Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মেহেরপুরের চাষিরা নীলচাষ অনীহা হলে লাঠিয়াল দিয়ে আমঝুপি, ভাটপাড়া, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া এলাকার জমি থেকে ধানের চারা উপড়ে ফেলা হয়েছে।( আটচল্লিশ পর্ব)




মেহেরপুরের চাষিরা নীলচাষ অনীহা হলে লাঠিয়াল দিয়ে আমঝুপি, ভাটপাড়া, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া এলাকার জমি থেকে ধানের চারা উপড়ে ফেলা হয়েছে।( আটচল্লিশ পর্ব) নীলচাষ অপেক্ষাকৃত উর্বর জমিতে ভালো হয়। তাই যেসব উর্বর জমিতে ধান চাষ হয়, সেই সব জমিতে নীলকররা চাষিদের নীলচাষ করতে বাধ্য করে।ইংরেজ কোম্পানি নীলচাষে বিপুল পুঁজি বিনিয়োগ করে মেহেরপুরের আমঝুপি, ভাটপাড়া, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া, নীলকুঠি স্থাপিত হয়তাছাড়া বেশ কয়েক বছর নীলচাষ করলে উর্বর জমি ক্রমে অনুর্বর হয়ে পড়ে। এইসব কারণে চাষিরা নীলচাষ করতে রাজি না হলে তাদেরকে লাঠিয়াল দিয়ে ধরে এনে নীলচুক্তিতে জোর করে সই করানো হত এবং সামান্য অর্থ দাদন হিসেবে দেওয়া হত। এরপরেও চাষিরা না মানলে তাদের জমি থেকে ধানের চারা উপড়ে ফেলা হয়। ফলস্বরূপ যেখানে চাষিরা ধান চাষ করে জমিদারের প্রাপ্য রাজস্ব মিটিয়েও বাকি অংশ খোরাকি হিসেবে ব্যবহার করত বা বাজারে বিক্রি করতে পারত, সেখানে নীলচাষ করে চাষিদের রাজস্ব প্রদানের টাকাই উঠত না। ব্লেয়ার কিং তাঁর গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে, খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করলে চাষির আয় হত সাত টাকা। অন্যদিকে নীলচাষ করলে আয় হত এক-তৃতীয়াংশের কম। এদিকে ধান চাষ না হওয়ায় বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে চাষিদের খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকাটাই দুষ্কর হয়ে ওঠে। । গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply