Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুরের সাহিত্য: নিলুফার বাশার: (জন্ম২০ আগষ্ট ১৯৬৪),কবি,লেখক,সমাজসেবক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব




মেহেরপুরের সাহিত্য: নিলুফার বাশার: (জন্ম২০ আগষ্ট ১৯৬৪),কবি,লেখক,সমাজসেবক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এক গুচ্ছ কবিতা -নিলুফার বাশার ১.স্বাধীনতা

৪৮ বছর হয়ে গেলো স্বাধীনতার বিশুদ্ধ বাতাস পেলোনা জানালা দক্ষিণের চারিদিকে শোনা যায় শুধু চিৎকার নাক ভিজে আসে পচা মাংস আর গন্ধ রক্তের অবাক হয়ে ভাবি আমরা কি সেই বাঙালি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যুদ্ধ করেছি ছিনিয়ে এনেছি লাল সূর্য যেটা আজ বড়ই মলিন দূষিত হয়ে ফিকে হয়েছে তার লালিমা বাংলার আকাশ বাতাস চিৎকার করে বলছে মুক্ত করো লাল সবুজের পতাকাটাকে মুক্ত করো। ২.দানব সাজানো গোছানো বাগান হঠাৎ করে এক হায়েনার আগমন এক ব্যাধী নামক দৈত্য হানা দিলো বাগানটা তছনছ করে দিয়ে গেলো সারাক্ষণ ভয়ে অন্তর উঠে কাঁপি আবার সে হানা দিবে নাকি হারিয়ে গেছে প্রাণবন্ত হাসি আমি যে তোমায় খুব ভালোবাসি মনের আকাশ জুড়ে শুধু মেঘ ক্ষণে ক্ষণে বাড়ার উদ্বেগ আল্লাহ ভালো রেখো তাকে একাকী কারোনা কখনো আমাকে। ৩.দুঃখের চাঁদর মন ছেয়ে গেছে কষ্টের মেঘে চোখ থেকে চলে গেছে ঘুম। মনকে বলি কাঁদিস কেন? জীবন তো এমনই হয়। সুখ দুঃখ সেতো জীবনরেই অংশ মনের আকাশের মেঘ কান্না করিয়ে ধুয়ে দেয় কষ্ট বিশাদের চাদরে মন ঢেকে যায় ৷ তবুও মন থাকে আশায় দুঃখ লুকিয়ে মন সকলকে হাসায় তবুও বলি মন তুই কেন কাঁদিস । কেন তুই সকলকে ভালবাসিস মন বলে পাগল ভালবাসাতো এমনি সুখের আড়ালে কষ্ট রয়। ৪.বাবা তুমি কেমন আছো তোমায় ছাড়া কেমনে ভালো থাকি আজকাল তোমায় কেন যেন বেশি মনে পড়ে কেন তুমি স্বার্থপরের মত আমায় গেলে ছেড়ে বলতে তুমি যাসনে কোথাও আমায় ছাড়ি এখন কেন আমায় ছেড়ে একা দিলে পাড়ি খুব খুব কষ্ট বাবা এই বুকে মনে হয় শুয়ে থাকি তোমার কোলে মাথা রেখে কেউ বলে না ঠান্ডা লাগবে গায়ে দাও চাদর তোমার মতো কেউ করেনা আমায় আদর ঘুম আসেনা দু‘চোখে কেন গেলে ছাড়ি আমিও বাবা তোমার কাছে আসবো খুব তাড়াতাড়ি। নিলুফার বাশার: (জন্ম২০ আগষ্ট ১৯৬৪),কবি,লেখক,সমাজসেবক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। মেহেরপুর বন্ধুসভার সভাপতি,ও মেহেরপুর উন্মুক্ত পাঠগৃহের আজীবন সদস্য।তিনি ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর এর নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য। তিনি মেহেরপুর ইনার হুইল নামক এক আন্তর্জাতিক ক্লাবের সভাপতি ছিলেন।এখনো ক্লাবের সাথে জড়িত। নিলুফার বাশার মেহেরপুর জেলা শহরের হোটেল বাজারস্থ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম নিজাবত হোসেন এর পরিবারে ১৯৬৪ সালের ২০ আগষ্ট জন্ম গ্রহণ করেন। মা গৃহিনী।জন্ম এবং বেড়ে ওঠা মেহেরপুরে এবং মেহেরপুরের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। মরহুম নিজাবত হোসেনের ৩ সন্তানের মধ্যে প্রথম ১ পুত্র সন্তান ও ২ কন্যা সন্তানের মধ্যে নিলুফার বাশার ১ম কন্যা সন্তান। মেহেরপুর সরকারি কলেজে বি.এ অধ্যায়নকালে ১৯৮৫ সালের ১৩ মে চাঁদবিলগ্রামের মুন্সি হারুন উর রশীদের সেজ ছেলে ডাঃ এম.এ. বাশার এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মেহেরপুর থেকে কবি-সাংবাদিক মেহের আমজাদ জানান, মেহেপুরের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ নিলুফার বাশার । কৈশোর থেকেই এই কবির পদচারণা ছিলো সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে। স্কুল জীবনে তিনি স্কুল ম্যাগাজিনে লেখালেখি সহ স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যলয় থেকে। এরপর এস.এস.সি পাশ করেন মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এস.এস.সি পাশ করার পর তিনি ভর্তি হন মেহেরপুর সরকারি কলেজে। মেহেরপুর সরকারি কলেজ (১৯৭৮-১৯৮৪) থেকে এইচ.এস.সি এবং বি.এ পাশ করেন। মেহেরপুর সরকারি কলেজে অধ্যায়নকালে মূলত এ কবির কবি প্রতিভা সুধিজনের কাছে প্রশংসিত হয়। তিনি মেহেরপুর সরকারি কলেজের সাহিত্য ম্যাগাজিনে লিখতেন এবং কলেজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতেন। দুই পুত্র সন্তানের জননী নিলুফার বাশার এর ১ম সন্তান এ.বি.এম নাহিদুজ্জামান বি টি সি এল এর ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে ঢাকায় কর্মরত আছেন এবং ছোট ছেলে এ.বি.এম তাসফিকুজ্জামান চ্যানেল ২৪ এর প্রডিউসার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। নিলুফার বাশার শুধু কবিই নন তিনি একজন ভালো সংগঠক। তিনি প্রথম আলো বন্ধু সভার মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন । বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ তথ্য মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর মেহেরপুর জেলা কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন এবং মেহেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর এর নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য। প্রচার বিমুখ এ কবির কবিতা স্কুল কলেজের সাহিত্য ম্যাগাজিন সহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের সাহিত্য ম্যাগাজিন বিশেষ করে “ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর ” এর শিল্প সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা “ স্রোত এ নিয়মিত প্রকাশ হয়ে থাকে । এ কবির কবিতা পড়ে কখনও রোমান্টিকতা,কখনও প্রতিবাদী চিন্তা চেতনার মাঝে এবং কখনও প্রকৃতি প্রেমে হারিয়ে যেতে হয়। কবি নিলুফার বাশার এ পর্যন্ত দুই শতাধিক কবিতা লিখলেও তার কোন বই প্রকাশ হয়নি। তবে আগামিতে বই প্রকাশ করবার ইচ্ছা রয়েছে বলে তিনি জানান । কবি নিলুফার বানুর স্বামী ডা: আবুল বাসার মেহেরপুরের গরীবের ডাক্তার হিসাবে খ্যাত জনপ্রিয় চিকিৎসক,সমাজসেবক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply