কেরানীগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত শিল্পী মিতা হক
ফুলেল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হককে শেষ বিদায় জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। রোববার, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য, বেলা ১১ টা থেকে প্রায় এক ঘন্টা মরদেহ রাখা হয় ছায়ানট ভবনে। এরপর, বাদ জোহর জানাজা শেষে কেরানীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মিতা হককে।
রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ছায়ানটে নিয়ে আসা হয় কফিন বন্দি মিতা হককে। এরপর, বেলা ১১ টায় শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। অশ্রুসিক্ত নয়ন আর আবেগাপ্লুত কন্ঠে গানে গানে শেষ বিদায় জানানো হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হককে।
শেষ বিদায় জানাতে ছুটে আসেন তার দীর্ঘ দিনের সঙ্গীতাঙ্গনের সহশিল্পীসহ সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্বরা। শুধু শিল্পীই নন, মিতা হক ছিলেন শিক্ষকও।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বেশ কিছু দিন যাবৎ শারীরিক নানা সমস্যায় ভূগছিলেন তিনি। সপ্তাহ তিন আগে করোনা আক্রান্তও হন মিতা হক।করোনা পরবর্তী জটিলতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক রোববার ভোর ৬ টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিলো ৫৯ বছর।
এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিতা হক। তার একক ভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম রয়েছে। মঞ্চ ও টেলিভিশনের শক্তিমান অভিনেতা প্রয়াত খালেদ খান ছিলেন তার স্বামী। তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। একমাত্র মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।
সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে তিনি একুশে পদক পান। মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায়।
Tag: English News politics
No comments: