Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ১৮২০ খৃস্টাব্দে মেহেরপুরের আমঝুপি, ভাটপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া, বৃত্তিবাড়িয়া প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত (ছাব্বিশ পর্ব)




১৮২০ খৃস্টাব্দে মেহেরপুরের আমঝুপি, ভাটপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া, বৃত্তিবাড়িয়া প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত (ছাব্বিশ পর্ব) আটারো শত কুড়ি খৃস্টাব্দে মেহেরপুরের আমঝুপি, ভাটপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া, বৃত্তিবাড়িয়া প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত (ছাব্বিশ পর্ব) মেহেরপুর অঞ্চলে নীলকরদের বিরুদ্ধে কৃষকবিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন রতনপুর-নাটুদহের জমিদার নফরপাল চৌধুরী। বিভিন্ন স্থানের কৃষকদের বিদ্রোহ এবং বিশেষত: কৃষকরা খাজনা বন্ধ করে দেওয়ায় সরকার নীলচাষীদের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করে। কমিটির সুপারিশ মতে আঠারো শত ষাট সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষার্ধে সরকার নীলচাষ নিয়ন্ত্রণ ও কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। অবশেষে আঠারো শত পচানব্বই সালের শেষের দিকে এ অঞ্চল থেকে নীলচাষ বিলুপ্ত হয়ে যায়।মেহেরপুরের আমদহ ও বল্পভপুরও প্রাচীন এঁতিহ্যের দাবীদার| পুরা- কীতির ধ্বংসস্তুপ এই অঞ্চলের প্রাচীনত্ব ঘোষণা করছে। মেহেরপুর অঞ্চল একসময় নাটোরের রানী ভবানীর জমিদারীর অন্তর্গত ছিলো! তারপর কাশিমবাজারের রাজা হরিনাথ কুমারের হাতে এই বিস্তৃত জমিদারীর দখল আসে। পরে তাঁর পুত্র রাজা কৃষ্ণনাথ জেমস হীল নামের এক কৃখ্যাত নীলকরকে এই ডিহি মেহেরপুর পত্তনি দেন। মেহেরপুরের 'মল্লিক' ও “মুখোপাধ্যায়” বংশও নানাকারণে মেহেরপুরের ইতিগসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে।" নীলচাষ ও নীল-হাঙ্গামার জন্য মেহেরপুরের নাম গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করতে হয়। জানা যায়: মেহেরপুর অঞ্চলে সেকালে বিস্তর নীলকর সাহেব বাস করিতেন, মেহেরপুরের ফৌজদারী আদালতে তাঁহাদের মামলা-মকর্দ্দমার বিরাম ছিল না | অধিকাংশ মামলাই নীলসংক্রান্ত, সুতরাং নীলকর সাহেবদের স্বার্থ সেই সকল মামলার সহিত বিজড়িত ছিল। মেহেরপুরের আমঝুপি, বিদ্যাধরপুর, কসবা, ভাটপাড়ায় প্রধান নীলকঠি-গুলো অবস্থিত ছিলো। মেদিনীপুর জমিদারী কোম্পানীর নীলের কারবার মেহেরপুব মহকুমায় বিস্তৃত ছিলো এবং আমঝুপি নীলকৃঠি ছিলো এই অঞ্চলের পদর দপ্তর। নীল-আন্দোলন এবং পরবর্তীকালের সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনেও মেহেরপুর সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলো

নীলবিদ্রোহ: উনবিংশ শতকের শেষার্ধে মেহেরপুরসহ এই অঞ্চলে নীলকরদের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে ওঠে তা সুসংগঠিত হয়ে ক্রমান্বয়ে বিদ্রোহে রূপ নেয়। মেহেরপুরে নীলের চাষ শুরু হয় সম্ভবত: সতোরো শত ছিয়ানব্বই সালে। আঠারো শত কুড়ি খৃস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়কালে মেহেরপুরের আমঝুপি, ভাটপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া, বৃত্তিবাড়িয়া প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়। নবাব আলীবর্দ্দি খাঁর বদান্যতায় প্রতিষ্ঠিত মেহেরপুর জমিদারির জমিদার গোয়ালা চৌধুরী বর্গী হামলায় নিহত হলে এই জমিদারি নাটোরের রাণী ভবানীর কর্তৃত্বে আসে । রাণী ভবানীর হাত থেকে উক্ত জমিদারি কাশিমবাজারের জমিদার হরিনাথ কাছে হস্তান্তরিত হয়। হরিনাথের পুত্র কৃষ্ণনাথ মেহেরপুর ডিহি জেম্‌স হিল নামক কুখ্যাত ইংরেজ নীল কুঠিয়ালের কাছে পত্তনী দেন। নদীয়া কাহিনী অনুসারে বারো শত আটচল্লিশ বঙ্গাব্দে আটারো শত একচল্লিশ (১৮৪১ খৃ.) জেম্‌স হিল মেহেরপুর পত্তনী নিলেও মথুর বাবু (মথুরানাথ মুখোপাধ্যায়)-এর সাথে তাঁর বিবাদের কারণে বারো শত ষাট বঙ্গাব্দ ( আঠারো শত তেপান্ন খৃ.)-এর পূর্ব পর্যন্ত জেমস হিলের পক্ষে মেহেরপুরের দখল নেওয়া সম্ভব হয়নি। জেম্‌স হিলের কুঠি ছিল নিশ্চিন্তপুরে। তার অত্যাচারের কাহিনী কিংবদন্তী হয়ে আছে। অন্যান্য নীলকরদের মধ্যে কেনী, ফারগুসন, ক্রাফোর্ড, স্টিভেন্‌স, সিম্‌সন, জেম, শেব্‌লী, ওয়াট্‌স ও হেমিল্‌টন তাদের অত্যাচার ও নিপীড়নের জন্য মেহেরপুরের ইতিহাসে কুখ্যাত হয়ে আছেন। নীলকুঠিয়ালদের অত্যাচারের মাত্রা সকল সীমা ছাড়িয়ে গেলে নীলচাষীরা তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ কৃষকরা বিভিন্ন স্থানে নীলকুঠি আক্রমন করেন। তাদের ওপর নীলকরদের অত্যাচারে কোন প্রতিকার না পেয়ে কৃষকরা সরকারি খাজনা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ।লেখাটি আবুল আহসান চৌধুরী রচিত মুনশী শেখ জমিরুদ্দীন গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে।গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর। ----------






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply