Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মোহাঃ ফজলুল হক (জন্ম ৩১ জানুয়ারী ১৯৪৮ সাল) লেখক,কবি,গীতিকার




মোহাঃ ফজলুল হক (জন্ম ৩১ জানুয়ারী ১৯৪৮ সাল) লেখক,কবি,গীতিকার ও রোভার স্কাউটস-এর সফল সংগঠক। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক। মোহা: ফজলুল হকের প্রবন্ধ ও কবিতা রাবিতে আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতি -মোহা: ফজলুল হক আমার একটা আত্ম অহংকার আছে।১৯৬৯ সালে আমি তখন অনার্স শেষ করে এম,এস-সি শেষ বর্ষের ছাত্র। ঐ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ছিলাম।১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় পাকিস্তানি

সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন ড.. শামসুজ্জোহা। অধ্যাপক আবু সাইদ, সরদার আমজাদ হোসেন,জুলফিকার মতিন,আব্দুর রহমান প্রমুখ ছাত্র নেতারা আমাদের নেতৃত্ব দিতেন।যেদিন জোহা স্যার শহীদ হন তার আগের দিন, ১৭ তারিখ রাজশাহি শহরের ঘড়ি ঘরের সামনে টেলিফোন অফিসের কাছে ছাত্রদের সাথে পাক বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা হয়,কয়েকজন ছাত্রকে ধরে নিয়ে সোনাদীঘির মোড়ে তাদেরকে বেধে রাখা হয়। জোহা স্যার ঐদিন বিকালেই পৌরসভার সামনে থেকে তাদেরকে মুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনেন। মূর্খ সৈনিকরা স্যারকে বড় একজন ছাত্র নেতা ভেবেছিলো, পরদিন গেটের সামনে আবারও স্যারকে দেখে হয়তবা ভেবেছিলো এই লোকটাই নটের গুরু। তিনি যে প্রোক্টর, সেকথার মানে জানতো না। ১৭ তারিখ সন্ধ্যা বেলা আ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ের পশ্চিম পাশে কিসের একটা অনুষ্ঠানের জন্য প্যান্ডেল করাছিলো।শহরের গোলগুলির সংবাদে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মধ্যে দারুন উত্তেজনা দেখা দেয়। ঐ প্যান্ডেলের নিচে একে একে ছাত্ররা জড় হতে থাকে। দেখা দেখি অনেক প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দও যোগ দেন। আজও মনে পড়ছে ড: ইবনে গোলাম সামাদ তার যাদূকারী কথার মাঝে বলেছিলেন, তোমরা এগিয়ে যাও,মনে রেখ রাত যত গভীর হবে, প্রভাত তত এগিয়ে আসবে। এসময় জোহা স্যার হন্ত দন্ত হয়ে ছুটে এসে আমাদের সাথে যোগ দিয়ে শহরের অবস্হা বর্ননা করলেন।স্যারের গায়ে শহরের আহত ছাত্রদের রক্তের দাগ লেগেছিলো।উনি বলেছিলেন,ছাত্রদের গায়ে গুলি লাগার আগে আমার গায়ে গুলি লাগবে। ঠিক হলো, রাতে মিছিল না করে সকালে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল বের করতে হবে। সেই মত ছাত্ররা জড় হতে লাগলো, নির্মাণাধীন মেইন গেট দিয়ে দু‘জন দু‘জন করে চার পাঁচ ফিট দরত্ব বজায় রেখে বের হবার চেষ্টা করতেই সেনাবাহিনীর বাঁধার মুখে পড়লাম। আমি বলেছিলাম না? আমার একটা আত্ম অহংকার আছে। মিছিলে ছাত্রদের মধ্যে প্রথমেই ছিলাম আমি আর কুষ্টিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম কিচলু। পরের ঘটনা অনেক লম্বা, নাই বা লিখলাম। প্রচার বিমুখ এই মানুষটার মনেই গেঁথে থাক সব কিছু। চারটি বেড়ে উঠা সতেজ ইউক্যালিপ্টাসের কোলে নিজ হাতে মাটি দেয়ার সেই স্মৃতি,মনের ক্যানভাসে অমর হয়ে থাকবে আমৃত্যুকাল। হে আল্লাহপাক, তুমি তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করিও। মোহা: ফজলুল হকের কবিতা ১.হিসাবে গরমিল “জেল খাটা নির্ভিক সমাজ সেবক। -বি.টি.সি র মোড়ে এই তো সেদিন কি পাদানিই খেল পাবলিকের হাতে। ছিনতাই কালে । পাকানো লাল রক্ত চোখ -অনেক সাধনার ধন, পেশী বহুল বক্ষ এবং হাত, অমোঘ অস্ত্রসম তিনি, মিছিলের আগে, যেন ঋষি বরের শব্দভেদী বাণ । বিচারের রায়.... আমৃত্যু জেল দূর....................................... অ্যান্টি বায়োটিক আপীল আছে, দূর্ভেদ্য জেলের প্রাচীর গলে গলে পড়ে। কারা মুক্তির দিন ... পাবলো পিকাসো-র ছবি- রাজপথ লোকারন্য, ট্রাফিক জাম, ফুরুৎ ফুরুৎ বাঁশী, গাড়ী ঘোড়ার গিয়ার চেঞ্জ সে এক মহোৎসব - বেশ মজাই লাগে" শালার পাবলিক তাতেও হাততালি মারি । ২ সখিনার দেশে একাত্তর থেকে বিরানব্বই, সে তো অনেক বছর হল । সখিনা, সখিনারা আজও তেমনি আছে, চির অপরিবর্তনীয় । বিবর্তন শুধু, শরীরে পড়েছে ভাঁজ । সেই কবেকার কথা....... ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল । ঘোরতর অপরাধ তার, এতিম সখিনা, বীরাঙ্গনা হল । বিজয় দিবসে যখন মুক্তিযোদ্ধা দল, ফিরছিল ঘরে, মিছিলে মিছিলে যখন প্রকম্পিত দেশ, সখিনার দু-চোখ শুধু ফিরছিল খুজে একই মায়ের স্তনে লালিত জীবন সখিনার ভাই, নাই ... নাই........নাই একাত্তর থেকে বিরানব্বই, সে তো অনেক বছর হল, নাই ! সখিনা, সখিনারা আজো বস্তিবাসী, পাথর ভাঙ্গে । হাতুরির আঘাতে আঘাতে ভাবে....... আবার মিছিল হবে। মিছিল আসতেই হবে। বীরাঙ্গনার সন্তানেরা কাপুরুষ হবে ? না........না..........না সখিনার সন্তানেরাই মুক্তিযোদ্ধা হবে । আবার ......আবার মুক্তি যুদ্ধ হবে । মোহাঃ ফজলুল হক (জন্ম ৩১ জানুয়ারী ১৯৪৮ সাল) লেখক. কবি,গীতিকার ও রোভার স্কাউটস-এর সফল সংগঠক। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। মোহাঃ ফজলুল হক ছাত্র জীবন থেকে স্কুল ম্যাগ্যাজিন ও কলেজ ম্যাগাজিনে লেখালেখি শুরু করেন। মূলত তিনি কবিতা, ছোট গল্প ও গান লিখে থাকেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে রাজশাহী বেতারে স্টুন্ডেস ফোরামে অংশ গ্রহণ করতেন। রাজশাহী বেতারের ঐ অনুষ্ঠানে প্রচার হত কথিকা। এ ছাড়া সৈয়দপুর কলেজে অধ্যপনা করার সময় রংপুর বেতারে শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন। জন্ম ঃ মোহাঃ ফজলুল হকের পিতা ঃ মৃত কফিলউদ্দীন, গ্রাম : মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর। তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৪৮ সালের ৩১ জানুয়ারী মুজিবনগর উপজেলার গোপালনগরে মাতৃতালয়ে। শিক্ষা : মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু হয়। এরপর পাবনার ঈশ্বরদীতে এসএম হাইস্কুলে ভর্তি হন এবং মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে পাবনার এ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচ. এস.সি. এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে সম্মান ও এম.এস.সি ডিগ্রী অর্জন করেন। চাকরী জীবন : শিক্ষা জীবন শেষে মোহাঃ ফজলুল হক সর্ব প্রথম দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ কলেজে ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে রংপুরের সৈয়দপুর কলেজ ও মেহেরপুর সরকারি কলেজে সহকারি অধ্যাপক এবং রাজবাড়ি কলেজে ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে সহযোগি অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে অবসর নেন ২০০৬ সালে। মোহাঃ ফজলুল হক মেহেরপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি মেহেরপুর জেলা রোভার স্কাউটস এর সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি দীর্ঘ কাল মেহেরপুর জেলা রোভার স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক ও কমিশনার।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply