনুষ্ঠানও জাঁকজমকের সাথে পালন করতে সক্ষম হয়েছি। ১৯৬৬-৬৭ তখন থেকেই পাক-সামরিক জান্তা বিরুদ্ধে আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে, যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তেমনি ছাত্র রাজনীতির মধ্যেও । ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান মেহেরপুরে ওয়াপদা উদ্বোধন করতে আসেন এবং মেহেরপুর কলেজের সামনে তাঁর বিরোধী আন্দোলনের শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এখানেও ছাত্রলীগ ছাত্র ইউনিয়ন মোনায়েম বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এন এসএফ নেতা আব্দুল কুদ্দুসকে মেহেরপুর ছাড়া করা হয় ।এখানেও মিরু ভাই থেকে শুরু করে শহীদুল্লাহ, পটল, লিজ্জ ভাই সাথে আমি, সামাদ, মেহেদী, মোস্তাক সকলে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এইভাবে যতদিন যেতে থাকে ছয় দফা ও ১১ দফা আন্দোলন আরো জোরদার হতে থাকে । আন্দোলনের মুখে নতজানু হয়ে পাক সামরিক জান্তা নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ওই সময়ে মিটিং মিছিল গুলো "জেলের তালা ভাঙবো বঙ্গবন্ধুকে আনবো", "৬ দফা মানতে হবে মানতে হবে", "তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা", " মুক্তির একই পথ সশস্ত্র বিপ্লব", "দুনিয়ার সর্বহারা এক হও এক হও", "জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা স্বাধীকার দিতেই হবে দিতেই হবে," ইত্যাকার স্লোগানে স্লোগানে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হতো । আর সহিউদ্দিন সাহেব আমাদের পিঠ চাপড়ে দিতেন আর বলতেন ‘ভাই তোমরা এগিয়ে যাও বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলা-স্বাধীন করতেই হবে ।’ এরই মাঝে ১৯৭০ এর নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু মেহেরপুরে আগমন করেন এবং শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে জনসভা করেন বিশাল জনসমুদ্রের মাঝে । এই জনসভায় ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের ভূমিকা ছিল অনন্য অসাধারণ । অবশেষে বহু প্রতীক্ষার সাধারণ নির্বাচন ১৯৭০ অনুষ্ঠিত হলো । বাংলার অবিসম্বাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর-এর দল আওয়ামীলীগ আপামর জনগণের স্বতস্ফূর্ত ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে । এর ফলাফলে পাক-সামরিক জান্তার "মটকা" গরম হয়ে গেল । তাঁরা কোন মতেই বঙ্গবন্ধু তথা বাঙালির হাতে ক্ষমতা দেবে না। ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলে বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনার নামে সামরিক জান্তা টালবাহানা করতে থাকে । অবশেষে এল ২৫ শে মার্চের ভয়াল কালো রাত্রি তথা ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহর ১৯৭১ । বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় এবং শুরু হয় ঢাকাতে নিরীহ গণহত্যা। তাৎক্ষণিক সমগ্র দেশে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সমগ্র দেশ সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধে তথা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা যারা মধুচক্রের সাথে জড়িয়ে ছিলাম নাসির ভাই ডাকে সকলেই মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধে, ৩০ লক্ষ শহীদ ও এক লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলার আকাশে উদিত হয় মহান স্বাধীনতার লাল সূর্য । দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই নাসির ভাইয়ের নেতৃত্বে "মধুচক্র" আবার নতুন উদ্যমে তার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে পথ চলা শুরু করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম শহীদ দিবস মধুচক্রের ব্যবস্থাপনায় মিরু ভাইয়ের সম্পাদনায় "রক্তের স্বাক্ষর" নামের সংকলন প্রকাশ করি। পরের মাসে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে "রক্তলাল" নামের সাহিত্য সংকলন প্রকাশ করি । তাঁর অব্যাহতি পরেই কবি বিজয় লাল চট্টোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে নদিয়া থেকে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট (নারী-পুরুষ) সাহিত্য সাংস্কৃতিক দলের মধুচক্রের আমন্ত্রণে শুভেচ্ছা সফরে মেহেরপুর আগমন করে। তাদের সম্মানে "আগমনী" নামে এক মিনি সাহিত্য সংকলন প্রকাশ করি । নাসির ভাইয়ের তত্বাবধায়নে সম্পাদনা পরিষদ ছিলেন ইসলাম আলী, আব্দুস সামাদ, মীর রওশান আলী মনা, অশোক পাল, অমিতাভ বোস, মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ। তাদের থাকা-খাওয়া, কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজারের নিয়ে যাওয়া আসা এবং তাদের সম্মানে মেহেরপুর- কুষ্টিয়ায় আলোচনা, মতবিনিময় ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নাসির ভাইয়ের নেতৃত্বে। সহযোগিতায় ছিল সামাদ, আমি, মুস্তাক, অশোক পাল প্রমুখ। আর কুষ্টিয়ায় সহযোগিতা করেছিলেন আবুল আহসান চৌধুরী ও তাঁর সহযোগী বন্ধুরা । , অন্যদিকে ১৯৭৫-এ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে "মধুচক্র" এর আয়োজনে, নাসির ভাইয়ের তত্ত্ববধানে "মধুমেলা ৭৫" নামে চিত্র অংকন, ডাকটিকিট, মুদ্রা, নোট, ভিউকার্ড, প্রাচীন সামগ্রী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। আমার আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে সামনে রেখে তৎকালীন সংসদ সদস্য সর্বশ্রদ্ধেয় মরহুম সহিউদ্দিন সাহেব প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত প্রদর্শনী "মধুমেলা ৭৫" উদ্বোধন করেন। অবশ্য সঙ্গে আরও ক'জনা অংশগ্রহণ করেন। এইভাবে আরও চার/পাঁচ বার নাসির উদ্দিন মিরু ভাইয়ের নেতৃত্বে "মধুমেলা" অনুষ্ঠিত হয়। আনুমানিক ১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে নাসির ভাই সরকারি পাবলিক লাইব্রেরী লাইব্রেরিয়ান হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করেন এবং সম্ভবত১৯৮৭ সাল পর্যন্ত মেহেরপুরের অবস্থান করেন। পরবর্তীতে বদলির সুবাদে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, রংপুর, যশোর সরকারি পাবলিক লাইব্রেরীতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন । রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাহেবের সময় কালে রংপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারে বিশাল ভবন মিরু ভাইয়ের তত্ত্বাবধানেই নির্মিত হয় এবং এরশাদ সাহেব উক্ত গ্রন্থাগার ভবন উদ্বোধন করেন । পরবর্তীতে অবসর জীবনে তিনি মেহেরপুর এবং ঢাকা পালা করে অবস্থান করতেন। মৃত্যুবরণ করার বছর কয়েক পূর্বে স্ট্রোক জনিত কারণে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন এবং ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর । মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী,এক কন্যা, এক পুত্র, তিন আদরের নাতনি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান । মহান আল্লাহ পাক তাকে বেহেস্তে নসিব করুন । ছাত্র জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে এবং চাকরি জীবনে উনি কিন্তু শার্ট প্যান্টের সাথে পাঞ্জাবি পরতেন । আর সব সময় তাঁর কাঁধে একটা সাহিত্যিক ব্যাগ ঝুলতো। তারমধ্যে বই-খাতা-পত্র, কলম সর্বোপরি মূল্যবান ক্যামেরা থাকতো। লেখাপড়া তার জীবনে বড় শখ ও নেশা ছিল,সাথে ঘুরে ঘুরে প্রকৃতির ছবি তোলা। উনি সাইকেল ও পদব্রজে ঘুরতেন। বসে বসে খুব ভালো আসর জমাতেন, বিশেষ করে শামসুজ্জোহা পার্কে এবং পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরে আমাদের নিয়ে বিভিন্ন আলাপ আলোচনা, হাস্য-কৌতুক এর মধ্য দিয়ে খুব আসর জমিয়ে রাখতেন তিনি। তার মাঝে চলত সিঙ্গারা,চপ, মুড়ি, চানাচুর, বাদাম, চা ইত্যাদি। উনি কিন্তু প্রচুর জর্দা সহকারে পান চিবুতে ভালোবাসতেন। তাঁর বাড়িতে নিয়মিত আসর জমতো । আরেকটা কথা উল্লেখ না করলেই নয়। নাসির ভাই মেহেরপুর মহকুমা শিল্পকলা পরিষদ (পূর্বের মহকুমার আর্টস কাউন্সিল) এ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠার সাথে ১৯৮০ থেকে মেহেরপুর জেলার উন্নতি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত । পরবর্তীতে ৩১/০৮/১৯৮৪ থেকে ০৬/০৯/১৯৮৭ পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমী মেহেরপুরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় গুলোতে শুধু নয় ১৯৯১ আমি মীর রওশান আলী মনা যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি । যেহেতু আমি লিখিয়ে নই সে তো আমি বলছি যে, সর্বজনপ্রিয় নাসিরউদ্দিন মিরু ভাই সম্পর্কে লিখতে গেলে অল্প পরিসরে সম্ভব নয়। তার সম্পর্কে লেখার মত ঝুড়ি ঝুড়ি কথা পেটের ভেতর কিলবিল করছে। সব কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে গেল হয়তো। সর্বোপরি সমগ্র মেহেরপুর জুড়ে আপামর জনগণের কাছে তার একটি বিশেষ পরিচয় ছিল, সেটা হচ্ছে কাঁধে ঝোলানো সাহিত্যিক ব্যাগ, শনের মতো সাদা ইয়া বড় বড় গোঁফ এবং ঘাড় পর্যন্ত লম্বা লম্বা চুল, পাঞ্জাবি প্যান্ট পরা কালো মানিক ওই লোকটা তো???Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: