Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুরের সাহিত্য: কবি কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী




মেহেরপুরের সাহিত্য: কবি কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী (জন্মঃ ১১৯৮ বঙ্গাব্দ -ত্যুঃ ১২৫১ বঙ্গাব্দ) কাঁদেন ব্যাকুল হয়ে জগতের স্বামী -কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী কৃষ্ণনগর রাজসভায় একদিন সভাপন্ডিত রসরাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ীকে প্রশ্ন করলেন, ‘নিশিতে প্রকাশ পদ্ম কুমুদিনী দিনে।’ সভাসদগণ প্রশ্ন শুনে স্তম্ভিত। কিন্তু রসরাগর সাথে সাথে বললেন, ‘জয়দ্রথ-বধের প্রতিজ্ঞা পড়ে মনে, তপনে ঢাকিল চক্রী চক্র আচ্ছাদনে।। আকাশে উদয় নিশি উভয়ে না জানে। ‘নিশিতে প্রকাশ পদ্ম কুমুদিনী দিনে।’ প্রশ্ন হলো- ‘অমাবস্যা গেল, আবার পৌর্ণমাসী এল। উত্তর-‘ হা রে নিদারুণ বিধি, কত খেলা খেল। সংসারে যন্ত্রনা যত; হাভাতের ঘাড়ে ফেল।। বেতো রাগী কেঁদে বলে, কোন দিন বা ভাল? ‘অমাবস্যা গেল, আবার পৌর্ণমাসী এল। প্রশ্ন হলো- ‘শমর-ভবনে কেন তুমি অগ্রগামী? উত্তর-‘শক্তিশেলে লক্ষণ পড়েন রণভূমি। কাঁদেন ব্যাকুল হয়ে জগতের স্বামী।। শিক্ষা-দীক্ষা-বিবাহে সবার আগে আমি, শমন-ভবনে কেন তুমি অগ্রগামী? ২ বাঙ্গালীর মত কাঙ্গালী কে আর বাঙ্গালীর জল বায়ু অতি চমৎকার,- একবার সেবিলেই চক্ষু অন্ধকার। ম্যালেরিয়া ছারখার করিল এ দেশ ধনে প্রাণে ক‘রে দিল মানুষের শেষ। গলা ছিনে, পেট মোটা, পীলে ভরা তায়, চক্ষু দুটী ঢুকিয়াছে কোটরেতে হায়। এক মুটা অন্ন হেতু দুয়ারে দুয়ারে চাকরীর উমেদারী করিবারে ঘুরে। মাসে মাসে আসে যাহা-না তাহে কুলায়, কুড়ি দিন কাটে কষ্টে,-পরে নিরুপায়। স্বদেশী ফ্যাসান ছাড়ি’ বিদেশী ফ্যাসান ভাল বলিয়াই তার মনে অভিমান। দিশি চা‘ল ছেড়ে দিয়ে বিলাতের চা‘ল লইয়া বাঙ্গালী বাবু ঘটালে জঞ্জাল। বিলাতের ভাল টুকু করি’ পরিহার মন্দ টুকু লইয়াই মত্ত অনিবার। পৈতৃক মাছের ঝোল ভাল না লাগিল, কুক্কুটের বংশাবলী ধ্বংস করে দিল। বাবুয়ানা ষোল আনা, দেনায় অস্থির, ষোল আনা মিথ্যা বলি’ সাজে যুধিষ্ঠির। ধন্য ওহে কলিকাতা। এই বুঝি আমি,- যত কিছু ফ্যাসানের সৃষ্টিকর্ত্তা তুমি। এ রস-সাগর তাই বুঝিয়াছে সার,- ‘বাঙ্গালীর মত হায় কাঙ্গালী কে আর।’ কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী (জন্মঃ ১১৯৮ বঙ্গাব্দ — মৃত্যুঃ ১২৫১ বঙ্গাব্দ) রসসাগর উপাধিপ্রাপ্ত নদীয়ার রাজকবি।মেহেরপুর জেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের বাড়ীবাঁকা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই মুখে মুখে ছোট ছোট কবিতা রচনা করতে পারতেন। পরবর্তীতে দস্যু কর্তৃক পৈত্রিক সম্পদ লুণ্ঠিত হলে অর্থকষ্টে পড়েন এবং চাকুরির সন্ধানে কৃষ্ণনগর আসেন। তদানীন্তন রাজা গিরীশচন্দ্র তাকে মাসিক ত্রিশ টাকা বৃত্তিতে নদিয়া রাজপরিবারের সভাকবির পদ প্রদান করেন। সংস্কৃত, বাংলা, হিন্দী ও ফারসী ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। মুখে মুখে পয়ার, ত্রিপদী ও চতুষ্পদী ছন্দে কবিতা রচনা করতে এবং কেহ কোন সমস্যা দিলে তৎক্ষণাৎ তা কবিতায় পূরণ করতে পারতেন। মহারাজ তাকে ‘রসসাগর’ উপাধিতে ভূষিত করেন। নদীয়ার রাজা গিরিশচন্দ্রের সভায় হাস্যরসিক স্বভাবকবি হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন তিনি। সংস্কৃত, বাংলা, হিন্দি ও ফারসি ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন। মুখে মুখে পয়ার ত্রিপদী ও চতুষ্পদী ছন্দে সরস কবিতা রচনায় পারদর্শিতা দেখে মহারাজ তাকে রসসাগর উপাধিতে ভূষিত করেন। কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সাথে রসসাগরের বিশেষ হৃদ্যতা জন্মে, তিনি গুপ্তকবির প্রশংসায় 'ঈশ্বর গুপ্তের নাম লুপ্ত নাহি হবে' এই কাব্য রচনা করলে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তার সম্মানে 'রসসাগরের রস শুষ্ক নাহি হবে' কবিতা ততক্ষনাৎ রচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। কবি শেষ জীবন শান্তিপুরে মেয়ের কাছে অতিবাহিত করেন। রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ 'সমস্যা পূরান’। উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply