সমুদ্র পথে গাজায় ত্রাণ যাবে ১৫ মার্চ থেকে
ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য সমুদ্রপথে একটি করিডর চালু করা হচ্ছে। ১৫ মার্চ থেকে এই করিডরের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হবে।
যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেয়ার একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধানের এই ঘোষণা এল। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেয়ার একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধানের এই ঘোষণা এল। ছবি:
শুক্রবার (৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সাইপ্রাসে উরসুলা ভন ডার লিয়েন এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, সমুদ্রপথে এই করিডর মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা গাজায় আরও বেশি ত্রাণ পাঠানোর সুযোগ করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেয়ার একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধানের এই ঘোষণা এল।
উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন,
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামে একটি দাতব্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এই করিডর দিয়ে গাজায় ত্রাণ যাবে। তবে এভাবে ত্রাণ পাঠানো কঠিন। এ জন্য স্থলপথে ত্রাণ পাঠাতে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা চলবে।
আরও পড়ুন: গাজায় বড় পরিমাণে ত্রাণ সহায়তা পাঠালো তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট
এরআগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার স্টেট অব দা ইউনিয়ন ভাষণে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য গাজা উপকূলে বন্দর নির্মাণ করবে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার পর মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ওই বন্দরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের কাছে পাঠানো ত্রাণ সহায়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং প্রতিদিন অতিরিক্ত কয়েকশ ট্রাকে করে এসব ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হবে।
তবে অস্থায়ী বন্দরটি নির্মাণ শেষ করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে কর্মকর্তারা জানান। এ বন্দরে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও অস্থায়ী আশ্রয় সামগ্রী নিয়ে বড় জাহাজ আসতে পারবে।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধ / বিমান থেকে ত্রাণ ফেলে কি দুর্ভিক্ষ কমছে?
গত রোববার উত্তর গাজায় বিমান থেকে ৩৬ হাজার প্যাকেট খাবার ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। জর্ডানের সঙ্গে সমন্বয় করে এদিন দ্বিতীয়বারের মতো খাবার ফেলে জো বাইডেন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের পাশাপাশি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর গত কয়েক সপ্তাহে গাজায় ২০ বারের মতো খাবারের প্যাকেট ফেলেছে।
বিমান থেকে এভাবে খাবার ফেলার বিষয়টি ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, গাজায় যে দুর্ভিক্ষ চলছে, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলে তা কতটুকু মিটবে।
Tag: English News politics world
No comments: