Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ভয় পেলে গা শিউরে ওঠে কেন




ভয় পেলে গা শিউরে ওঠে কেন ভৌতিক মুভি দেখা কিংবা রাতে একা হেঁটে যাওয়ার সময় অদ্ভুত শব্দ শুনলে আমাদের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। মনে হয় যেন শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল। এই গা শিউরে ওঠার অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই আছে। কিন্তু ভয় পাওয়ার সঙ্গে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাওয়ার সম্পর্ক কী? আমাদের শরীর কি তখন কোনো বিপদের সংকেত দেয়? নাকি এর পেছনে আছে অন্য কোনো কারণ? চলুন, এর পেছনের বিজ্ঞান জানা যাক।

অনেক প্রাণীর গায়ের লোম খাড়া থাকে। এটা ওদের প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। ঘন পশমওয়ালা স্তন্যপায়ী প্রাণীরা লোম খাড়া করে ত্বকের কাছে বাতাস আটকে রাখে। এই বাতাস কম্বলের মতো কাজ করে এবং তাদের শরীর গরম রাখে। এছাড়া অনেক প্রাণী বিপদে পড়লে লোম ফুলিয়ে নিজেদের আরও বড় ও ভয়ানক দেখানোর চেষ্টা করে। তবে মানুষের ক্ষেত্রে শুধু ঠান্ডা লাগলে বা ভয় পেলেই এমনটা হয় না। তীব্র আবেগ, যেমন সুন্দর কোনো গান শুনলেও লোম দাঁড়িয়ে যেতে পারে। আমাদের ত্বকের বিভিন্ন কোষ একসঙ্গে কাজ করলেই এই ‘গায়ে কাঁটা’ দেওয়ার অনুভূতি হয়। লোম দাঁড়িয়ে যাওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে পাইলোরেকশন। আমাদের ত্বকের নিচে অ্যারেক্টর পিলি নামে খুব ছোট ছোট পেশি থাকে। এই পেশিগুলো সংকুচিত হলেই লোম খাড়া হয়ে যায়। পেশিগুলো আশপাশের স্নায়ু কোষ থেকে সংকেত পেলেই সংকুচিত হয়। এই অ্যারেক্টর পিলি বা পিএম পেশিগুলো আমাদের ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে যুক্ত থাকে। পেশি সংকুচিত হলে লোমকূপগুলোতে টান পড়ে এবং লোম ওপরে উঠে যায়। ফলে আমাদের ত্বকে ছোট ছোট কাঁটা কাঁটা ভাব দেখা দেয়। মূলত, স্নায়ু কোষের নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটে। আমাদের শরীরে লোম খাড়া হওয়ার প্রক্রিয়াটি শুরু করে বিশেষ স্নায়ু কোষ। এই কোষগুলো আমাদের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ। এই স্নায়ুতন্ত্রই বিপদের সময় আমাদের ‘লড়াই করো অথবা পালাও’ প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী। আমরা যখন কোনো বিপদ টের পাই, তখন এই স্নায়ুগুলো এপিনেফ্রিন বা অ্যাড্রেনালিন নামে রাসায়নিক সংকেত পাঠায়। এই সংকেত পেয়েই আমাদের শরীর পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য দ্রুত প্রস্তুত হয়ে যায়। বিপদের সময় এই স্নায়ু সংকেতগুলো শরীরে রক্ত ও অক্সিজেনের চলাচল দ্রুত পাল্টে দেয়। আবার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এই স্নায়ু কোষগুলোই ত্বককে ঘামার নির্দেশ দেয়। ফলে শরীর ঠান্ডা হয়। এভাবেই স্নায়ুতন্ত্র বিভিন্ন ঘটনার প্রতি সাড়া দেয়। ভৌতিক মুভি দেখার সময় বা রাতে একা হাঁটার সময় অদ্ভুত শব্দ শুনলে আমাদের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র জেগে ওঠে। তখন এপিনেফ্রিনের নিঃসরণ বেড়ে যায় বলে গায়ে কাঁটা দেয়। আসলে আমাদের মস্তিষ্কের কাছে বাস্তব বিপদ আর সিনেমার দৃশ্যের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। মস্তিষ্ক মনে করে, আমরা হয়তো সত্যিই বিপদে পড়েছি। তবে শুধু ভয় নয়, সুন্দর গান শোনা বা দেজা ভ্যু-এর মতো তীব্র আবেগের সময়ও একই অনুভূতি হতে পারে। সূত্র: পপুলার সায়েন্স






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply