Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » বাবরি মসজিদ ভাঙার অনুশোচনা সেই নওমুসলিম বলবীর নির্মাণ করেন ৯০ মসজিদ




বাবরি মসজিদ ভাঙার অনুশোচনা সেই নওমুসলিম বলবীর নির্মাণ করেন ৯০ মসজিদ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের গম্বুজে ওঠে শাবলের আঘাত মেরেছিলেন শিবসেনার সক্রিয় কর্মী বলবীর সিং। মসজিদ ভাঙার তীব্র অনুশোচনা থেকে পরে মুসলমান হয়ে বলবীর সিং থেকে নাম রেখেছেলিন মোহাম্মদ আমির। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ৯০টি মসজিদ নির্মাণে সহায়তা করেন। বাবরি মসজিদ আঘাতকারী বলবীর সিং পরবর্তীতে মুসলিম হয়ে যান। ছবি:সংগৃহীত

বাবরি মসজিদ ভাঙার কাজে অংশ নেয়ার পর বলবীর সিংকে বাড়ি থেকে বের করে দেন বাবা দৌলতরাম। স্ত্রীও হাত ধরেননি বলবীরের। এরপর আর দ্বিতীয় সন্তান বলবীরের মুখ দেখেননি বাবা। মোহাম্মদ আমির ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আর ইংরেজি এই তিনটি বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি ছোটবেলায় তার পরিবারের সঙ্গে পানিপথের একটি গ্রামে থাকতেন। তার বাবা গান্ধীবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু বড় হওয়ার পর হঠাৎ করেই বলবীর আরএসএসের কর্মীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরপর তাদের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু হয়। শিবসেনার কর্মীদের থেকে সম্মান পেয়ে তাদের সঙ্গে কাজেও যুক্ত হন বলবীর। শিবসেনার কর্মীরাই তাকে অযোধ্যায় পাঠিয়েছিলেন বাবরি মসজিদ ভাঙতে। বাবরি মসজিদ ভেঙে পানিপথে ফিরে যাওয়ার পর তাকে ও তার বন্ধুদের দেয়া হয় সংবর্ধনা। মোহাম্মদ আমির ২০২১ সালে জুলাই মাসে মারা যান। ভারতের হায়দারাবাদ প্রদেশের তেলাঙ্গানার ভাড়া বাসায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে ২০১৯ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আমির বলেন, ‘শিব সেনার দলে যোগ দেয়ার পর আমি উগ্রবাদী হয়ে উঠি। দিল্লির কাছে হরিয়ানায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রশিক্ষণ শিবিরে ও পানিপথে কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতাম।’ আরও পড়ুন:বাবরি মসজিদ রক্ষা আন্দোলনের শীর্ষ নেতা জাফরইয়াব আর নেই আনাদোলুকে আমির আরও জানান, বাবরি মসজিদে হামলার দিন কার্যত সেখানে কোনো নিরাপত্তা ছিল না, যা তাদের সেখানে আক্রমণে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মসজিদ ভেঙে ফেরার পথে সবাই আমাদের নায়কের চোখে দেখছিল, কিন্তু আমার পরিবারের প্রতিক্রিয়া ছিল পুরোপুরি ভিন্ন যা আমাকে মর্মাহত করে। আমি বাবরি মসজিদের জায়গায় ভগবান রামের নামে মন্দির তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। ভুল বুঝতে পেরে, আমি ১০০টি মসজিদ নির্মাণ করে আমার পাপ মোচনের করতে চাই।’ এরপর আমির মাওলানা কালেম সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। এক সময় সবকিছু হারিয়ে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করতে বলবীর সিং ওরফে মোহাম্মদ আমির ভেঙে পড়া শ’খানেক মসজিদ মেরামত করতে চান। বলবীরের দাবি, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৭, এই ২৪ বছরে উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে মেওয়াটে বেশকিছু মসজিদ খুঁজে বরে করে সেগুলো মেরামত করেছেন তিনি। আরও পড়ুন:মদ খেয়ে বাবরি মসজিদ রায় উদযাপনে বিচারপতিরা! ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলে ছিল বাবরি মসজিদ। রাম মন্দির ধ্বংস করে ওই মসজিদ গড়া হয়েছিল, এই দাবি তুলে হিন্দু জনতা ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভেঙে দিয়েছিল। তারপরে সারা দেশে শুরু হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, অভিযোগ তাতে মারা গিয়েছিলেন প্রায় দুই হাজার মানুষ। ২০১৯ সালে অযোধ্যা মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের বিতর্কিত জায়গাটি একটি ট্রাস্টকে দেয়া যেতে পারে এবং সেখানে একটি রামমন্দির তৈরি করা যেতে পারে। একইভাবে, উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বলা হয় যে, তাদের পাঁচ একর জমি দেয়া হবে, যেখানে তারা একটি মসজিদ তৈরি করতে পারবে। রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়। যদিও মসজিদের কাজ এখনও শুরু হয়নি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply