Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » দিনে ৭ হাজার কদম হাঁটলেই কমবে সাত ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি




দিনে ৭ হাজার কদম হাঁটলেই কমবে সাত ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিনে সাত হাজার কদম হাঁটলে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস পায় ৪৭ শতাংশ। ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি কমে আসে যথাক্রমে ৬, ২৫ ও ৩৮ শতাংশ। ২২ শতাংশ কমে বিষণ্নতার ঝুঁকি। বার্ধক্যজনিত কারণে পড়ে যাওয়া বা চলৎশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমে আসে ২৮ শতাংশ। আর ১৪ শতাংশ হারে হ্রাস পায় টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি দীর্ঘদিন ধরেই বলা হচ্ছে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার কদম হাঁটা প্রয়োজন। বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞদের উপস্থাপিত নানা পেপারেও বলা হয়েছে, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া, স্থূলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার কদম হাঁটা উচিত। এজন্য ফিটবিট, গারমিন বা অ্যাপল ওয়াচের মতো ফিটনেস ট্র্যাকার কিংবা গুগল ফিট, অ্যাপল হেলথের মতো স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতিদিন কত কদম হাঁটা হলো, তার হিসাব রাখছেন অনেকেই। তবে ল্যান্সেট পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন মাত্র ৭ হাজার কদম হাঁটলেই হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, স্মৃতিভ্রংশ, ক্যান্সার, বিষণ্নতা ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যায়। এমনকি প্রতিদিন মাত্র ৪ হাজার কদম হাঁটলেও নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি শারিরীকভাবে নিষ্ক্রিয়দের তুলনায় অনেকটাই হ্রাস পায়। খবর মেডিকেল নিউজ টুডে। ১৬ হাজারেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে সাত হাজার কদম হাঁটলে সাত ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পায় এগুলো হলো— অকালমৃত্যু, ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্মৃতিভ্রংশ, বিষণ্নতা, বার্ধক্যজনিত কারণে পড়ে যাওয়া ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস। এসব ঝুঁকির মধ্যে কোনটি কী মাত্রায় হ্রাস পায়, সেটিও গবেষণায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিনে সাত হাজার কদম হাঁটলে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস পায় ৪৭ শতাংশ। ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি কমে আসে যথাক্রমে ৬, ২৫ ও ৩৮ শতাংশ। ২২ শতাংশ কমে বিষণ্নতার ঝুঁকি। বার্ধক্যজনিত কারণে পড়ে যাওয়া বা চলৎশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমে আসে ২৮ শতাংশ। আর ১৪ শতাং

শ হারে হ্রাস পায় টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেড, ডিয়াকিন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ওলোংগং, ইউনিভার্সিটি অব সাদার্ন কুইন্সল্যান্ড, স্পেনের ইউনিভার্সিদাদ ইউরোপিয়া দে মাদ্রিদ, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেম্ব্রিজ ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে। গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক এবং ইউনিভার্সিটি অব সিডনির অধীন সিডনি স্কুল অব পাবলিক হেলথের প্রফেসর মেলোডি ডিং বলেন, ‘নানা দিকনির্দেশনা থাকলেও শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা সাধারণত মিনিটে হিসাব করা হয়—যেমন, সপ্তাহে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিট মাঝারি থেকে ব্যাপক মাত্রায় শারিরীক পরিশ্রম। কিন্তু মানুষ এখন কার্যকলাপ মাপছে কদম বা পদক্ষেপের হিসাবে, যা অনেক বেশি সহজ ও গ্রহণযোগ্য একটি একক। এতদিন যে বিভিন্নভাবে ১০ হাজার কদম হাঁটার কথা বলা হয়েছে, এ লক্ষ্যটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণের নির্ধারিত নয়। এ কারণে আমাদের গবেষণাটিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রকৃতপক্ষে কত কদম হাঁটা প্রয়োজন, সেটি দেখাতে চেয়েছি আমরা।’ তিনি আরো বলেন, ‘৭ হাজার কদম হাঁটার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলে দীর্ঘমেয়াদি বহু রোগের ঝুঁকি একসঙ্গে কমানো সম্ভব। তবে যারা খুব কম হাঁটেন, তারা ২ হাজার থেকে ৪ হাজার বা ৫ হাজার পদক্ষেপেও সুফল পাবেন।’ মার্কিন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিসি সাপোগু বলেন, ‘এই গবেষণায় দৈনিক প্রয়োজনীয় কদমের সংখ্যার কথা বলা হচ্ছে। বাড়ি, অফিস, রাস্তা, পার্ক— যেখানেই হোক, হাঁটাহাঁটি করলেই এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব।’ আরেকজন বিশেষজ্ঞ, ডা. ক্যানওয়ার কেলি বলেন, “গবেষণাটি প্রমাণ করেছে, সুস্থতা পেতে অত্যধিক কষ্টকর ব্যায়ামের দরকার নেই। কোনো বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার বা জিমের মেম্বারশিপ ছাড়াই নিয়মিত হেঁটে দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।’ (মেডিকেল নিউজ টুডে অবলম্বনে)






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply