চশমা পরে মাঠ দাপিয়েছেন যে সব ক্রিকেটার
অঞ্জন দত্তের বিখ্যাত গান 'চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়া'র কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। চশমা-হীন পৃথিবী যে কতটা বিষন্নতা কেবল চশমিশেরাই জানে। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বে এমন অনেক তারকাই আছেন, যারা মাঠ মাতিয়েছেন এই চশমা পড়েই। গাড়ে জড়িয়েছেন কিংবদন্তির তকমা। তেমনি কিছু 'চার চোখু' ক্রিকেটারকে নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের এবারের প্রতিবেদন।
টানা দুইটা বিশ্বকাপ। ভারী রিমের আড়ালে এক কিংবদন্তির উপাখ্যান। নিশ্চিতরূপেই চশমা-ধারী তারকার সবচাইতে বড় বিজ্ঞাপন, সাবেক ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক স্যার ক্লাইভ লয়েড। যার নেতৃত্বে, সে সময়ের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ দলে পরিণত হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রান করেছেন ৯৪৯২।
এবারের গল্পটাও' এক অধিনায়কের। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ভদ্র ক্রিকেটাররে তকমা যার গায়ে, তিনি ব্ল্যাকক্যাপস অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি। ১৯৯৭ সালে অভিষেকের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাতিয়েছেন দেড়যুগ। সাকিবের মসনদ হারানোর আগে ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের শীর্ষে। ব্যাট হাতে ৬টা সেঞ্চুরিও আছে ভেট্টরির। টাইগারদের বর্তমান স্পিনিং বোলিং পরামর্শক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে উইকেট নিয়েছেন ৭০৫টি।
বর্ণবাদের কালো থাবায় ক্যারিয়ারটা লম্বা হয়নি। তবে যতদিন খেলেছেন চিনিয়েছেন নিজের জাত। বলা হচ্ছে সাবেট প্রোটিয়া অলরাউন্ডার আর টাইগারদের সাবেক কোচ এডি বারলোর কথা। বারলো তার খেলোয়াড়ি জীবনের শুরু থেকেই খেলতেন চশমা পড়ে। বিশ্ব একাদশের হয়ে ৫ বলে ৪ উইকেট নেওয়ার দারুণ কৃতিত্ব আছে তাঁর। তবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে কারণে বাংলাদেশ বেশিদিন সার্ভিস পায়নি বারলোর।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র ৩৫ মিনিটে সেঞ্চুরি হাঁকানো ইংলিশ ম্যান পার্সি ফেন্ডার প্রথম শখ করেই চশমা পড়তেন। পরে আর চশমা খোলেননি। পুরো ক্যারিয়ারে মাঠ দাপিয়েছেন এই চশমা পরেই। আর চশমাধারী পেস বোলার ছিলেন বিল বোয়েস। যার কাছে বারবারই ধরাশায়ী হতেন ক্রিকেট বিশ্বের সর্বকালের সর্বসেরা ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডম্যান।
পাকিস্তানের কিংবদন্তির তকমা পাওয়া ব্যাটসম্যান জহির আব্বাস তার প্রায় পুরোটা ক্যারিয়ার পার করেছেন চশমা পড়ে। রিমলেস চশমায় ফুটে উঠত তাঁর ব্যাটিং-ব্যক্তিত্ব। টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটেই আব্বাসের ব্যাটিং গড় চল্লিশের ওপরে।
একসময় ওয়ানডে ক্রিকেটের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটা দখলে ছিলো জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান চার্লস কভেন্ট্রির। ১৯৪ রানের যে ইনিংসটা আবার তার ক্যারিয়ারের একমাত্র শতক। যে কারণে ৩৯টির বেশি ওডিআই খেলা হয়নি 'চার চোখু'র এই ক্রিকেটারের।
চশমিশ ক্রিকেটার ছিলেন টাইগার ডেরায়ও। তিনি বাংলাদেশের টেস্ট-পূর্ব যুগের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার আজহার হোসেন। তাকে অবশ্য শান্টু নামেই সবাই চিনতো। আরো একটা পরিচয় আছে আজহারের। তিনি টাইগারদের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান অপির চাচা। বাংলাদেশের হয়ে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত খেলেছেন আজহার হোসেন।
এছাড়া পাকিস্তানের ইমাম-উল হক, ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্মিথ, ভারতের বিজয় আনন্দ ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার ভেলেন্টাইন নিউজিল্যান্ডের ওয়াল্টার হ্যাডলি সবাই নিজের পুরোটা ক্যারিয়ার শেষ করেছেন এই চশমা পড়েই।
Tag: games

No comments: