Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক চিকিৎসা




মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক চিকিৎসা ডা. চিরঞ্জিব বিশ্বাস সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, মনোরোগ বিভাগ মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকা সারা সবসময় হাসিখুশি থাকে । বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া,মোবাইলে গেম খেলা,নতুন নতুন বই পড়া, ঘুরতে যাওয়া এবং গান শুনা তার সবচেয়ে প্রিয়। তবে,ইদানীং মাঝে মাঝে মাথা ব্যথার তীব্রতা তার সব আনন্দকে পিছনে ফেলে দেয়। তীব্র মাথা ব্যাথা হলে তার কিছুই আর ভালো লাগে না, সে একটি অন্ধকার ঘরে চলে যায়, যেখানে কোনও আলো, শব্দ বা উদ্দীপনা নেই। কারন এসবে তার মাথা ব্যাথা আরও বেড়ে যায়৷ প্রথম মাইগ্রেনের আক্রমণ: একদিন সারা তার প্রিয় বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যায়। সেখানে সবাই অনেক খাচ্ছিল, চকোলেট কেক, এবং কোক পান করেছিল। সবকিছুই দারুণ চলছিল, কিন্তু এসব খাওয়ার পরে হঠাৎ তার মাথা একটি অদ্ভুত ভাবে ব্যথা করতে শুরু করে। সে বমি করে ক্লান্ত হয়ে যায়। খুব খারাপ লাগে পরে সে বাসায় চলে আসে সেখনে না থেকে। দ্বিতীয় মাইগ্রেনের আক্রমণ : সারার সামনে পরীক্ষা তাই মাথায় পরীক্ষা নিয়ে অনেক টেনশন। রাত জেগে সে পড়াশোনা করছে তাই রাতের ঘুম কম হচ্ছে, পড়ালেখার টেনশনে তার ক্ষুধা কমে গেছে,খাওয়া দাওয়া বিশ্রাম ঠিকমতো হচ্ছে না। মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে ঠিক সেদিন রাতেই সে আবার আগের মতো তীব্র মাথা ব্যাথা শুরু হলো, চোখ তাকিয়ে থাকতে পারছে না, শুরু হলো বমি তার সাথেই ক্লান্তিভাব। দুর্ভোগের দিনগুলো: মাইগ্রেনের কারণে তার রাতের ঘুম বিঘ্নিত হতে শুরু করে। ডাক্তারের কাছে যেয়ে ওষুধ শুরু করে। সাথে বিভিন্ন খাবার না খাওয়ার চেষ্টা, ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন করা, এবং খালি হাতে ব্যায়াম করার চেষ্টা করলে আস্তে আস্তে ব্যাথার তীব্রতা কমে আসে কিন্তু পুরোপুরি কমে না। এবারের সিদ্ধান্ত: এক সন্ধ্যায়, তার মা তাকে বললেন, “সারা, তুমি যদি মাইগ্রেন নিয়ে মোকাবেলা করতে চাও, তাহলে তোমায় কিছু পরিবর্তন করতে হবে।” সারা সিদ্ধান্ত নিলো যে সে তার জীবনশৈলী সঠিকভাবে পরিবর্তন করবে। সে মাইগ্রেন ট্র্যাকার অ্যাপ ব্যবহার করে এবং তার মাথাব্যথার ট্র্যাক রেখেই খাবারের অভ্যাস পরিবর্তন শুরু করে। সমাধানের পথে: কিছু মাস পর, সারা বুঝতে পারলো যে কিছু খাবার যেমন চকোলেট, ক্যাফেইন এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য তার সমস্যা বাড়ায়। সে এসব খাবারকে না বলে, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক খাবারে ফিরে আসে। ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। নতুন জীবন: একদিন সে আবার বন্ধুরা সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিল। তারা মজা করে গান গাাচ্ছিল এবং আড্ডায় মেতে উঠেছিল। সারা তখন অনুভব করছিল যে সে আগের মতোই স্বাভাবিক থাকছে। তার আর কোন মাথাব্যথা হচ্ছিল না! সে হাসতে হাসতে বলল, “আজ রাতে কোনও ব্যথা হবে না, আমি নিশ্চিত!” উপসংহার: সারার গল্প একটি অনুপ্রেরণার গল্প, যেখানে সে বুঝতে পারে যে জীবনের প্রতিটি সমস্যার জন্য একটি সমাধান আছে। মাইগ্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে সচেতনতার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রয়োজন। এখন, সে তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সর্বাধিক উপভোগ করছে, এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সে এখন ভালো আছে। সে বুঝতে পেরেছে এই রোগ সারাজীবনের কিন্তু নিয়ম মেনে চললে এই রোগকে বশে আনা সম্ভব। মাইগ্রেন একটি সাধারণ এবং গুরুতর মাথাব্যথার সমস্যা, যা সাধারণত মাথার এক দিকে ঘটে এবং অবস্থার পরিবর্তনের সাথে ভারী চাপ, বমি, বা আলোক/শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা সহ হতে পারে। মাইগ্রেনের ক্ষেত্র ইতিহাস সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো: ১. উপসর্গ: — তীব্র মাথাব্যথা যা সাধারণত একপাশে হয় — সাধারণত কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে — মাথাব্যাথার সাথে হধঁংবধ এবং াড়সরঃরহম — আলো বা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা (ঢ়যড়ঃড় ধহফ ঢ়যড়হড়ঢ়যড়নরধ) — কিছু ক্ষেত্রে অমুক, অন্ধকার দৃষ্টি, বা অস্বাভাবিক দৃশ্যগ্রহণ (ধঁৎধং) থাকতে পারে। ২. প্রকারভেদ: — ক্লাসিক মাইগ্রেন (মাইগ্রেন উইথ অ অঁৎধ): সাধারণত ২০—৩০ মিনিট আগে ম্যাজিক অরার শুরু হয়। — সাধারণ মাইগ্রেন (মাইগ্রেন উইথআউট অঁৎধ): কোনো অরার ছাড়াই সাধারণত হয়। ৩. কারণ: মাইগ্রেনের নির্দিষ্ট কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: — পরিবেশগত ফ্যাক্টর: বায়ুদূষণ, ধোঁয়া, তাপমাত্রার পরিবর্তন যেমন গরম বেশী হলে মাইগ্রেনের ব্যাথা বাড়ে খাদ্য: কিছু খাবার যা মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যেমন : ১. শরবত এবং চিনি যুক্ত পানীয়: সোডা, ফলের সরবত ইত্যাদি। ২. অ্যালকোহল: বিশেষ করে রেড ওয়াইন। ৩. ডেইরি দ্রব্য: কিছু মানুষের জন্য দুধ এবং দই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ৪. নিষিদ্ধ আমিষ: বিশেষত প্রসেস করা খাবার যেমন সালামি, সসেজ। ৫. নটস এবং খাদ্য তৈল: কিছু লোকের জন্য বাদাম ও সূর‌্যমুখী তেল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ৬. চকোলেট: কিছু মাইগ্রেন রোগী চকোলেট খাওয়ার পর সমস্যা অনুভব করেন। ৭. মশলা এবং উচ্চ সোডিয়াম খাবার: অতিরিক্ত মশলাদার খাবার। ৮. ফাস্ট ফুড: যেমন পিজ্জা, বার্গার ইত্যাদি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply