Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » নারকেল গাছের শত্রু সাদা মাছি নিয়ন্ত্রন করবেন যেভাবে




নারকেল গাছের শত্রু সাদা মাছি নিয়ন্ত্রন করবেন যেভাবে দেশের বিভিন্নস্থানে নারকেল গাছে ব্যাপক আকারে সাদা মাছির আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে রাতারাতি পাতা সাদা হয়ে যাচ্ছে। ছোট হচ্ছে নারকেলের আকার। ভেতরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। নারকেল গাছের পাতা সাদা হওয়ায় যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর. খুলনা, বাগেরহাটসহ বিভিন্নস্থানে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে যে নারিকেল গাছগুলো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু না এটি পোকা-মাকড়ের আক্রমণ। এটিকে সাদা মাছি বলা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বরাতে জানা গেছে, ইকোলজিক্যাল ভারসাম্য ভেঙে যাওয়ায় পোকা-মাকড় আবাসস্থল হারাচ্ছে। তাদের খাদ্য শৃঙ্খলা না থাকলে বা কোনো উপাদান ঘাটতি হলে নতুন আশ্রয়স্থল খোঁজে। এতদিন যে ফলমূলে সাদা মাছির উপস্থিতি দেখা যেত, এখন তা নারকেল গাছে দেখা যাচ্ছে। সাদা মাছির জীবন বৈচিত্র হচ্ছে পাতা ও কচি ডাবের নরম অংশে ক্ষত করে রস চুষে খায়। তারা নিজেদের রক্ষার্থে তুলার মতো আবরণ তৈরি করে। এর আগে বিভিন্নস্থানে নারকেল গাছে ইরিওফাইট গ্রিরোনিট নামক এক ধরণের মাকড়ের আক্রমণ বিস্তার লাভ করে।

ইংরেজিতে এই সাদা মাছিকে ‘Rugose Spiralling Whitefly’ অথবা সংক্ষেপে ‘আরএসডব্লিউ (RSW)’ (বিজ্ঞানসম্মত নাম: Aleurodicus rugioperculatus Martin) বলা হয়। বাংলায় একে সাধারণভাবে ‘নারকেলের সাদা মাছি’ বলতেই পারেন। যেহেতু, এই প্রজাতিটি বিজ্ঞানী মহলের কাছে বেশ নতুন, ফলে এদের সম্বন্ধে খুব বেশি তথ্য এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। এর আদি নিবাস অবশ্য মধ্য আমেরিকা। উত্তর আমেরিকার বেশ কিছু কীট বিশেষজ্ঞ এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর জানার জন্যে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাদা মাছি সনাক্তকরণ পাতার নিচের অংশ থেকে রস শুষে খেয়ে ফসলের প্রভূত ক্ষতিসাধন ছাড়াও এরা অনর্গল ‘হানি ডিউ’ অথবা আঠাল মধুর ন্যায় মিষ্ট তরল নিঃসরণ করতে থাকে। এই ‘হানি ডিউ’ আশে পাশের এবং নিচের পাতায় পড়ার পর তার উপর ‘ব্ল্যাক শুটি মোলড’ বা কালো রঙের ছোপ বিশিষ্ট ছত্রাক বাসা বাঁধে। এর ফলে গাছের পাতার উপরিভাগ সম্পূর্ণ কালো আস্তরণে ঢেকে যায় এবং তা গাছের সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় বাঁধা প্রদান করে। নারকেলের সাদা মাছির পূর্ণাঙ্গ দশা সাধারণ সাদা মাছির তুলনায় ৩ গুণ (প্রায় ২.৫ মিলিমিটার) বড় হয় এবং এরা বেশ অলস প্রকৃতির। একটি পূর্ণাঙ্গ মাছির ডানার রঙ সাদা হয় এবং অগ্রভাগের ডানায় হালকা বাদামী রঙের ছোপ দেখতে পাওয়া যায়। পুরুষ মাছির দেহের নিম্নভাগে সাড়াশির ন্যায় গঠন দেখতে পাওয়া যায়। সাদা মাছির জীবন চক্র ত্রী মাছি পাতার নিম্নভাগে বৃত্তাকার অথবা সর্পিলাকার নকশায় ডিম পাড়তে থাকে। এরপর নিজেদের ডিমগুলিকে সাদা রঙের মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঢেকে দেয়। ডিমগুলি দেখতে অনেকটা উপবৃত্তাকার এবং হালকা সাদা থেকে হালকা হলুদ বর্ণবিশিষ্ট হয়ে থাকে। দেখা গেছে, একটি পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী মাছি অনেকসময় অ-উদ্ভিদ উপরিভাগ যেমন, বাড়ির দেওয়াল, গাড়ির উপরিভাগ, জানালা এবং কাঁচের মতো মসৃণ সমতলেও নিজেদের ডিম পেড়ে থাকে। এই সাদামাছির জীবনচক্রে মোট পাঁচটি দশা রয়েছে। ডিম ফুটে বেরোনোর পর প্রথম দশাটিকে প্রথম ইন্সটার দশা অথবা ক্রলার দশাও বলা হয়। এই দশাতে এরা এদের মুখের অগ্রভাগে সূচের ন্যায় অঙ্গ দিয়ে পাতার রস শুষে খায়। এর পরের অপরিণত দশাতে এরা চলাফেরা করা বন্ধ করে দেয়, এবং এদের গঠন পরিবর্তন হয়ে ধীরে ধীরে গোলাকার হতে থাকে। নিম্ফ দশায় এরা প্রায় ১-১.৫ মিলিমিটার দীর্ঘ এবং সোনালি বর্ণের হয়ে থাকে। এই দশায় এরা নিজেদের শরীরের চারিপাশে মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে সুতোর ন্যায় গঠন দিয়ে একপ্রকার জাল বুনতে থাকে এবং তা ধীরে ধীরে ঘন হতে থাকে। এর পর অর্থাৎ পিউপা দশায় এরা রূপান্তরিত হয়। সাধারণত এদের এই দশা দেখেই এদের সঠিক ভাবে সনাক্ত করা হয়ে থাকে। সাদা মাছি নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল » যেসব পাতায় কালো ছোপ বা ‘Black Sooty Mould’ রয়েছে, সেখানে ১% স্টার্চের দ্রবণ স্প্রে করুন। স্টার্চ শুকিয়ে গেলে তা পাঁপড়ের মত কালো ছোপ গুলি সমেত উঠে আসবে। » বাগানে প্রতি নারিকেল গাছে হলুদ রঙের আঠালো ফাঁদ বা Yellow Sticky Trap ব্যবহার করুন। » বাগানে বন্ধু পোকা/natural predator নিয়ে আসুন। » প্রকোপ খুব বেশি হলে পাতায় এবং গাছের কাণ্ডে ০.৫% নিম তেলের মিশ্রণ স্প্রে করতে পারেন। » যেহেতু, এটি নতুন ধরনের একটি কীট, তাই কোনভাবেই একই কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না। একই রাসায়নিক বারংবার ব্যবহার করলে এরা সহজেই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। তার ফলে পরবর্তীকালে তাদের নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়তে পারে। যদি, নিম তেল প্রয়োগে একান্তই সুফল না পাওয়া যায়, তবে এই নিম্নলিখিত, রাসায়নিকের মিশ্রণ যেমন- Acephate ৫০ + Imidacloprid ১.৮ SP (১ মিলিলিটার/লিটার জলে), Buprofezin ১৫ + Acephate ৩৫ WP (১ মিলিলিটার/ লিটার জলে) অথবা Thiamethoxam ১২.৬ + Lambda cyhalothrin ৯.৫ ZC (০.৫ মিলিলিটার/ লিটার জলে) আঠা সহযোগে ব্যবহার করতে পারেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply