Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মেহেরপুরে নব্বই এর দশকের পর লেখক ও সাংবাদিক তাদের লেখনি দিয়ে মেহেরপুরের সাহিত্যঙ্গনের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছে (উনিশ পর্ব)




মেহেরপুরে নব্বই এর দশকের পর লেখক ও সাংবাদিক তাদের লেখনি দিয়ে মেহেরপুরের সাহিত্যঙ্গনের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছে (উনিশ পর্ব) তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মেহেরপুর শহরের বড়বাজারের সরকারী বালিকা বিদ্যালয় পাড়ার অধিবাসী ও মেহেরপুর ছহিউদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ ও মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মহসীন আলী আঙুর রচিত রচিতগ্রন্থ একাত্তরের এর কসাই পাক বাহিনী (বাইশ সালে), ছহিউদ্দিন এর সাফল্যে আলোকিত মেহেরপুর (বাইশ সালে)। মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল আমীন ধুমকেতু,তার রচিত গ্রন্থ আজাদ শাহের পদাবলী (২০০৯), ব্রাত্যজনের রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (বারো সালে ), বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি : মেহেরপুর (তেরো সালে) ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালির সম্প্রীতি সাধনা ও ভাটপাড়া নীলকুঠি ও উনিশ শতকের বাংলাদেশ ইত্যাদি। উনিশ শথ সাতাশি সালে নাফিজ উদ্দিন খানের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘পাতাবাহার’ নামে একটি সাহিত্য সংকলন । গফুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে প্রকাশিত পাতাবাহর ধারাপাত খেলাঘর আসরের উদ্যোগে প্রকাশিত হয় । ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুরের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। নতুন প্রজন্ম এগিয়ে এসেছে। তাদের লেখনি ও কমতৎপরতায় মেহেরপুর জাতীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে বিশেষভাবে নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছে।

মেহেরপুরের ছেলে নাফিজ উদ্দিন খান বাংলা সাহিত্য ও শিক্ষা অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সে মেহেরপুরের কাঁসারী পাড়ার কৃতী সন্তান। তাকে আমি ছোট ভাইয়ের মতো দেখি। তাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। সে শিক্ষক উন্নয়নে একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। সরলতা তার জীবনের অহংকার। ধর্ম ও সততা তার জীবনের চাবিকাঠি। সবার সাথে তার চমৎকার ব্যবহার এবং দাম্ভিকতার লেশমাত্র নেই তার জীবনে। তাকে আমি চিনি সেই ছোট বেলা থেকে। যখন সে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ছাত্র। আমি তখন মেহেরপুরে শিশু-কিশোরদের জন্য ধারাপাত খেলাঘর আসর প্রতিষ্ঠা করি। সংগঠনের কাজে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে গেলে সে এগিয়ে আসে এবং ধারাপাত খেলাঘর আসরের সদস্য হয়ে আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। তাকে আমি ধারাপাতের সাহিত্য সম্পাদক করি এবং পরে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আমাদের সভাপতি ছিলেন প্রয়াত আবদুল মতিন মাস্টার। আমাদের সাথে ছিলেন মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন মীরু, আবদুর রাজ্জাক মাস্টার,ননী গোপাল ভট্টাচার্য, মীর রওশন আলী মনা, আমার ক্লাসমেট পল্লব ভট্টাচার্য(তরুণ), আগাহেলালী মুক্তা, প্রলয় ভট্টাচার্য(তন্ময়), নাফিজউদ্দিন খান,আনোয়ারুল ইসলাম পাপ্পু, মানস চৌধুরী, সুতপা চৌধুরী রিংকু, মোস্তফা জাহিদ কামাল বিপু সহ অনেকে। নাফিজ তখন থেকে সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে থাকে। সে তখন ছড়া লিখতো সুন্দর। পরে সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে আমার রুমে তাকে রেখেছিলাম। ঢাকায় এসে আমার পত্রিকা অফিসে দিনের পর দিন আসা যাওয়া করেছে। মনে পড়ে আমার বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবেও সে উপস্থিত ছিল। আমার পরিবারে তার অবাদ বিচরণ।আমার পরিবারের সদস্যরা তাকে খুব ভালোবাসে। তবে তার বিয়ে ও বিভিন্ন স্থানে চাকরির কারণে আমাদের যোগাযোগ অনেক কমে গেছে। তবে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং ডাকলে সে এসে হাজির হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার শ্রদ্ধাভাজন সংবাদিক সৈকত রুশদীর দু‘টি অনুষ্ঠানে সে হাজির ছিল। কিছুটা শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন আর আগের মতো দৌড়াদৌড়ি করতে পারে না। তবুও সাহস করে এখানে ওখানে যায়। ক‘দিন আগে এক শুক্রবারে সকালে আমার বাসায় এসে হাজির হয়েছিল এবং বিকেল পর্যন্ত ছিল। ভালোই কেটেছিল সময়টা। তার রচিত একটি বই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কৃর্তক অনুমোদিত হয়েছে। সে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদ ও খানবাহাদুর আহছানউল্লা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে শিক্ষকতা করেছে। বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত শিক্ষা বিষয়ক অভিধান 'শিক্ষাকোষ'-এর অন্যতম লেখক সে। শিক্ষক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল রিডিং এসোসিয়েশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার হিসেবে বাংলাদেশ রিডিং এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেছে সে এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে। শিক্ষকদের জন্য ক্লাসরুম টিচিং নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছে। শিশু পঠন বিষয়ক একটি গবেষণার মাধ্যমে পি. এইচ. ডি সম্পন্ন করে। শিক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সম্মেলনে যোগদানের জন্য সে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়াসহ ২৪টি দেশ সফর করেছে। নাফিজ উদ্দিন খান আাশর দশকে মেহেরপুরে ছড়াকার, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সু-বক্তা হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলো। ৯০'র দশকে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে সে শিক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ে কর্মজীবন শুরু করে। সে ছেষট্টি সালে মেহেরপুরের কাঁসারী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা: মরহুম শামসুদ্দিন খান, মা:মরহুমা নোসেমা খাতুন। ১৯৭১ সালে মেহেরপুর বি. এম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করে। এরপর মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে এস.এস.সি ও মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে এইচ.এস.সি পাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে। বি. এম. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রণিতে অধ্যয়নকাল সে মেহেরপুরের 'মধুচক্র' আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাহিত্য -সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রবেশ করে। এরপর থেকেই মেহেরপুরের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তিনি নিয়মিত বিচরণ করতে থাকে। এসময় থেকেই সে ছড়া লেখা শুরু করেন এবং ছড়াকার হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে। মেহেরপুরসহ আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার তার অসংখ্য ছড়া প্রকাশিত হয়েছে। সে সময় সে বিতর্ক, বক্তৃতা, অভিনয়, গল্প বলা, বিজ্ঞান বিষয়ে উদ্ভাবন ইত্যাদি কর্মকান্ডে সেরা ছিল। সে মেহেরপুরে প্রতিষ্ঠিত ধারাপাত খেলাঘর আসরের সাহিত্য সম্পাদক ছিলো, পরবর্তীতে তিনি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিল। এক পর্যায়ে সে সাংবাদিকতা জগতে প্রবেশ করে। সে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ছিল। উচ্চ শিক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা করে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে। এ পর্যায়ে সে রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন জাতীয় ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় তার অসংখ্য সংবাদ ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। শিক্ষাজীবন শেষে সে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে যোগদান করে সিলেটের হাওর ও পাহাড়ি এলাকার নিভৃত পল্লীর পিছিয়ে পড়া দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করে। পরবর্তীতে সে ঢাকা আহছানিয়া মিশনে যোগদান করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ে কাজ করে। এখানে তার বেশকিছু বই প্রকাশিত হয়। সে নব্য সাক্ষরদের জন্য একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করে। এসময় সে নব্য সাক্ষর ও শিশুদের জন্য ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ (বীরশ্রষ্ঠদের কাহিনী), ‘কোন ফলের কী গুণ’, ‘চাঁদ সুলতানা’, ‘সমবায়ের গল্প’ ইত্যাদি বই রচনা করে। এখানে কর্মকালীন সে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষা অনুষদ থেকে বি. এড ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আই. ই.আর থেকে এম. এড ডিগ্রি অর্জন করে। সে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদে প্রভাষক হিসেবে কাজ করে। একই সাথে খানবাহাদুর আহছানউল্লা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজেও শিক্ষক হিসেবে কাজ করে। এসময় সে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ে বহু কার্যক্রম ও গবেষণা করেছে। শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়েন জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে কাজ করেন। শিক্ষকদের জন্য ক্লাসরুম টিচিং নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করে। শিশু পঠন বিষয়ক একটি গবেষণার মাধ্যমে পি. এইচ. ডি সম্পন্ন করে। শিক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সম্মেলনে যোগদানের জন্য সে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, আফ্রিকার মালি, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ, নেপাল, ভুটান ও কম্বোডিয়া ভ্রমণ করেন। বাংলাদেশের প্রথম সারির অধিকাংশ পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্য চর্চা ও লেখালেখি চলমান আছে। বর্তমানে সে শিক্ষা ও শিশুতোষ লেখালেখিতে সম্পৃক্ত। তার সাম্প্রতিক প্রকাশনা অ্যাকশন রিসার্চে শিক্ষকদের কর্মকৌশল নির্দেশিকা (অনুবাদ), পাহাড়ের কান্না ও লাউ চাষি বিনু (শিশুতোষ গল্প)। নাফিজ উদ্দিন খান একজন গুণী মানুষ। মেহেরপুরের প্রতি তার ভালোবাসা গভীর। তাই সে মাঝেমাঝে মেহেরপুরের চলে যায় এবং মেহেরপুরের পরিচিতদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ করে আসে। মেহেরপুর নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করে। এখন সে থাকে ঢাকার মিরপুর-১০-এ। নিজের ফ্লাটে স্ত্রী ও একপুত্রকে নিয়ে ভালোই আছে। তার স্ত্রী শিক্ষকতার সাথে জড়িত।স্ত্রী হেলেনা খাতুন ইংলিস মিডিয়াম স্কুল শিক্ষক, পুত্র নাজিব হাসান খান (নিহাল) কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষের ছাত্র। দোয়া করি, আল্লাহ যেন নাফিজকে দীর্ঘ হায়াত দান করে এবং শারীরিক সুস্থতা দান করে। লেখালেখি ও শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান অব্যাহত থাকুক লেখক গবেষক :গ্রেটার কুষ্টিয়া নিউজ এর সম্পাদক :মুহম্মদ রবীউল আলমঃ গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply