সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে কাঠুরিয়া আহত

### সাম্প্রতিক ঘটনা: সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে কাঠুরিয়া আহত আপনার প্রশ্নটি সম্ভবত সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী-সংঘাতের একটি সাম্প্রতিক ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। "বনে বাঘের আক্রমণে কাঠুরিয়া আহত" শিরোনামটি বাংলাদেশ বা ভারতের সুন্দরবন অঞ্চলে ঘন ঘন ঘটে যাওয়া মানুষ-বাঘ সংঘর্ষের প্রতীক। সর্বশেষ এমন একটি ঘটনা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুন্দরবনের টাইগার রিজার্ভ এলাকায় ঘটেছে, যেখানে একজন কাঠুরিয়া-সদৃশ বনকর্মী বাঘের হামলায় গুরুতর আহত হন। নীচে বিস্তারিত বর্ণনা করছি: #### ঘটনার সারাংশ - **স্থান**: সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গ)। - **তারিখ**: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (সোমবার সকাল)। - **ঘটনাক্রম**: বনকর্মীরা বাঘকে লোকালয় থেকে তাড়ানোর অভিযানে নামেন। এ সময় একজন কর্মীকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আক্রমণ করে। বাঘটি তার ঘাড় কামড়ে ধরে জঙ্গলে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। সহকর্মীরা লাঠি দিয়ে বাঘকে আঘাত করে তাকে উদ্ধার করেন। বাঘটি পরে বনে ফিরে যায়। - **আহতের অবস্থা**: কর্মীটি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ভিডিও ফুটেজে ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এটি কাঠুরিয়াদের মতো বন-নির্ভর জীবিকার লোকদের জন্য সাধারণ ঝুঁকি, যারা কাঠ সংগ্রহ বা অন্যান্য কাজের জন্য বনে প্রবেশ করেন। #### বাংলাদেশের সুন্দরবনে অনুরূপ ঘটনা বাংলাদেশের সুন্দরবনেও এমন আক্রমণ ঘন ঘন ঘটে। উদাহরণস্বরূপ: - **২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি**: বাগেরহাটের সুন্দরবনে গরু আনতে গিয়ে কৃষক ফজলু গাজী (৬২) বাঘের আক্রমণে আহত হন। তার ডান পায়ে গুরুতর ক্ষত হয়, যার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। স্থানীয় মাঝিরা চিৎকার করে তাকে বাঁচান। - **পুরনো ঘটনা**: একজন কাঠুরিয়া দেবেন মণ্ডল (সুন্দরবনের মৌলানা বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা) ১৩ বছর আগে বাঘের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি দলের সঙ্গে কাঠ কাটতে গিয়ে আক্রান্ত হন এবং এখনো সেই ভয়ে বনে যান না। তিনি এখন গান-বাদ্য এবং মাছ ধরায় জীবিকা নির্বাহ করেন। #### কেন এমন ঘটে? (পটভূমি) সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যাঙ্গ্রোভ বন এবং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল। এখানে বাঘের সংখ্যা প্রায় ৫০০ (ভারত-বাংলাদেশ মিলিয়ে)। মানুষ বাঘের স্বাভাবিক শিকার নয়, কিন্তু: - **কারণ**: বাঘগুলো বয়সজনিত দুর্বলতা, আঘাত বা খাদ্যাভাবে "মানুষখেকো" হয়ে ওঠে। রক্তের স্বাদ পেলে তারা মানুষকে লক্ষ্য করে। - **পরিসংখ্যান**: প্রতি বছর ১০০-২৫০ জন মানুষ বাঘের শিকার হন (সুন্দরবন অঞ্চলে)। - **সতর্কতা**: স্থানীয়রা বনবিবি (বনদেবী) পূজা করে প্রবেশ করেন। বন্যপ্রাণী রক্ষাকারীরা বলেন, একা বনে না যাওয়া, শব্দ করে চলা এবং আবাসস্থল রক্ষা করাই মূল সমাধান। #### প্রতিরোধের উপায় | **ঝুঁকি** | **প্রতিরোধের টিপস** | |-------------------------|-----------------------------------------------| | একা বনে প্রবেশ | দলে যান, লাঠি/আগ্নেয়াস্ত্র নিন। | | বাঘের পায়ের ছাপ | দেখলে উল্টো দিকে যান, চিৎকার করুন। | | রাত্রিকালীন কাজ | এড়িয়ে চলুন; বাঘ রাতে সক্রিয়। | | আবাসস্থলের ক্ষতি | বন ধ্বংস না করে বিকল্প জীবিকা খুঁজুন (যেমন মাছ ধরা)। | যদি এটি কোনো নির্দিষ্ট খবরের শিরোনাম বা আরও বিস্তারিত তথ্য চান, তাহলে আরও বিশদ বলুন। সুন্দরবনের এই সংঘাত মানুষ-প্রকৃতির ভারসাম্যের একটি স্মারক—সচেতনতা বাড়ানো দরকার!