Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » মেহেরপুর সদর উপজেলায় ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক গত ছয় মাস ধরে এসব ক্লিনিকে কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না।




মেহেরপুর সদর উপজেলায় ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক গত ছয় মাস ধরে এসব ক্লিনিকে কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। মেহেরপুর সদর উপজেলায় ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক বাসিন্দারা কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। কারণ গত ছয় মাস ধরে এসব ক্লিনিকে কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। প্রেসার ও ডায়াবেটিস মাপার গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতি না থাকায় অনেক ক্লিনিক বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এতে অনেকেই সেবা নিতে এসে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এমনিই একজন সদর উপজেলার শ্যামপুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মনোয়ারা খাতুন। আর্থিক সংকটের কারণে বিনামূল্যে ওষুধের আশায় শ্যামপুর কমিনিটি ক্লিনিকে বারবার এসে ফিরে যাচ্ছেন ৬৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ‘দুই দিন ধরে আসছি। কিন্তু দায়িত্বরত কাউকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রবিউল ইসলাম দীর্ঘদিন আসছেন না এখানে। সে জন্য তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। অপরদিকে আলমপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাপ্রার্থীরা জানান, গত ছয় মাস ধরে তারা কোনো ওষুধ পাচ্ছেন না। মৌখিক পরামর্শ নিয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নাহিদা সুলতানা জানান, প্রেসার ও ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্রগুলো নষ্ট। এভাবে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরে সর্বশেষ ওষুধের বরাদ্দ দেওয়া হয়। বেশির ভাগ কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ গত জানুয়ারিতেই শেষ হয়ে গেছে। ফলে ওষুধ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা। একই অবস্থা মেহেরপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের। অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের জন্য বরাদ্দ আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট শেষ হয়েছে মাস দুয়েক আগে। ফলে সেবা নিতে আসা মা ও শিশুদের জন্য ওষুধ দেওয়া বন্ধ রেখেছে প্রতিষ্ঠানটির ফার্মেসি বিভাগ। এ সম্পর্কে উপজেলা প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান মেহেরপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের ফার্মেসি বিভাগের সাইফুজ্জামান। সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের বিপ্লব বলেন, শুধু গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ও ভিটামিন ছাড়া আর কোনো ওষুধ পাচ্ছি না। জ্বর কিংবা ঠাণ্ডাজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।’ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সমিতির মেহেরপুর জেলা সভাপতি ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘২৭ প্রকারের ওষুধের বরাদ্দ থাকলেও এখন রয়েছে মাত্র ৪ থেকে ৫ রকমের। প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস পর পর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩ কার্টন করে ওষুধ দেওয়া হয়। অনেক ক্লিনিকের বেশির ভাগ ওষুধ গত ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে জানানো হয়েছে।’ এ বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বলেন, ওষুধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেসব ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন না তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply