Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » সতোরো শতাব্দিতে মুরশিদাবাদের নবাব আমলে নবাবের উত্তরাধিকারী রাজু ঘোষানী দস্যুভয়-নিবারণের জন্য মেহেরপুরের গড়ের পুকুরের নীচে একটি 'পাতালঘর' নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন ( সাতাত্তর পর্ব)




সতোরো শতাব্দিতে মুরশিদাবাদের নবাব আমলে নবাবের উত্তরাধিকারী রাজু ঘোষানী দস্যুভয়-নিবারণের জন্য মেহেরপুরের গড়ের পুকুরের নীচে একটি 'পাতালঘর' নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন ( সাতাত্তর পর্ব) মুরশিদাবাদের নবাবের উত্তরাধিকারী রাজু ঘোষানীর দস্যুভয়-নিবারণের জন্য মেহেরপুরের

গড়ের পুকুরের নীচে একটি 'পাতালঘর' নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন ; সেই পাতালঘর কিরূপ দীর্ঘ ও কতদূর বিস্তৃত ছিল, তাহা জানিবার উপায় নাই। আমাদের বাল্যকালে এই গড়ের কিয়দংশ খুড়িয়া দেখা হইয়াছিল । শুনিয়াছিলাম,মেহেরপুরের গড়ের নীচে একটি 'পাতালঘর' নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন ; সেই পাতালঘর কিরূপ দীর্ঘ ও কতদূর বিস্তৃত ছিল, সেই সময় মেহেরপুরের কোন ইংরাজ সিভিলিঘান ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে এই কার্যা আরম্ভ হইয়াছিল ; ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরিত্যগ করিয়া অক্সফোর্ডে আমাদের দেশীয় ভাষার অধ্যাপক ইন্দ্র সেন” নিযুক্ত হইয়াছিলেন ৷ তিনি সদাশয় ও দেশীয়দের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন রাজ-পুরুষ ছিলেন। আমরা বাল্যকালে গড়-বাড়ীর ভূগর্ভস্থ অংশ কিছু কিছু পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছিলাম | ছোট ছোট পাতলা ইট বহুদূর পর্যন্ত প্রসারিত ছিল । তাহা দেখিয়া পাতালঘরের ছাদ বলিয়াই মনে হইয়াছিল, কিন্তু ছাতের নীচে যে অংশ ছিল, তাহা কোন দিন খুঁড়িয়া দেখা হয় নাই। দীর্ঘকাল তাহা একই ভাবে পড়িয়াছিল। এতকাল পরে তাহা খুড়িয়া দেখিলে পাতালঘরের অনাবিষ্কৃত অংশের সন্ধান হইতে পারে ; কিন্তু সে জন্য আর কেহ কোন চেষ্টা করেন নাই । মুরশিদাবাদের কোন নবাব শিকার উপলক্ষে নদীপথে মেহেরপুর আসিয়াছিলেন নবাব রাজু ঘোষানীর গৃহে অতিবাহিত করিয়া পরিতৃপ্ত ঘোষানীরকে পুরস্কার দিয়েছেন অতঃপর নবাব বাহাদুরের আদেশে রাজু ঘোষানীর গো-চারণের জন্য বিনা করে একটি বৃহৎ পরগণা প্রদত্ত হইল ; রাজু ঘোষানীর নামানুসারে এখন সেই পরগণা “রাজপুর পরগণা' নামে পরিচিত রাজু ঘোষানীর মৃত্যুর পর তাহার উত্তরাধিকারীরা “গোয়ালা চৌধুরী' নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। যে দুইজন বর্গী মেহেরপুরের গড়ের পুকুরের অদূরবর্তী বনের ভিতর ঘুরিতেছিল, তাহারা সেই ভৃত্যকে দেখিবামাত্র তাহাকে ধরিয়া বাঁধিয়া ফেলিল এবং তাহাকে উৎপীড়িত করিয়া গুপ্ত তথ্য জানিবার চেষ্টা করিল ; কিন্তু বিশ্বস্ত ভূত) শত অত্যাচারেও নিব্বকি রহিল | তখন ক্ষুদ্ধ বগী পদাতিকদ্য় ধৈর্যচ্যুত হইয়া তাহার মুন্ডুচ্ছেদ করিল । অতঃপর কি হইল, সে সম্বন্ধে দুই প্রকার জনরব শুনিতে পাওয়া যায় । একটি জনশ্রুতির জানা এই যে, বর্গী দস্যুদ্ধয় সেই ভূত্যের পরিচ্ছেদ খানাতল্লাস করিয়া পাতালঘরের চাবী দেখিতে পায় এবং পাতালঘরের দ্বার আবিষ্কার করিয়া, সহযোগীবর্গকে ডাকিয়া আনিয়া সদলে পাতালঘরে প্রবেশ করে; তাহারা পাতালঘরের অধিবাসিবর্গকে হত্যা করিয়া তাঁহাদের সর্বস্য লুণ্ঠন করিয়া প্রস্থান করে। দ্বিতীয় জনরবের মর্ম এই যে, প্রহরীকে হত্যা করিয়াই তাহারা সেই স্থান ত্যাগ করে। প্রহরীর মৃত্যুতে পাতালঘরের অধিবাসীরা সেই রুদ্ধগৃহে আবদ্ধ থাকিয়া ক্ষুৎপিপাসায় প্রাণত্যাগ করিলেন । বস্তুতঃ, এ কাল পর্যস্ত পাতালঘরের গুপ্তরহসা ভেদের কোন ব্যবস্থা হয় নাই। যে স্থান খনন করিয়া প্রায় পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে পাতালঘরের চিহ্ন লক্ষিত হইয়াছিল, সেই স্থান খনন করিলে হয়ত একালেও কোন কোন আবিষ্কার হইতে পারে । শুনিয়াছি, আমার কোন পূর্ববপুরুষ দিনাজপুর অঞ্চল হইতে মেহেরপুর আসিয়া গোয়ালা চৌধুরীকে দেওয়ানী পদে গ্রহণ করেন । তাঁহারা গড়বাড়ীর অদূরে বাসগৃহ নির্ম্মাণ করিয়া সেখানে বাস করিতেছিলেন : কিন্তু বর্গীর হাঙ্গামায় গোয়ালা চৌধুরীরা নির্ববংশ হইলে তাঁহারা মেহেরপুরের প্রায় দুই ক্রোশ দূরবর্তী বসন্তপুর শ্রামে গৃহাদি নির্ম্মাণ করিয়া সেই স্থানেই বাস করিতে আরম্ভ করেন। মেহেরপুরে শাস্তি স্থাপিত হইলে তাঁহারা পুর্ণবার মেহেরপুরে প্রত্যাগমন করেন । তাঁহারা বসস্তপুরের যে স্থানে বাস করিতেন, সেই স্থানে একটি পু্করিণীর শেষ চিহ্ন এখনও দেখিতে পাওয়া যায়; পুষ্করিণীর অদূরে এখনও উচ্চভিটা পড়িয়া আছে, কিন্তু ইষ্টকালয়ের চিহ্নমাত্র নাই, মার্টী খুড়িলে অনেক ইট পাওয়া যায়। গোয়ালা চৌধুরীদের গড়বাড়ী গ্রামের মধ্যে সর্ব্বাপেক্ষা প্রকাশ্য স্থানে অবস্থিত।”বৃটিশ আমলের খ্যাতনামা লেখক, দীনেন্দ্রকুমার রায়: গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply