Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » গাংনীতে মিথ্যা মামলার মেডিকেল ও তদন্ত রিপোর্টে নির্দোষ প্রমানিত হয়ে জামিনে মুক্ত সাংবাদিকের বাবা






গাংনীতে মিথ্যা মামলার মেডিকেল রিপোর্ট ও তদন্ত রিপোর্টে নির্দোষ প্রমানিত হয়ে জামিনে মুক্ত সাংবাদিকের বাবা আরজেলুর রহমান

কৌশিক আহমেদ শিমুল: দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মো: আসাদুল্লাহর বাবা মো: আরজেলুর রহমান মিথ্যা ধর্ষণ মামলার মেডিকেল রিপোর্ট ও তদন্ত রিপোর্টে নির্দোষ প্রমানিত হয়ে আজ ১১ জুলাই ২০১৮ খ্রি: রোজ বুধবার জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামের বাসিন্দা   আরজেলুর রহমান একজন দ্বীনদার পরহেজগার লোক।তিনি ৫৫ বছর যাবৎ বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি করেছেন। আদালতে আত্মসমর্থন করার পূবর্ পর্যন্ত তিনি গাংনী উপজেলার খাশমহল শেখপাড়া জামে মসজিদে  সম্মানিত ইমাম হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন । অনুসন্ধানে জানা যায়, মো: আরজেলুর রহমান (৭২) এবং ইসমাইল হোসেনের বাড়ি পাশাপাশি। প্রায় ২০ বছর পূর্বে পলাশিপাড়ার বাসিন্দা  আরজেলুর রহমান ইসমাইলের স্ত্রীর ওয়ারিশদের জমি ক্রয় করে করমদী পশ্চিমপাড়ায় চলে আসে।

ইসমাইল তার স্ত্রীর ওয়ারিশদের জমি কমদামে ক্রয় করার আশায় ছিল।কিন্তু আরজেলুর রহমান উক্ত জমি ন্যাজ্যমূল্যে ক্রয় করে সেখানে বসতবাড়ি করে বসবাস করা শুরু করেন।সেই থেকে ইসমাইল পরিবার আরজেলুর রহমানের প্রতি শত্রুতা পোষন করে আসছেন। বিভিন্ন সময় আরজেলুর রহমানের হাঁস মুরগি বিষ দিয়ে মেরে দিয়েছেন।

আরজেলুর রহমানসহ তাঁর মেয়েদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চারিত্রিক অপবাদ আরোপ করে আসছেন। বিভিন্ন অজুহাতে পূর্বে আরজেলুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা করেছেন। কিন্ত সবশেষ ১৭ এপ্রিল ২০১৮ খ্রি: রাতে ঝড়ে আরজেলুর রহমানের সীমানার বেড়া পড়ে যায়। পরদিন ১৮ এপ্রিল ২০১৮ খ্রি: আরজেলুর রহমান ইসমাইলের বাড়ির উপর দিয়ে  ঝড়ে পড়ে যাওয়া সীমানার বেড়া ঠিক করতে গেলে ইসমাইলের মেয়ে জেসমিনা খাতুন (১৬)  আরজেলুর রহমানকে গালাগালি শুরু করে। আরজেলুর রহমান কোন কথা না বলে বেড়া ঠিক করে চলে আসে।

পরবর্তীতে জেসমিনের বাবা মা সহ এলাকার কুচক্রি মহল রটনা রটায় যে আরজেলুর রহমান জেসমিনকে ধর্ষণ করেছে। এই মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার পরদিনই আরজেলুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে ইসমাইল পরিবারের বিরুদ্ধে  একটা  মানহানি মামলা দায়ের করেন।

মানহানি মামলা নং ঈজ ১৫৩/১৮। মানহানি মামলা দায়েরের কয়েকদিন পরে ইসমাইল সহ এলাকার প্রভাবশালী মহল আরজেলুর রহমানের বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

উক্ত মামলা নং এজ ৯৬/১৮। আরজেলুর রহমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গত ১৩ মে ২০১৮ খ্রি: তারিখে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।কিন্তু ইসমাইলের দায়ের করা মিথ্যা ধর্ষণ মামলার মেডিকেল রিপোর্ট ও তদন্ত রিপোর্ট আরজেলুর রহমানের শতভাগ পক্ষে আসে।

মেডিকেল রিপোর্ট ও তদন্তরিপোর্টে নির্দোষ প্রমানিত হয়ে আজ ১১ জুলাই ২০১৮ খ্রি: তারিখে মেহেরপুর জেলা জজ আদালত আরজেলুর রহমানকে জামিন প্রদান করেন। আরজেলুর রহমানের পক্ষে মামলা মোকাবিলা করেন মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট শফিকুল আলমএবং ইসমাইলের পক্ষে মামলা মোকাবিলা করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান।এ মামলা প্রসঙ্গে বিবাদীর আইনজীবী এডভোকেট শফিকুল আলম বলেন, "মামলাটি যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত  তা মেডিকেল রিপোর্ট সবচেয়ে বড় প্রমান।

মেডিকেল  রিপোর্ট ও তদন্ত রিপোর্ট প্রমান করে আরজেলুর রহমান নির্দোষ ও ইসমাইল পরিবার আরজেলুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীএবং আরজেলুর রহমানের দায়ের করা মানহানি মামলা যৌক্তিক ও প্রমানসাপেক্ষ"। আরজেলুর রহমানের ছেলে আসাদুল্লাহ  বলেন, "ইসমাইল সহ এলাকার প্রভাবশালী লোকজনের হুমকিতে  আমরা আজ গ্রামছাড়া ভিটেছাড়া।

ইসমাইলসহ এলাকার প্রভাবশালীরা আজবধি হুমকি দিয়ে আসছে যে,৫ কাঠা জমি ও ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টা মিমাংসা করার জন্য"। এ ব্যাপারে আরজেলুর রহমানের  বক্তব্য যে, আমি কোন অন্যায় করিনি। অতএব কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করবনা। সত্যের জয় হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। আজ ১১ জুলাই ২০১৮ খ্রি: তারিখে আরজেলুর রহমান  জামিনে মুক্ত হয়ে  বলেন,"সত্যের জন্য আমি জীবন দিব কিন্তু মিথ্যা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করবনা"।

আরজেলুর রহমানের পরিবারের দাবি ইসমাইলসহ প্রভাবশালীরা আরজেলুর রহমানের পক্ষের লোকজনদের হুমকি দিচ্ছে যে, আরজেলুর রহমানের পক্ষে সাক্ষি দিতে গেলে মিথ্যা মামলায় তাদেরকেও জড়িয়ে দেওয়া হবে। একারনে আরজেলুর রহমানের পক্ষে প্রকাশ্যে কেউ পক্ষগ্রহন করতে সাহস পাচ্ছেনা। আরজেলুর রহমানের দায়ের করা  মানহানি মামলার রিপোর্ট ইসমাইল তার পক্ষে নেওয়ার জন্য শতমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় আরজেলুর রহমানের পরিবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে  ন্যায় বিচার দাবি করেছেন






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply