মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন কবি, রাজনীতিক, শিক্ষা ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক হিসেবে খ্যাত ছিলেন (উনসত্তরপর্ব ) তাঁর জীবন আদর্শ ও কর্মধারা প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষাবিদ ডঃ এ, এস, এম, আনোয়ারুল করীম লিখেছেন, জ দাউদ হোসেন প্রণীত যুগের সৃষ্টি মহামতি এরশাদ পান্ডুলিপিটি পড়বার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। জনাব দাউদ হোসেন একজন সুশিক্ষিত এবং বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম,এ ও এল, এল, বি পাশ করবার পর তিনি দেশ গড়ার কাজে গ্রামে ফিরে যান এবং সেখানেই অদ্যাবধি তাঁর অবস্থান। শহরে বসবাস কিংবা তাঁর জীবনধারা শহর কেন্দ্রিক করবার যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি গ্রামে থাকার সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত করেছেন। এখানে থেকেই তিনি গ্রামকে গভীর ভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন। গ্রামের মানুষের সুখ দুঃখের নিত্য সাথী হবার কারণেই বোধহয় তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হবার যোগ্যতাও অর্জন করেছেন। কাব্যের ভূমিকায় মোঃ দাউদ হোসেন লিখেছেন— “তোমার কীর্তি তোমার সৃষ্ট উপজেলা, আরো কীর্তি তোমাকে নিয়ে এ কাব্য লেখা।
এতে নেই কিছু আমার, সব কিছু যেনো তোমার। ছড়িয়ে দাও কাব্য গ্রন্থটি বাংলার ঘরে ঘরে, উন্নয়নের আমেজ লাগুক সবারই অন্তরে।” এটি শুধু একটি কাব্য নয়, বরং একজন জননেতার প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। দাউদ হোসেন ছিলেন এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী, যিনি শিক্ষা, সাহিত্য ও রাজনীতিতে সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মের জন্য একটি আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক, সৎ রাজনীতিক ও সমাজসেবক হিসেবে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কবি মোঃ দাউদ হোসেনের কবিতা ও পরিচিতি সংগ্রহ করেছেন গাংনীর কবি ও শিক্ষা ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। জন্ম ও শিক্ষাজীবন: দাউদ হোসেন পয়লা লা মে উনিশ শত উনচল্লিশ সালে মেহেরপুর জেলার চেংগাড়া গ্রামে এক ধর্মপরায়ণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে উনিশ শত সাতান্ন সালে তিনি মেহেরপুর মডেল হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং চৌষট্টি সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএলবি ডিগ্রিও লাভ করেন। ছাত্রজীবনেই তাঁর মেধা ও নেতৃত্বের গুণাবলি প্রকাশ পেতে থাকে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং রাজশাহী সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালেও ছাত্র রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শিক্ষা ও সমাজসেবা: উচ্চশিক্ষা অর্জনের পর, অনেকের মতো সরকারি চাকরি বা আইন ব্যবসার দিকে না গিয়ে তিনি নিজেকে কৃষিকাজ ও সমাজসেবায় নিয়োজিত করেন। শিক্ষা সংকটকালীন সময়ে তিনি নিঃস্বার্থভাবে গাংনী ও জোড়পুকুড়িয়া হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবন: মোঃ দাউদ হোসেন একজন জনদরদী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। উনআশি সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরবর্তীতে পচাশি সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলেন। সাহিত্য ও রচনা:একজন শিক্ষিত ও চিন্তাশীল ব্যক্তি হিসেবে তিনি সাহিত্যচর্চায়ও ছিলেন গভীরভাবে মনোযোগী। তাঁর রচিত “যুগের সৃষ্টি মহামতি এরশাদ” নামক কাব্যগ্রন্থটি রাষ্ট্রপতি এইচ. এম. এরশাদের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ। বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. এ. এস. এম. আনোয়ারুল করীম এই গ্রন্থের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এটিকে একটি ব্যতিক্রমধর্মী কাব্যগ্রন্থ হিসেবে অভিহিত করেছেন। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর। এক গুচ্ছ কবিতা - মোঃ দাউদ হোসেন ১. তোমাকে ফোটাতে আমার প্রথম প্রয়াস, লিখতে অনুভূতিতে আসে ঘন ঘন ফরমাস- ফোটাব তোমাকে তোমার অবিকল, যদিও কেটেছে আমার অলেখায় অনেক কাল । উঠেছে কর্মের ঝংকার পালিয়েছে 'তলাহীন বাংলাদেশ' সবই তোমার পরিকল্পনা তোমারই আদেশ । উঠেছে তোমার হৃদয়ের গভীর ব্যঞ্জনা, পরায়েছো বাংলাদেশকে নব উন্নয়নের গয়না । উন্নয়নের আসর জমাতে তবলা ও হারমোনিতে দিয়েছো হাত, বংশী বাজাতে যদিও কেউ নেই তোমার সাথ । অজানা কোন দূর থেকে এসেছে বুঝি বংশী বাদকের সুর, তোমার মাঝে তারই অবস্থান, নয় বেশী দূর। ২. তোমার চিন্তা মনের মাঝে করে কিল বিল লিখতে যেয়ে না হয়েছে ভাব ভাষা ছন্দের মিল । মূল্যায়নে যা বুঝেছি তাই লিখেছি, যদিও নেই আমি তোমার কাছাকাছি। সংযোজনে রয়েছে সত্যের কাড়াকাড়ি, নেই কোন কিছুর বাড়াবাড়ি। যে আলোয় ভরেছে আমার মন, সেইতো তোমার উন্নয়নের দর্শন। তোমার স্বরূপ জনগণের কাছে দিলাম ভুলে, তারা যেনো তোমার দর্শন না যায় ভুলে। ৩. তেমন কোন কবি নই আমি, থাকি উপজেলায়, সারাটা দিন কাটে আমার বারো ঝামেলায়। তবুও আমি লিখতে চাই মনে প্রাণে, ভাব ও ভাষা আসেনা যে লিখি কেমনে ? কলম ধরতে যাই অতি সাহস করে, কবিত্ব শক্তি নেই যে আমার লিখবো কি করে। আল্লাহ তুমি সহায় হও, দাও কবিত্ব শক্তি, দেশের কথা লিখতে যেয়ে যেন থাকে অসীম ভক্তি। প্রথমেই লিখছি আমি এরশাদকে নিয়ে, বর্তমানে দেশ গড়া হচ্ছে তাকে দিয়ে। রাস্তার মাঝে ব্রীজ হলো, উঠলো কত দালান কোঠা, তাই দেখে অবুঝেরা মারছে কত খোঁটা। গ্রামের মাঝে কাজের জোয়ার, লোক থাকেনা বসে, পেট ভরে খাচ্ছে ভাত কতই মনের সুখে। প্রবর্তনে শিক্ষানীতি, শিল্পনীতি, ভূমি সংস্কার, জনগণের দিয়েছে এরশাদ কতো অধিকার । দেশ গড়ার কাজে সে কতো দূরদর্শী, হট্টগোলীরা খেয়ে ফেলেছে তাঁর যাদুর বড়শী। খেলাও তাদের, হাঁপাও তাদের, রাখো সংরক্ষণে, জনগণ রাখে যেনো তাদের সমালোচনার অংগনে। সে নম্র, ভদ্র, উদারতার এক অবতার। নিত্য নূতন তাঁর কাছে যাচ্ছে কত অবতার। স্বল্প সম্পদে হচ্ছে অনেক সমস্যার সমাধান এ যে তাঁর একক বলিষ্ঠ অবদান মূল্যায়ন হবে যে তাঁর অতি শীঘ্র, দেশে যদি না বাধে যুদ্ধ বিগ্রহ। ৪. আমাদের রাষ্ট্রপতি - এরশাদ মহামতি, সে ছাড়া জনগণের নেই কোন গতি উন্নয়নের দ্বারে সে দিচ্ছে কত উকি, সামনে তার কত শত ঝুঁকি । চিন্তা করছে সে মনে মনে, পা বাড়াচ্ছে সে কত সাবধানে। চলেছে সে মুক্তা পেতে উজান নদীতে, আল্লাহ তার সহায় হও আশা পুরাতে। উন্নতিতে ভেসে যাক আপদের যত খড়কুটো, ঝড়ের সাথে লড়াই করে রাখে সে ফলের বোঁটা। আল্লাহ তাঁর শান্তি দাও ক্লান্ত দেহে, আল্লাহ তাঁর আলো দাও চলার পথে। ৫. ক্ষমতার লোভে, শ্লোগান দিয়ে, ক্ষমতা যদি চাইবি- তাহলে মরীচিকার পিছনে পিছনে ধাইবি। নিজেরা হবি হয়রান, ক্ষয় করবি দেশের লোকজন, এনিয়ে যুগে যুগে সমালোচনা করবে কত জন । কর্মসূচী বিঘ্নিত হবে, কমবে মনোবল, ছিটকিয়ে যাবে অচিরে সব দলবল। ক্ষমতা যদি পেতে চাও দেশকে ভালবাসো, মাঝে মাঝে দুঃখী জনের কাছে যেয়ে বসো। জনগণকে ভালবাসা কত যে ভালো, এতে ঘুচবে মনের যতো কুটিল কালো। ফজলুল হক, জিন্নাহ সাহেব, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এদের আগে দৃষ্টান্ত দেখালেন বাংলার নবাব আলীবর্দী। জ্ঞানী হও, ত্যাগী হও, দেশকে ভালবাসো, তারপরে রাজনীতিতে স্থান নিয়ে মৃদু মৃদু হাসো। ঐ হাসিতে মিষ্টি আছে, আছে আকর্ষণ, এই পথে মহামতি এরশাদ করেছে গমন এইরূপ কর্মসূচীতে আছে নেতৃত্ব, ভোটের মাধ্যমে জনগণ দেবে কর্তৃত্ব। ৬. এরশাদ ! এরশাদ !! আসছে দিন তোমায় নিয়ে কত জনে করবে গবেষণা, থিসিস লিখতে যেয়ে তারা করবে নূতন আলোচনা । জন্মে ছিলে সময়ের কোন এক শুভক্ষণে, বাংলা গড়ার বীজ ছিলো কি সেই দিনে ? শৈশব খেলার মাঝে ছিলে কি চিন্তায়, মুখমন্ডলে উঠত কি বাংলা গড়ার বিজয় ? থাকতে আমি চাহি তোমার সাথে, ক্ষণে ক্ষণে পারি যেন তোমায় বুঝতে। শিষ্য না হলে গুরুর কথা বলা যায় কেমনে, কত কথা লিখব আমি তোমায় বিহনে। তাল ছাড়া সুর যেমন উঠেনা, তোমার কাছে বসা চাড়া তোমায় বোঝা যাবে না।Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
Education
»
others
» মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন কবি, রাজনীতিক, শিক্ষা ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক হিসেবে খ্যাত ছিলেন (উনসত্তরপর্ব )
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: