Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের ১৩ কিলোমিটারে মহাভোগান্তি




  ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের ১৩ কিলোমিটারে মহাভোগান্তি


ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক। এই সড়কের ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত দূরত্ব মাত্র ১৫

কিলোমিটার। এই ১৫ কিলোমিটারের মাঝে দুই কিলোমিটার রয়েছে চলাচলের উপযোগী। বাকি ১৩ কিলোমিটার বর্তমানে পথচারীদের মহাভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


মহাসড়কটির এই অংশে পিচ-পাথর উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। অনেক স্থানে এতো বড় গর্ত তৈরি হয়েছে যে, গর্তে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঝে মধ্যে পিচ রাস্তায় ইটের সলিং করে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


ওই সড়কে চলাচলকারী একাধিক যানবাহনের চালকরা বলছেন মাত্র ২০ মিনিটের পথ এখন ৪০

মিনিটেও যাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া এই ভাঙ্গাচুরা সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক স্থানেই গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকছে। মাঝে মধ্যে নামমাত্র সংস্কার করা হচ্ছে, যা সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। সড়কটুকুতে কর্তৃপক্ষের সু-নজর নেই।


অবশ্য সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, তারাও সড়কটি নিয়ে বিব্রত। সড়ক ও জনপথ বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়া থেকে যশোর আর ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা পর্যন্ত ঝিনাইদহ অংশে প্রায় ৭০ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এই মহাসড়কের ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত বর্তমানে চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।


সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহের হামদহ বাসস্ট্যান্ডের পর থেকে লাউদিয়া, চুটলিয়া, তেতুলতলা, বিষয়খালী, কয়ারগাছি, ছালাভরা, বেজপাড়া, খয়েরতলা, নিমতলা বাসস্ট্যান্ড, মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিটুমিন (পিচ) আর পাথর উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই সকল স্থানে বর্তমানে এমন অবস্থা বিরাজ করছে যা পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৃষ্ট গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সড়ক বিভাগ থেকে মাঝে মধ্যে সংস্কার করা হলেও সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো ভালো হচ্ছে না। সংস্কারের এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।


একাধিক যানচালক জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটির পিচ-পাথর উঠে গর্ত তৈরি হয়। আম্পান ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছিল সড়কের। এরপর কয়েকদফা গর্ত ভরাট করা হয়েছে, কিন্তু ২-৪ দিন পরই আবার পূর্বের অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। সংস্কার করা স্থানগুলো সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও ভেঙ্গে গর্তে পরিণত হচ্ছে। যে কারণে সড়কটি দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।


ট্রাক চালক আব্দুল আলিম জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগ হচ্ছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক। যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ঝিনাইদহের উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল করে। মোংলা নৌবন্দর থেকেও মালামাল নিয়ে ট্রাক চালকরা এ জেলার উপর দিয়েই উত্তরবঙ্গে যান। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু সড়কটির ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ভেঙ্গেচুরে যাওয়ায় অতিরিক্ত সময়ের পাশাপাশি তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।


জেলার শৈলকুপা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, পেশার প্রয়োজনে প্রায়ই কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর যেতে হয়। বর্তমানে তিনি মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে গ্রামের মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেলে চলাচল করেন। এই সামান্য সড়ক কেনো ভালো করা যাচ্ছে না তা ভেবে পাচ্ছেন

না বলে জানান তিনি।


এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হায়দার জানান, এই সামান্য সড়কটুকু নিয়ে তিনিও বিপদে আছেন। চেষ্টা করছিলেন পিএমপি প্রকল্পের আওতায় সড়কটুকু সংস্কারের। সে লক্ষে উচ্চ পর্যায়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আশা করছেন দ্রুত সড়কটি সংস্কারে বরাদ্দ মিলবে। তবে আপাতত চলাচলের জন্য উপযোগী রাখতে ক্ষুদ্র মেরামত চলছে বলে তিনি জানান।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply