Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বিজ্ঞানের অবাক করা ২৫ টি দারুন তথ্য সংকলন




বিজ্ঞানের অবাক করা তথ্য : ২৫ টি এই লেখাতে আমরা 25 টি দারুন বিজ্ঞানের অবাক করা তথ্য সংকলন করেছি । আশাকরি এগুলি শিক্ষার্থীদের মুগ্ধ করবে এবং তাদের কল্পনাকে জাগিয়ে তুলবে। ১. পৃথিবীর অর্ধেক অক্সিজেন সমুদ্রে উৎপন্ন হয় আমাদের মনে হতে পারে যে রেইনফরেস্টই হল অক্সিজেনের প্রধান উৎস। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, বিশ্বের মোট অক্সিজেনের অর্ধেক তৈরি হয় প্ল্যাঙ্কটন, সামুদ্রিক শৈবাল এবং সমুদ্রের অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে, যারা সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি করে থাকে। ২. মানুষের পাকস্থলী রেজার ব্লেড গলিয়ে ফেলতে পারে মানুষের পাকস্থলী রেজার ব্লেড গলিয়ে ফেলতে পারে অ্যাসিডকে ০-১৪ স্কেলে পরিমাপ করা হয় (পিএইচ লেভেল যত কম, অ্যাসিড তত শক্তিশালী)। মানুষের পাকস্থলীর অ্যাসিডের মাত্রা সাধারণত ১.০ থেকে ২.০ এর মধ্যে থাকে, যার অর্থ এটি অত্যন্ত শক্তিশালী। ৩. হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ প্রতি বছর আলাস্কার কাছাকাছি সরে আসছে পৃথিবীর ভূত্বকটি টেকটোনিক প্লেট (tectonic plates) নামক বিভিন্ন অংশে বিভক্ত। গরম এবং কম ঘনত্বের পাথর উপরে উঠে আসে, তারপর ঠান্ডা হয়ে আবার নিচে নেমে যায়। এর ফলে শিলা এবং তার উপরের ভূমি ধীরে ধীরে সরে যায়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে উত্তর আমেরিকান প্লেটের দিকে সরে যাচ্ছে, যার ফলে হাওয়াই প্রতি বছর প্রায় ৭.৫ সেন্টিমিটার কাছাকাছি চলে আসে। ৪. আপনার শরীরে মানব কোষের চেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া আছে! আমাদের শরীরে প্রায় ৩০ ট্রিলিয়ন মানব কোষ আছে। কিন্তু তার থেকেও বেশি, প্রায় ৩৯ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়ার কোষ থাকে! ভাবা যায়?৫. প্রাণীরা দিকনির্ণয়ের জন্য চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে প্রাণীরা দিকনির্ণয়ের জন্য চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে চিত্র সৌজন্য মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (U.S. Geological Survey) অনুযায়ী, কিছু প্রাণী, যেমন সামুদ্রিক কচ্ছপ, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র অনুভব করতে পারে এবং এই ক্ষমতাকে তারা দিক খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহার করে। ৬. ২৩০ কোটি বছর পর পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে না পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রতি বছর বাড়ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ২৩০ কোটি বছর পরে পৃথিবীর তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যাবে যে সমুদ্রের জল বাষ্প হয়ে যাবে এবং পৃথিবী আজকের মঙ্গল গ্রহের মতো একটি বিশাল মরুভূমিতে পরিণত হবে। ৭. পৃথিবীতে তারার চেয়ে বেশি গাছ আছে নাসা (NASA)-র বিশেষজ্ঞদের মতে, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন তারা রয়েছে। কিন্তু পৃথিবীতে গাছের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি, যা প্রায় ৩ ট্রিলিয়নেরও বেশি বলে অনুমান করা হয়। পড়ে দেখুন: বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন নদী – 11 টি রঙিন হ্রদ ও নদীর খবর ৮. শুক্র গ্রহের একটি দিন তার একটি বছরের চেয়েও লম্বা! শুক্র গ্রহ (Venus) নিজের অক্ষের উপর এত ধীরে ঘোরে যে, সেখানে একটা দিন (একবার সম্পূর্ণ ঘুরতে যে সময় লাগে) সূর্যের চারপাশে তার একবার ঘুরে আসার (একটি বছর) থেকেও বেশি লম্বা হয়। ৯. সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে আট মিনিটের কিছু বেশি সময় লাগে আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার বেগে ভ্রমণ করে। সূর্য থেকে আমাদের দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার। তাই সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে প্রায় ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড সময় লাগে। ১০. আইফেল টাওয়ার গ্রীষ্মকালে লম্বা হয় পদার্থকে গরম করলে তার কণাগুলো আরও বেশি নড়াচড়া করে এবং বেশি জায়গা নেয়। এই প্রভাবটি গ্যাসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দেখা গেলেও তরল এবং কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রেও ঘটে। এই কারণেই বড় সেতু তৈরির সময় প্রসারণের জন্য কিছুটা ফাঁকা জায়গা রাখা হয়। ১১. ইনফ্রারেড ক্যামেরায় মেরু ভালুককে সহজে দেখা যায় না মেরু ভালুক তাপ সংরক্ষণে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের শরীরে এমন একাধিক স্তর রয়েছে যা আর্কটিকের চরম ঠান্ডাতেও তাদের শরীরকে গরম রাখে। এই কারণে তাদের শরীর থেকে খুব কম তাপ বেরিয়ে আসে এবং ইনফ্রারেড ক্যামেরায় তাদের সনাক্ত করা কঠিন হয়। ১২. বজ্রপাত সূর্যের পৃষ্ঠের চেয়েও বেশি গরম! একটি বজ্রপাতের তাপমাত্রা প্রায় ৩০,০০০ কেলভিন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এটি সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি গরম ! ১৩. জল একই সাথে ফুটতে এবং জমতে পারে চিত্র সৌজন্য বিজ্ঞানে ‘ট্রিপল পয়েন্ট’ বা ‘ত্রৈধ বিন্দু’ বলে একটি অবস্থা রয়েছে। এটি এমন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা এবং চাপে ঘটে যখন কোনো পদার্থের তিনটি অবস্থা (গ্যাসীয়, তরল এবং কঠিন) একই সাথে ভারসাম্য বজায় রেখে অবস্থান করতে পারে। ১৪. ব্যাঙ জমে গিয়েও আবার জীবিত হতে পারে! কিছু প্রজাতির ব্যাঙ শীতকালে নিজেদেরকে সম্পূর্ণ জমিয়ে ফেলে এক ধরনের সুপ্ত অবস্থায় চলে যায়। বসন্তকালে বরফ গলে গেলে তারা আবার স্বাভাবিক হয়ে লাফালাফি শুরু করে! প্রকৃতির এক দারুণ রহস্য এটি! ১৫. পৃথিবী একটি বিশাল চুম্বক পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলটি কঠিন লোহার একটি গোলক। তাপমাত্রা এবং ঘনত্বের তারতম্যের কারণে এই লোহা একটি বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি করে। পৃথিবীর ঘূর্ণনের সাথে মিলে এটি একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশ্বজুড়ে কম্পাসের কাঁটা ব্যবহার করে দিক নির্ণয়ে সাহায্য করে। ১৬. মহাকাশযানগুলো আমাদের সৌরজগতের প্রান্তের দিকে ছুটে চলেছে নিউ হরাইজনস (New Horizons) মহাকাশযান, যা প্লুটোকে অতিক্রম করেছে, সেটি ঘণ্টায় প্রায় ৩৬,০০০ মাইল বেগে ভ্রমণ করছে। অন্যদিকে, পৃথিবীর দ্রুততম বিমান এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড (SR-71 Blackbird) ঘণ্টায় ২,৭০০ মাইল বেগে চলে। ১৭. মহাবিশ্বের কোনো কেন্দ্র নেই বিগ ব্যাং কোনো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ঘটেনি, এটি মহাবিশ্বের সর্বত্র একই সময়ে ঘটেছিল। আর মহাকাশ এখনও সব দিকে প্রসারিত হচ্ছে। তাই মহাবিশ্বের কোনো কেন্দ্র নেই – বিজ্ঞানের অবাক করা তথ্য । ১৮. শুক্র গ্রহ ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরে শুক্র গ্রহ ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরে আমাদের পৃথিবীসহ বেশিরভাগ গ্রহই উপর থেকে দেখলে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘোরে। কিন্তু এর দুটি ব্যতিক্রম আছে: ইউরেনাস তার পাশে হেলে ঘোরে এবং শুক্র গ্রহ ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সুদূর অতীতে বিশাল কোনো গ্রহাণুর সংঘর্ষের কারণে এমনটা হতে পারে। ১৯. একটি বলকে ঘোরানোর সাথে সাথে নিচে ফেললে সেটি উড়ে যাবে এই ঘটনাটিকে ম্যাগনাস প্রভাব (Magnus effect) বলা হয়। যখন একটি ঘূর্ণায়মান বস্তুর সামনের দিকের বাতাস তার ঘূর্ণনের দিকেই যায়, তখন বলটি নিচের দিকে পড়ার সাথে সাথে বাইরের দিকেও সরে যায়। ২০. তোমার মস্তিষ্ক ক্রমাগত নিজেকে খাচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটিকে ফ্যাগোসাইটোসিস বলা হয়, যেখানে কোষগুলি ছোট কোষ বা অণুগুলিকে ঢেকে রাখে এবং গ্রাস করে তাদের সিস্টেম থেকে অপসারণ করে। চিন্তা করবেন না! ফ্যাগোসাইটোসিস ক্ষতিকারক নয়, তবে আসলে তোমার ধূসর পদার্থ সংরক্ষণে সাহায্য করে। ২০. একটি মাছি মহাকাশযানের চেয়ে দ্রুত গতি বাড়াতে পারে একটি মাছি লাফ দেওয়ার সময় এক মিলিসেকেন্ডেরও কম সময়ে প্রায় ৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়। এই সময় তার ত্বরণ (acceleration) হয় ১০০জি (g), যেখানে একটি স্পেস শাটলের সর্বোচ্চ ত্বরণ হয় প্রায় ৫জি। ২১. মানুষের মস্তিষ্ক একটি লাইটবাল্ব জ্বালানোর মতো বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে! আপনার মস্তিষ্ক প্রায় ২০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম। এই বিদ্যুৎ একটি অনুজ্জ্বল আলো জ্বালানোর জন্য যথেষ্ট! ২২. শিশুদের শরীরে প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে বেশি হাড় থাকে জন্মের সময় একটি শিশুর প্রায় ৩০০টি হাড় থাকে। এই অতিরিক্ত হাড় তাদের জন্ম নালী দিয়ে সহজে বেরিয়ে আসতে এবং দ্রুত বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। বয়সের সাথে সাথে অনেক হাড় একসাথে জুড়ে যায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে মোট ২০৬টি হাড় থাকে। ২৩. ইতিহাসে রেকর্ডকৃত দশজন সবচেয়ে ভারী ব্যক্তির মধ্যে নয়জনই আমেরিকান ছিলেন এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে ভারী ব্যক্তি ছিলেন জন ব্রাউয়ার মিনোক, যার জন্ম ১৯৪১ সালে এবং ওজন ছিল প্রায় ৬৩৬ কেজি। গত ২৫০ বছরের রেকর্ডে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ভারী ব্যক্তির মধ্যে নয়জনই ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন মেক্সিকোর ম্যানুয়েল উরিবে। ২৪. অক্টোপাসের তিনটি হৃৎপিণ্ড এবং নীল রক্ত আছে অক্টোপাসের দুটি হৃৎপিণ্ড তার ফুলকাগুলিতে রক্ত পাম্প করে, আর তৃতীয় হৃৎপিণ্ডটি শরীরের বাকি অংশে রক্ত পাঠায়। তাদের রক্ত নীল হয় কারণ তাতে হিমোসায়ানিন নামে তামা-সমৃদ্ধ একটি প্রোটিন থাকে। ২৫. আমাদের মস্তিষ্ক ক্রমাগত নিজেকে খাচ্ছে এই প্রক্রিয়াটিকে ফ্যাগোসাইটোসিস বলা হয়, যেখানে কোষগুলি ছোট কোষ বা অণুগুলিকে ঢেকে রাখে এবং গ্রাস করে তাদের সিস্টেম থেকে অপসারণ করে। চিন্তার বিশেষ কারণ নাই। ফ্যাগোসাইটোসিস ক্ষতিকারক নয়, তবে আসলে এটি আমাদের মাথার ধূসর পদার্থ (grey mater) সংরক্ষণে সাহায্য করে। এটি সত্যই বিজ্ঞানের অবাক করা তথ্য ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply