একগ্লাস টমেটোর জুস, প্রতিদিন!
যারা টমেটো ভালোবাসেন, বাজার থেকে রোজ নিয়ে আসেন। টমেটো দিয়ে চাটনি, ডাল, মাছের ঝোল, কোন কিছুই বাদ দেন না তারা। আর সালাদে তো লাগবেই। কিন্তু টমেটোর জুস? এই ব্যবহারটা বাদ পরে যায় অনেকের।
টমেটোর জুসকে ‘সুপার ফুড’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, টমেটোর জুসে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬ এ এবং কে পাওয়া যায়। এতে আরও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান। এসব ভিটামিন ও খনিজ শরীরের অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি ত্বক এবং চুলও ভাল রাখে। নিয়মিত একগ্লাস টমেটোর জুস আপনার স্বাস্থ্যকে সতেজ রাখতে খুবই কার্যকরী। টমেটোর জুস কেন উপকারী তা জেনে আপনি নিশ্চয়ই আপনার খাবারের তালিকায় এটা রাখতে পছন্দ করবেন।
দৈনিক যদি একগ্লাস টমেটোর জুস খান তবে আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে ফলে এটার জুস রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল বা LDL এর পরিমাণ কমাতে পারে। এটি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে । টমেটোতে থাকা ক্লোরিন ও সালফার, দেহের টক্সিন দূর করে এবং দেহকে রাখে সতেজ।
দেহে পানির পরিমাণে ভারসাম্য বজায় রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে টমেটোর জুস। জুসের 'লো সোডিয়াম এবং হাই ফাইবার' অনেকক্ষণ খিদে মিটিয়ে রাখে। কিন্তু এতে আপনি দুর্বলবোধ করবেন না। টমেটোর জুস ত্বকের ট্যান, কালো ছোপ ও ব্রণ দূর করতেও খুব উপকারী। নিয়মিত জুস খেলে তৈলাক্ত ত্বকের সিবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
টমেটোর জুসে রয়েছে লাইকোপিন যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ এবং পানি জাতীয় উপাদান থাকায় এটি মলাশয় সুস্থ রাখে।
টমেটোর জুস গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। প্রদাহজনিত রোগ প্রতিরোধে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নিয়মিত টমেটোর জুস পান করলে হাঁপানি, হার্টের অসুখ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
No comments: