Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ঐতিহ্যবাহী দুটি জনপ্রিয় মিষ্টি হল রসকদম্ব ও সাবিত্রী মেহেরপুর শহরের বসুদেবের




বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মেহেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী দুটি জনপ্রিয় মিষ্টি হল রসকদম্ব ও সাবিত্রী। ভারতের মালদা জেলাতেও রসকদম্বের একটি সংস্করণ রয়েছে। রসকদম্বর মূল উৎপত্তিস্থল হলো রাজশাহী অঞ্চল। সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন? রসকদম্ব মিষ্টির নাম হলেও এই মিষ্টিতে কিন্তু কোন রস নেই। সাবিত্রী নামের মিষ্টি ও দুধের চাছি থেকে উৎপন্ন এটি অন্যন্য মিষ্টির মত রসালো না হলেও ভেতরে কিছুটা রসালো হয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ও এর স্বাদ দীর্ঘদিন ধরে অটুট থাকে আর এটি হলো সাবিত্রী মিষ্টির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রসকদম্ব ও সাবিত্রী নামক মিষ্টি তৈরি করেন প্রায় দেড় শতাধিক বছর পূর্বে ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ রাজত্বকালে মেহেরপুর শহরের জৈনিক বসুদেব। বাসুদেব তার নিজ বাড়ির একাংশে মিষ্টির দোকানে তৈরি করেন এই মিষ্টি দুটি। মেহেরপুর অঞ্চলের বাসুদেবের সাবিত্রী এবং রসকদম্বর দোকানটি ছিল জমিদার সুরেন বোসের জমিদার বাড়ির সিংহ ফটকের সামনেই। এমনকি জমিদার বাড়িতে আসা সকল অতিথিদের আপ্যায়ন করা হতো সাবিত্রী ও রসকদম্ব দিয়ে। দোকানে সে স্থানটিতে বর্তমানে বাসুদেবের দুই নাতি বিকাশ কুমার সাহা ও অনন্ত কুমার সাহা 'বাসুদেব গ্রান্ড সন্স' নামে মিষ্টির দোকানটি পরিচালনা করছেন। সাবিত্রী তৈরিতে দুধের সর ও চিনি মূল উপাদান। এই মিষ্টি তৈরিতে প্রায় প্রতি কেজিতে মাত্র ৬ -৮টা সাবিত্রী তৈরি করা যায়। এই মিষ্টি তৈরিতে দুধ জ্বাল নির্দিষ্ট সময় ব্যাপী নির্ধারিত তাপের চুলায় সুচারুভাবে প্রস্তুতকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে কাজ করে।

অন্যদিকে রসকদম্ব এর ক্ষেত্রে প্রথমে ছানা দিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করা হয়। এরপর তা থেকে বাড়তি রস ছেড়ে ফেলা হয়। ছোট ছোট বলগুলোকে খোয়া ক্ষীরের আস্তরণে ঢেকে সবশেষে ভাজাপোস্ত বা চিনি দানা দিয়ে কদম ফুলের মত আকৃতি দেওয়া হয়। মেহেরপুরের এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি সাবিত্রী ও রসকদম্ব ছোট থেকে বড় সবার কাছে ভীষণভাবে প্রিয়। বর্তমান সময় যে ধরনের রসকদম্ব অন্যান্য জেলায় বা ভারতের মালদায় প্রচলিত তা মূলত এই মেহেরপুর ঘরানার রসকদম্ব।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply