Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মেহেরপুর এর রাজনীতি এর ইতিহাস




মেহেরপুর এর রাজনীতি এর ইতিহাস

ফিরে দেখা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনী এলাকা-৭৩ মেহেরপুর-১ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী এলাকা-৭৩ মেহেরপুর-১ গঠিত হয়েছে সদর উপজেলার ১টি পৌরসভা, ৫টি ইউনিয়ন ও মুজিবনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। এ নির্বাচনী এলাকয় তখন ভোটার ছিলো ১ লাখ ৪২ হাজার ৭১২। মোট ৬৩ টি ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন ৯২ হাজার ৮৮৮ ভোটার। মাত্র দু জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। ন্যাপের (মোজাফফর) প্রার্থী জমির উদ্দিন সরকারকে ১৬ হাজার ৯০০ ভোটে পরাজিত করে বিজয়ী হন আ.লীগের প্রার্থী মো. ছহিউদ্দিন সে হিসেবে এ আসনের প্রথম সংসদ সদস্য আ.লীগের প্রার্থী মো. ছহিউদ্দিন। বিজয়ী এ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৫৬ হাজার ৭৬। আর পরাজিত জমির উদ্দিন সরকারের প্রাপ্ত ভোট ৩৯ হাজার ১৭৬। এ নির্বাচনে ৩ হাজার ৪৩০ ভোট বাতিল হয়। দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফ্রেব্রয়ারি। এ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আহাম্মদ আলী ৩১ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আ.লীগের (মালেক) প্রার্থী মো. ছহিউদ্দিন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১৬ হাজার ১৬০। স্বতন্ত্রপ্রার্থী খন্দকার আমিরুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ছিলো ৬ হাজার ৫০০। আ. লীগের (মিজান) প্রার্থী ইদ্রিস আলী ৯৭০ ভোট পান। ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী মো. ছহিউদ্দিন ৩৩ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) আমিরুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ২৪ হাজার ৪৫৩। আর তৃতীয় স্থানে ছিলেন মুসলীম লীগের প্রার্থী আওয়াল হোসেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৯ হাজার ৬৬৬। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রমজান আলী । পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালের ২৭ জানুয়ারি। এ নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান মাত্র ৮৪২ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থী আহাম্মদ আলীকে পরাজিত করেন। বিজয়ী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিলো ৪০ হাজার ৪৭৪। আর পরাজিত আহাম্মদ আলীর প্রাপ্ত ভোট ৩৯ হাজার ৬৩২। জামায়াতের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ২৯ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। জাতীয় পার্টির (জাপা) রমজান আলীর প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৮৩। ন্যাপের প্রার্থী মোজাম্মেল হক ১ হাজার ১০২ এবং জাকের পার্টির এম হাবিব ৩৬৪ ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠ হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ বি এন পি সমর্থিত আহাম্মদ আলী নির্বাচিত হন , কিন্তু তাতে কোন বড় বিরোধী দলের অংশ গ্রহন ছিল না । তাই ১২ জুন আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে মোট ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী আহম্মদ আলী ৬০ হাজার ৬২১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন ৫১ হাজার ৩৬৬ ভোট পান। পরাজয়ের ব্যবধান ৯ হাজার ২৫৫। তৃতীয় হন জামায়াতের প্রার্থী আ.সমীর উদ্দিন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৩ হাজার ৯২৯। জাতীয় পার্টির (জাপা) রমজান আলী ১ হাজার ৬৫৯, জাকের পার্টির এসএমএ হাবিব ৩৯০ ও গণফোরামের আল আমিন ১২৩ ভোট পান। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর। এ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মাসুদ অরুন বিশাল ভোটের ব্যবধানে আ.লীগের প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানকে পরাজিত করে। বিজয়ী মাসুদ অরুণের প্রাপ্ত ভোট ছিলো ১ লাখ ২ হাজার ২৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের প্রাপ্ত ভোট ৬৯ হাজার ৯৭১। জাতীয় পার্টির (জাপা) মোতাদিম বিল্লাহ ৫ হাজার ৫৩২, স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাহাবুদ্দিনের ১ হাজার ৪২৪ ও আরেক স্বতন্ত্রপ্রার্থী এমএ হামিদ মাত্র ১০৯ ভোট পান। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৬ হাজার ৬১৩ জন। এরমধ্যে বাতিল হয় ৩ হাজার ৩৯৩। এ নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। বিজয়ী এ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিলো ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯২, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মাসুদ অরুনের প্রাপ্ত ভোট ছিলো ৬২ হাজার ৭৪৫। তৃতীয় হন জামায়াতের প্রার্থী আ. সমীর উদ্দিন, তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৫৬। আর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. কাছেমী ১ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২২ হাজার ২৪৯ জন, আর মহিলা ভোটার ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৭ জন। হিসাব করে দেখা গেছে পুরুষের থেকে ৩ হাজার ৮৩৮ জন মহিলা ভোটার বেশি। এসকল ভোটারদের জন্য ৯৮টি ভোট কেন্দ্র ও ৫২৯টি ভোট কক্ষের ব্যবস্থা করা হয় । ফরহাদ হোসেন ৮০,১৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন । স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়ারুল ইসলাম ফুটবল প্রতীকে ১৩,৯১৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন । ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২,৬৯,৬০৫ জন, পুরুষ ভোটার ১,৩৩,৬০৯ জন নারী ভোটার ১,৩৫,৯৯৬ জন মোট প্রার্থী ৫ জন । আওয়ামীলীগ প্রার্থী ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়ে ১,৬৯,২০৪ নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মাসুদ অরুন পান ১২,৯৫৯ ভোট । এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আবুল কাশেম কাছেমী ১০২০, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ৯৮০ এবং জাকের পার্টির সাইদুল আলম ৬০৭ ভোট পান। অপর দিকে মেহেরপুর-(৭৪) ২ (গাংনী) আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সাহিদুজ্জামান খোকন জয়লাভ করেন। তিনি পান ১,৬৯,০১৪ ভোট। তার নিকটতম বিএনপি প্রার্থী জাভেদ মাসুদ মিল্টন পান ৭,৯০০ ভোট






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply