Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ইম্পোস্টার সিনড্রোম: আপনিও আক্রান্ত নন তো? নিজেকে অযোগ্য বলে মনে কর




ইম্পোস্টার সিনড্রোম হলো— এমন এক ধরনের মানসিক অবস্থা, যেখানে মানুষ তার নিজের অর্জন, সাফল্য, যোগ্যতা ও খ্যাতিকে সন্দেহের চোখে দেখে। নিজেকে অযোগ্য বলে মনে করে। আজকাল করপোরেট অফিসে কেউ একজন সাফল্য পেলে চারপাশে একটা শব্দ বেশ গুনগুনিয়ে ওঠে- লবিং। বারবার শুনতে শুনতে যোগ্যতায় পাওয়া সে সাফল্যে নিজের মনে সন্দেহ জাগতে শুরু করে— আমি কি সত্যিই এতটা যোগ্য! পদোন্নতি পাওয়া, কোনো পুরস্কার জেতা বা প্রজেক্ট সফলভাবে শেষ করা—সবকিছু সত্ত্বেও মনে হয়, এগুলো সবই ভাগ্যের খেলা। এমন অনুভূতিই ‘ইম্পোস্টার সিনড্রোম’। ‘ইম্পোস্টার সিনড্রোম’ কী?

ইম্পোস্টার অর্থ হলো- ছদ্মবেশী, ভণ্ড ও প্রতারক। আর সিনড্রোম মানে, লক্ষণ। অর্থাৎ ইম্পোস্টার সিনড্রোম হলো— এমন এক ধরনের মানসিক অবস্থা, যেখানে মানুষ তার নিজের অর্জন, সাফল্য, যোগ্যতা ও খ্যাতিকে সন্দেহের চোখে দেখে। নিজেকে অযোগ্য বলে মনে করে। তার মনে হতে থাকে নিছকই ভাগ্যগুণে সে এখানে অবস্থান করছে। সে যে যোগ্য নয়, এই বিষয়টি সবার সামনে ক্রমশ প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে বা যাবে। এই মানসিক অবস্থার নাম ইম্পোস্টার সিনড্রোম। প্রথম এই ধারণাটি সবার সামনে আনেন মনস্তত্ত্ববিদ সুজানা ইমস ও পলিন রোজ ক্ল্যান্স। গবেষণায় জানা যায় ৭০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো সময় ইম্পোস্টার সিনড্রোমে ভোগেন। ‘ইম্পোস্টার সিনড্রোম’ আক্রান্ত মানুষের বৈশিষ্ঠ্য: এরা সাধারণত পারফেকশনিস্ট হতে চায়, তাদের কাজেকর্মে সবকিছুতেই নিখুঁত হতে চেষ্টা করেন। ৯৯ শতাংশ সফল হলেও তারা নিজেকে ব্যর্থ মনে করেন। নিজেদের দোষারোপ করে তাদের কর্মদক্ষতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করতে থাকেন। এরা সহজাত প্রতিভাবান হয় তাই তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে একটা ধারণা জন্মায় যে, কোনো কাজ তারা একবারের চেষ্টাতেই পারবেন। কিন্তু কোনো কাজে তারা যদি সেটা করতে না পারেন বা অন্য কথায়, যদি তারা কোনো কিছু আয়ত্ত করতে দীর্ঘ সময় নেন, তবে তারা লজ্জা বোধ করেন। তখন তাদের মধ্যে ইম্পোস্টার সিনড্রোম দেখা দেয়। এই ধরনের ব্যক্তিরা নিজেদের জীবনের সব ক্ষেত্রেই সাফল্য দেখতে বদ্ধপরিকর। এরা সর্বদা অন্যের সাহায্যকে প্রত্যাখ্যান করে একলা চলো নীতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অন্যের সাহায্য নেয়াকে ব্যর্থতা ভাবা ইম্পোস্টার সিনড্রোম এর ইঙ্গিত। তারা মনে করে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তাদের সব তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করতেই হবে। কর্মক্ষেত্রে বা কোনো মিটিং চলাকালীন তারা কোনো রকম প্রশ্ন করেন না। কারণ তাদের ভেতর ভয় কাজ করে। তারা ভাবে যদি ওই প্রশ্ন তাকে অন্যদের সামনে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে দেয় বা সবাই তাকে বোকা মনে করে। ইম্পোস্টার সিনড্রোম কাটিয়ে ওঠা সম্ভব: এটি পুরোপুরি সারে না। তবে যদি মনে হয় আপনি এই সিনড্রোমে ভুগছেন, তাহলে পরামর্শগুলো মেনে দেখতে পারেন: ভাবুন আপনি একা নন। বন্ধু ও পরিবারের সাথে কথা বলুন, বুঝবেন যে বহু মানুষই একই সমস্যায় আছে। নিজের অর্জন ও যোগ্যতার একটি তালিকা তৈরি করুন। ফিডব্যাক নিন। অন্যের চোখে নিজেকে দেখলে সেটি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় বেশি। অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না। বরং নিজের গত বছরের কাজের সঙ্গে এ বছরের কাজের তুলনা করুন। ব্যর্থতাকে গ্রহণ করুন। কারণ, 'পৃথিবীতে সকলেই কখনো না কখনো ব্যর্থ'






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply