Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » (১৮৬৯ –১৯৪৩) বৃটিশ আমলে মেহেরপুর মুখার্জী পাড়া দুই চারিটা পাতকুয়া বা কূপের জল পরিবারের লোক খাওয়া হতো তখন পাড়ার কুয়া কূপের জল একমাত্র উৎস ছিল ( তেয়াত্তর পর্ব)




(১৮৬৯ –১৯৪৩) বৃটিশ আমলে মেহেরপুর মুখার্জী পাড়া দুই চারিটা পাতকুয়া বা কূপের জল পরিবারের লোক খাওয়া হতো তখন পাড়ার কুয়া কূপের জল একমাত্র উৎস ছিল ( তেয়াত্তর পর্ব) মেহেরপুর মুখার্জী পাড়া দুই চারিটা পাতকুয়া বা কূপের জল পরিবারের লোক খাওয়া হতো আর অগ্নি নিব্বাপিত হইত না। পাড়ার কুয়া সুপেয় পানির একমাত্র উৎস ছিল।চল্লিশ-পঞ্চাশ ঘড়া জল তুলিবার পর কৃপগুলিতে আর ঘড়া ডুবিত না।সাধারণত পানীয় জলের উৎস অগভীর কুপই পাতকুয়া। এই অগভীরে খোড়া গোলাকার গর্তের ভেতরে পোড়া মাটির তৈরি গোলাকার পাট । মাটির উপরি স্তর থেকে স্বচ্ছ জলের স্তর পর্যন্ত গভীরে খোড়া গোলাকার কূপ তখন নিরুপায় পল্লীবাসীরা মাথায় হাত দিয়া কাঁদিতে বসিত। তাহাদের মর্ম্মভেদী ক্রন্দনে পল্লী প্রতিধ্বনিত হইত। গৃহস্থিত আসবাবপত্র ও তৈজসপত্রাদি রক্ষা করিবার জন্য অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল অবস্থাপন্ন গৃহস্থরা মাটীকোঠা নিম্মাণ করিত। মাটীর দেওয়াল, সেই দেওয়ালের উপর কাঠের “আড়া' (কড়ি)। পল্লীগ্রামের গৃহস্থী কাঁটাল-গাছের, জাম বা কড়ুই গাছের গুড়ি চিরিয়া এই সকল 'আড়া' প্রস্তুত করিত । অতি অল্প সংখ্যক গৃহস্থেরই শাল কাঠের আড়া ব্যবহারের সৌভাগ্য ঘটিত; সাধারণতঃ অট্রালিকাতেই শালকাঠের আড়া ব্যবহৃত হইত ; কারণ, পল্লী অঞ্চলে শালকাঠের আড়া দুষ্প্রাপ্য ও দুর্মূল্য ছিল । আমাদের ঘরগুলিতে কাঁটাল-কাঠের আড়া ছিল । মাটীর দেওয়ালের উপর প্রত্যেক ঘরে ছয়টি বা আটটি আড়া প্রসারিত থাকিত, তাহার উপর খাটালে খাটালে আম, জাম, কাঁটাল-কাঠের তক্তা পাতিয়া গৃহের অভ্যন্তর ভাগে দেওয়া হইত | সেই তক্তার উপর কয়েক ইঞ্চি পুরু মা্টীর আবরণ থাকিত | তাহার উপর উলুখড়ের চাল । খড়ের ভিতর অগ্নি প্রবেশ করিতে না পারে, এ জন্য দ্বার-জানালার সমান আকারে “মাটীঝাপা' প্রস্তুত রাখা হইত | কতকগুলি বাঁশের বাখারী পর পর সাজাইয়া সেগুলি রজ্জুবন্ধ করা হইত, এবং তাহার উপর পুরু করিয়া মাটী লেপিয়া তাহা শুকাইয়া রাখা হইত । পল্লীর কোন বাড়ীতে অগ্নিকাণ্ড হইলে “মার্টী কোঠা'র মালিক সেই সকল “মাটীঝাঁপা' দ্বারা রুদ্ধ দ্বার-জানালা আচ্ছাদিত করিত এবং তাহাদের কিনারাগুলি কাদা দিয়া ছার-জানালার প্রান্তবর্তী দেওয়ালের সঙ্গে আঁটিয়া দিত | ঘরের চাল ও চালের নিম্নস্থিত বাঁশের সাজ ভম্মীভূত হইলেও ঘরের ভিতরে কোন সামন্ত্রী নষ্ট হইত না। অগ্নিকাণ্ডের পর দ্বার-জানালা হইতে “মার্টীঝাঁপা' অপসারিত হইত, এবং মাটীকোঠার উপর পুনব্বরি বাঁশের সাজ দিয়া, উলুখড় দ্বারা তাহা ছাইয়া লওয়া হইত | সেই সকল বাঁশের সাজ গর্তের জলে পচাইয়া লওয়ায় সেগুলি দীর্ঘস্থায়ী হইত এবং তাহাতে সহজে ঘুন ধরিত না। এই সকল মাটী-কোঠায় কাঠের খুটি ব্যবহৃত হইত | কাঠের খুটি ব্যয়সাধ্য বলিয়া অনেকে বাঁশের মোটা খুটি ব্যবহার করিত ; কিন্তু বাঁশের খুটি মধ্যে মধ্যে পরিবর্তনের প্রয়োজন হইত | খড়ের চালের অন্য অসুবিধাও ছিল ; প্রবল ঝড়ে তাহ উড়িয়া যাইত, বষকালে অধিক বৃষ্টি হইলে খড়গুলি পচিয়া যাইত ; উই পোকাতেও চাল নষ্ট করিত | খড়ের ঘরের এইসকল অসুবিধা ছিল বলিয়া অনেক গৃহস্থ বহু কষ্টে কিছু কিছু অর্থ সঞ্চয় করিয়া দুই একখানি “পাকাঘর' নিম্মাণ করিত । এইরূপে গত কয়েক বৎসরের মধ্যে আমাদের মেহেরপুরে বহুসংখ্যক অট্টালিকা নির্মিত হইয়াছে ।। ”বৃটিশ আমলের খ্যাতনামা লেখক, দীনেন্দ্রকুমার রায়: গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply