Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মেহেরপুরের চাষিরা নীলচাষ অনীহা হলে লাঠিয়াল দিয়ে আমঝুপি, ভাটপাড়া, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া চাষিদের কুঠিতে আটকে রেখে নির্বিচারে বেত্রাঘাত করত ( পঞ্চাশ পর্ব )




মেহেরপুরের চাষিরা নীলচাষ অনীহা হলে লাঠিয়াল দিয়ে আমঝুপি, ভাটপাড়া, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া চাষিদের কুঠিতে আটকে রেখে নির্বিচারে বেত্রাঘাত করত ( পঞ্চাশ পর্ব ) নীলকররা নীলচাষের জন্য চাষিদের দাদন বা অগ্রিম অর্থ প্রদান করত। দাদনের টাকা নেওয়ার সময় নীলচাষিদের শর্তসাপেক্ষে চুক্তিপত্রে টিপ সই দিতে হতকোনো নীলচাষি নীলচাষ করতে না চাইলে অথবা দাদন নিতে অস্বীকার করলে নীলকররা মেহেরপুরের আমঝুপি, ভাটপাড়া, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া, চাষিকে কুঠিতে আটকে রেখে নির্বিচারে বেত্রাঘাত করত। জমিবাড়ি, গবাদি পশু, চাষের সরঞ্জাম সব কেড়ে নিত। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিত এবং পরিবারের মহিলা সদস্যদের উপরও নির্যাতন করত। অত্যাচারিত নীলচাষিরা আদালতে গিয়েও সুবিচার পেত না। কেননা, নীলকররা অর্থ দিয়ে বেশিরভাগ ম্যাজিস্ট্রেটদের কিনে নিয়েছিল। তখন আইন ছিল নীলকরদের স্বার্থরক্ষার জন্য, চাষিদের সুবিচার প্রদানের জন্য নয়। তাছাড়া পুলিশ, প্রশাসন সবই ছিল নীলকরদের পক্ষে। এইভাবে কত কৃষককে যে ভিটেবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে এবং নীলকুঠির গুদামে অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে সকরুণ মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। বর্শাবিদ্ধ করে গুম করা হয়েছে। এরকম নীল পদ্ধতিকে আমি রক্তপাত পদ্ধতি মনে করি।” জোর করে নীলচাষে বাধ্য করার জন্য কৃষকদের শুধু যে গুদামে বন্দি করা হত তাই নয়, তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা যাতে এই হতভাগ্যদের কোনো খোঁজ খবর না পায়, সেজন্য তাদের এক কুঠি থেকে অন্য কুঠিতে ঘোরানো হত। চাষিদেরকে নীলকররা চৌদ্দ কুঠির জল খাওয়ানোর ভয় দেখাত। কেদারনাথ মজুমদার তাঁর ‘ময়মনসিংহের ইতিহাস’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, কিং সাহেব নীল বুনতে অস্বীকার করায় একজন নীলচাষির মাথা মুড়িয়ে তাতে কাদা মেখে নীলের বীজ বুনে দিয়েছিলেন। নীলের চারা বেরোনো পর্যন্ত তাকে সেভাবেই থাকতে হয়েছিল।”গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply