ট্রাম্পের মা মেরিও ছিলেন অভিবাসী স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা ১৯৪২ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন ী, নিউ ইয়র্কে পরিচারিকার কাজ করতেন ট্রাম্পের মা!আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক স্কটল্যান্ডের এক প্রত্যন্ত দ্বীপ লুইসের বাসিন্দা ছিলেন মেরি অ্যান ম্যাকলিয়ড। বিয়ের পর মেরি অ্যান ট্রাম্প। বর্তমানে আমেরিকার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ট্রাম্পের জন্মদাত্রী।
দ্বিতীয় বার আমেরিকার মসনদ দখল করার পর অবৈধ অভিবাসীদের ধরে ধরে নিজের নিজের দেশে পাঠানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছিলেন অবৈধ অভিবাসীদের জায়গা নেই আমেরিকায়। বিভিন্ন ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যাওয়া বৈধ অভিবাসীদের নিয়েও নিয়মের কড়াকড়ি শুরু করে দিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। পাঁচ কোটির বেশি ভিসা পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছিল সে দেশের সরকার। এই যাচাই প্রক্রিয়ার সময় বৈধ ভিসা বাতিল হতে পারে অনেক অভিবাসীরই। জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। অভিবাসীদের আতশকাচের তলায় রাখা ডোনাল্ড ট্রাম্প কখনওই স্বীকার করেননি তাঁর পরিবারের অভিবাসনের ইতিহাস। অভিবাসীদের অপছন্দ করা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মা স্বয়ং এক অভিবাসী। ভোটের প্রচারে এসে এই বিষয়টি ব়়রাবরই এড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। স্কটল্যান্ডের এক প্রত্যন্ত দ্বীপ লুইসের বাসিন্দা ছিলেন মেরি অ্যান ম্যাকলিওড। বিয়ের পর মেরি অ্যান ট্রাম্প। বর্তমান আমেরিকার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মদাত্রী। গত শতাব্দীতে অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে হাজার হাজার স্কটিশ নাগরিক আমেরিকা এবং কানাডায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাঁর মধ্যে ছিলেন ট্রাম্পের মা মেরিও। স্কটল্যান্ডের পশ্চিম প্রান্তের এক ক্ষুদ্র দ্বীপ লুইসে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা মেরির। তাঁর বাবা ছিলেন জেলে। যুদ্ধের পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা মেরির পরিবারের অবস্থা তেমন ভাল ছিল না। ভাগ্যপরীক্ষা করতে ভাল সুযোগের সন্ধানে দেশত্যাগ করেন মেরি। ১৯২৯ সালের নভেম্বরে ১৭ বছর বয়সে মেরি গ্লাসগোর এসএস ট্রান্সিলভ্যানিয়া জাহাজে চড়ে বসেন। পকেটে ছিল মাত্র ৫০ ডলার। একবুক আশা নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপ থেকে পালিয়ে দারিদ্র্য ও হতাশার হাত থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনি অভিবাসী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখানে স্থায়ী ভাবে থাকার ইচ্ছা ছিল মেরির। মেরি ছিলেন তাঁর বাবা-মায়ের ১০ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। ১৯১২ সালের মে মাসে স্কটল্যান্ডের প্রত্যন্ত দ্বীপের টং নামের একটি গ্রামে তাঁর জন্ম। আমেরিকায় পা দেওয়ার পর উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণী মেরি কিছুটা আতান্তরেই পড়েন। কারণ সেই সময় অজানা শহরে তাঁর একমাত্র আত্মীয় ছিল দিদি ক্যাথরিন। মেরির ১০ বছর আগে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর ভরসাতেই অজানা দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন মেরি। মার্কিন সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৩০ সালে আমেরিকার আদমশুমারিতে উল্লেখ ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মায়ের পেশার কথা। সেখানে তাঁকে পরিচারিকা বা গৃহসহায়িকা বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ভাগ্যান্বেষণে নিউ ইয়র্কে আসার পর দিদি ক্যাথরিনের সাহায্যে একটি অভিজাত পরিবারের সন্তানদের দেখাশোনার কাজ পান মেরি। অন্য একটি সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ক্যাথরিনের সুপারিশে মেরি আপার ইস্ট সাইডে কার্নেগি ম্যানসন নামের একটি অভিজাত ভবনে পরিচারিকার কাজ খুঁজে পান। দুর্ভাগ্যবশত ওয়াল স্ট্রিট দুর্ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ পরিবার মন্দার কবলে পড়ে। সেই সময়ে চাকরি হারান মেরি। চাকরি না থাকার কারণে ১৯৩৪ সালে মেরি কিছু দিনের জন্য স্কটল্যান্ডে ফিরে আসেন। তত দিনে অবশ্য সিনিয়র ট্রাম্প অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাবা ফ্রেড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ হয়ে গিয়েছে মেরির। একটি নাচের আসরে মেরির সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ফ্রেডের। আলাপ গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। সুন্দরী মেরির প্রেমে পড়ে যান উদীয়মান উদ্যোগপতি ফ্রেড। স্কটল্যান্ডে ফিরে গিয়েও প্রেমের টানে চিরতরে জন্মভূমি ছেড়ে নিউ ইয়র্কে ফিরে আসেন মেরি। ১৯৩৬ সালের জানুয়ারিতে ম্যাডিসন অ্যাভিনিউয়ের একটি গির্জায় বিয়ে সারেন ফ্রেড ও মেরি। বিয়ের পর ট্রাম্প দম্পতি কুইন্সের একটি অভিজাত এলাকায় বসবাস করতে শুরু করেন। ট্রাম্পের মা ১৯৪২ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। তার পর ১৯৪৬ সালে জন্ম হয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। এই দম্পতির পাঁচ সন্তান। ট্রাম্প ও তাঁর ভাইবোন সকলের বেড়ে ওঠা কুইন্সেই। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর বাবা জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যদিও মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ১৯০৫ সালে নিউ ইয়র্কে জন্ম ফ্রেডের। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ১৫ বছর বয়সি ফ্রেড হাই স্কুলে পড়ার সময় একটি নির্মাণ সংস্থা তৈরি করেন। অংশীদার ছিলেন তাঁর মা এলিজ়াবেথ। ফ্রেডের সাফল্য এবং সম্পদের সিংহভাগই এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রুকলিন এবং কুইন্সে নিম্ন ও মাঝারি আয়ের আবাসন নির্মাণ থেকে। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর বাবা জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যদিও মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ১৯০৫ সালে নিউ ইয়র্কে জন্ম ফ্রেডের। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ১৫ বছর বয়সি ফ্রেড হাই স্কুলে পড়ার সময় একটি নির্মাণ সংস্থা তৈরি করেন। অংশীদার ছিলেন তাঁর মা এলিজ়াবেথ। ফ্রেডের সাফল্য এবং সম্পদের সিংহভাগই এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রুকলিন এবং কুইন্সে নিম্ন ও মাঝারি আয়ের আবাসন নির্মাণ থেকে। ২০০০ সালের অগস্টে ৮৮ বছর বয়সে মারা যান ট্রাম্পের মা। ছেলেকে প্রেসিডেন্ট পদে দেখে যেতে পারেননি তিনি। ২০১৭ সালে প্রথম বার বারাক ওবামাকে সরিয়ে প্রেসিডেন্টের কুর্সি দখল করেছিলেন ট্রাম্প। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বার। ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগে তাঁর মা যে বাড়িতে বড় হয়েছিলেন সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। টংয়ের সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বড় বোন মেরিয়ান ট্রাম্প ব্যারি। কয়েক মিনিট কাটিয়ে ফেরত চলে আসেন তাঁরা। সেই বাড়িতে আজও বসবাস করেন ট্রাম্পের তুতো ভাইয়েরা। যদিও তাঁরা সংবাদমাধ্যমের প্রচারের আলোয় আসতে চাননি কোনও দিনই।গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
English News
»
Featured
» ট্রাম্পের মা মেরিও ছিলেন অভিবাসী স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা ১৯৪২ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News

No comments: