মঙ্গলগ্রহে পানি উৎপাদনের রোবট বানিয়ে তাক লাগালেন মিসরের প্রকৌশলী!

বাতাসের আর্দ্রতাকে কাজে লাগিয়ে জমা করা হয় পানির কণা। এভাবে লাখ লাখ পানির কণা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় দৈনিক পাঁচ হাজার লিটারের বেশি পানি উৎপাদন করা সম্ভব। মঙ্গলগ্রহে পানি উৎপাদনের রোবট বানিয়ে তাক লাগালেন মিসরের প্রকৌশলী! সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এমনই এক রোবট তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মিসরের এক তরুণ প্রকৌশলী। পানিই জীবন, পানিতেই প্রাণ। পৃথিবীর বাইরে বাসযোগ্য গ্রহ খুঁজে বের করার পক্ষে এই একটাই শর্ত। সৌরজগতের এত গ্রহের মধ্যে তার বিন্দুমাত্র ইঙ্গিতও যদি কোথাও পাওয়া যায়, আনন্দের সীমা থাকে না আমাদের। এক্ষেত্রে সুখবর নিয়ে এলো রোবট 'ELU' বাতাসের আর্দ্রতাকে কাজে লাগিয়ে যে কোনো গ্রহে হাজার হাজার লিটার পানি জমা করতে সক্ষম রোবটটি তৈরি করেছেন মিসরের তরুণ প্রকৌশলী মাহমুদ এলকৌমি। বর্তমানে লালগ্রহে অনেক বেশি আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করলেও অতিরিক্ত বায়ুমণ্ডলীয় চাপের কারণে সেখানে তরল পানি থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু সেখানে রয়েছে বরফ। পৃথিবীর কাছাকাছি বসবাসের বিকল্প গ্রহের সন্ধানে দীর্ঘদিন ধরেই মঙ্গলে প্রাণ ও পানির অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা করে আসছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মঙ্গলগ্রহের অভিযানে অনুপ্রাণিত হয়েই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে ELU রোবট তৈরি করেন মাহমুদ। প্রকৌশলী মাহমুদ এলকৌমি বলেন, ELU তে এমন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা বাতাসের আর্দ্রতা থেকে পানিকে আলাদা করতে পারে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মঙ্গলের উচ্চ আর্দ্রতার অঞ্চলে গিয়ে বিশুদ্ধ পানি উৎপাদনে সক্ষম। লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য এটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। আরও পড়ুন: তালেবানের পাশে দাঁড়িয়ে জরুরি সহায়তা ঘোষণা চীনের এভাবে ELU কম খরচে দৈনিক ৫ হাজার লিটারের বেশি পানি জমা করতে পারে বলে দাবি করেছেন এর প্রস্তুতকারক। এতে একদিকে যেমন প্রযুক্তি ব্যবহারে খরচ কমানো সম্ভব, অন্যদিকে শক্তির অপচয়ও কমবে। রোবটটি ব্যবহারে এক লিটার পানি উৎপাদনের খরচ মাত্র দেড় থেকে ২ সেন্ট, যেখানে অন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই কাজ করতে প্রায় ২০ গুণ বেশি অর্থ খরচ হয়। ELU তৈরি করতে নয় মাসের বেশি সময় লেগেছে মাহমুদের।