Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » হাঁটু ব্যথার সমাধান কী ?




হাঁটু ব্যথার সমাধান কী ? হাঁটু বারবার লক হয়ে গেলে, হাঁটু বেঁকে গেলে, রোগী বিছানা ছেড়ে উঠতে না পারলে হাঁটু প্রতিস্থাপন করানোই নিয়ম। তবে অস্টিওআর্থ্রাইটিস কয়েকটি পর্যায়ে এগোয়। কিছু পর্যায়ে অপারেশন ছাড়াও অন্যভাবে চিকিৎসা করা যায়। হাঁটু ব্যথার ওষুধ প্রাথমিক স্তরে রোগ ধরা পড়লে ওষুধ দিয়ে রোগকে একটা গণ্ডিতে বেঁধে রাখার চেষ্টা করা হয়। যাতে আরও খারাপ দিকে না এগোয়। প্রাথমিকস্তরে ওষুধের কাজ হল মানুষটির ব্যথা এবং প্রদাহ কমানো। এই কাজে সবথেকে নির্ভরযোগ্য ওষুধ হল প্যারাসিটামল। এছাড়া হাড়ের জোর বাড়াতে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি ওষুধ দেওয়া হয় কিছু ব্যক্তিকে। এখন সিসাডোয়া জাতীয় ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। এই ওষুধটি কার্টিলেজের ক্ষয় হওয়ার গতিকে কমিয়ে দেয়। এছাড়া কার্টিলেজ এবং সাইনুভিয়াল ফ্লুইড তৈরি করতেও সাহায্য করে। এই ওষুধ রোগ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এছাড়া কৃত্রিম সাইনুভিয়াল ফ্লুইডও হাঁটুতে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। আমাদের দেহের ভার শুধুই হাড় বহন করলে ভুল হবে। মাংসপেশিও এই কাজে সাহায্য করে। ফলে হাঁটু দুর্বল হলে তখন মাংসপেশিকে শক্তিশালী করলে হাঁটুও অনেকদিন সচল থাকবে। অস্টিওআর্থ্রাইটিস দেখা দিলে রোগীকে পায়ের পেশির জোর বাড়াতে কিছু এক্সারসাইজ করতেও বলা হয়। রোগীর বয়স এবং শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ব্যায়াম ঠিক করা হয়। বয়স ৪০-এর বেশি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো এরোবিকস এক্সারসাইজ করা যায়। এছাড়া সাঁতার অত্যন্ত ভালো ব্যায়াম। এছাড়া প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো শরীরের ভারসাম্য বাড়ানোর জন্য প্লিয়মেট্রিক ধরনের ব্যায়াম করা যায়। ডায়েট দুধ, ছানা, মাখন, ঘি, পনির, দই-এর মতো ক্যালসিয়াম যুক্ত খাদ্য খেতে হবে। এছাড়া মরশুমি ফল, মাংস, মাছ ইত্যাদি খাদ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। ভিটামিন ডি-এর সংশ্লেষ হয় সূর্যালোকে। তাই সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগাতে হবে। কোন কোন কাজ করবেন না ? হাঁটু মুড়ে বসা যাবে না। বাবু হয়ে বসা, উবু হয়ে বসা, ঝুঁকে কাজ করা ইত্যাদি যথাসম্ভভ করা যাবে না। অস্থিসন্ধি অনেকখানি বেঁকে গেলে, পা নাড়ানো একেবারেই সম্ভব না হলে, ওষুধ ও ইঞ্জেকশনে আর কাজ হয় না। তখন সার্জারিই একমাত্র পথ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply