Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » নিয়মিত ফল খেলে কমে ফুসফুসে বায়ুদূষণের ক্ষতি




ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি সোসাইটির কংগ্রেসে উপস্থাপিত গবেষণার ফলাফল

নিয়মিত ফল খেলে কমে ফুসফুসে বায়ুদূষণের ক্ষতি পুরুষের তুলনায় নারীদের ফল খাওয়ার প্রবণতা তুলনামূলক অনেক বেশি। এ কারণে গবেষণার ফলাফলে নারীদের তথ্যের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এতে দেখা যায়, বাতাসে পিএম২.৫-এর পরিমাণ প্রতি ৫ মাইক্রোগ্রাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক কম পরিমাণে ফল খাওয়া নারীদের গড় এফইভি১ হ্রাস পেয়েছে ৭৮ দশমিক ১ মিলিলিটার। আর যারা বেশি ফল খান, তাদের ক্ষেত্রে এ গড় হ্রাসের পরিমাণ ৫৭ দশমিক ৫ মিলিলিটার। ফল খাওয়া ফুসফুসের কার্যক্ষমতার ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব কমাতে পারে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে আয়োজিত ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি সোসাইটির কংগ্রেসে এ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির পিএইচডি গবেষক পিমপিকা কায়সরি। উপস্থাপনাটি তুলে ধরার সময় তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রার অতিরিক্ত বায়ুদূষণের সংস্পর্শে আসে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, অতিমাত্রার বায়ুদূষণের সংস্পর্শ ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমায়। আবার অন্যভাবে দেখলে, ফুসফুসের কার্যক্ষমতার উন্নয়ন ঘটায় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। বিশেষ করে ফল ও শাকসবজিতে সমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস ফুসফুসের ভালো কার্যক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বা নির্দিষ্ট কিছু খাদ্যের ধরন ফুসফুসে বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবকে বদলে দিতে বা আংশিক মাত্রায় কমিয়ে আনতে পারে কিনা, গবেষণায় আমরা সেটিই খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম।’ গবেষণার জন্য ইউকে বায়োব্যাংক থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষের তথ্য ব্যবহার করা হয়। এজন্য পিমপিকা কাওসরির নেতৃত্বে গবেষকরা গবেষণার আওতাভুক্তদের খাদ্যাভ্যাসে ফল, শাকসবজি ও শস্য গ্রহণের প্রবণতা, তাদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা (এফইভি১— ফোর্সড এক্সপিরেটরি ভলিউম ইন ওয়ান সেকেন্ড বা এক সেকেন্ডে জোরে ছাড়া নিঃশ্বাসের পরিমাণ) এবং বিভিন্ন সময়ে তাদের বাতাসে পিএম২.৫ (আড়াই মাইক্রোমিটার বা এর চেয়ে কম ব্যাসের ধূলিকনা) দূষণের সংস্পর্শে আসার তথ্যকে পর্যালোচনা করেন। এছাড়া এ গবেষণার আওতাভুক্তদের বয়স, উচ্চতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার মতো অন্যান্য বিষয়কেও বিবেচনায় নেয়া হয়। গবেষণায় দেখা যায়, পুরুষের তুলনায় নারীদের ফল খাওয়ার প্রবণতা তুলনামূলক অনেক বেশি। এ কারণে গবেষণার ফলাফলে নারীদের তথ্যের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এতে দেখা যায়, বাতাসে পিএম২.৫-এর পরিমাণ প্রতি ৫ মাইক্রোগ্রাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক কম পরিমাণে ফল খাওয়া নারীদের গড় এফইভি১ হ্রাস পেয়েছে ৭৮ দশমিক ১ মিলিলিটার। আর যারা বেশি ফল খান, তাদের ক্ষেত্রে এ গড় হ্রাসের পরিমাণ ৫৭ দশমিক ৫ মিলিলিটার। পিমপিকা কায়সরি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষরা সাধারণত নারীদের তুলনায় কম ফল খান। খাদ্যাভ্যাসের এ পার্থক্যই হয়তো ব্যাখ্যা করে কেন বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ফলে থাকা সম্ভাব্য সুরক্ষামূলক প্রভাব কেবল নারীদের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে। তবে আমাদের গবেষণা এটিও নিশ্চিত করেছে, বায়ুদূষণের মাত্রা যাই হোক না কেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পুরুষ ও নারী উভয়েরই ফুসফুসের কার্যক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর যেসব নারী প্রতিদিন অন্তত চারবার ফল খান, বায়ুদূষণ তাদের ফুসফুস কার্যক্ষমতায় অনেক কম নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’ তিনি বলেন, ‘এর আংশিক ব্যাখ্যা হতে পারে ফলে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদানের উপস্থিতি। এ উপাদানগুলো সূক্ষ্ম কণার কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমানোয় সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এতে ফুসফুসে বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব।’ ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি সোসাইটির অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ এক্সপার্ট গ্রুপের দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইতালির তুরিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারা দে মাত্তেইস। গবেষণা দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না। সারা দে মাত্তেইস বলেন, ‘এ গবেষণা নিশ্চিত করছে যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বিশেষত তাজা ফলসমৃদ্ধ খাদ্যতালিকা শ্বসনতন্ত্রের স্বাস্থ্যগত উপকারে আসতে পারে। তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের সমান সুযোগ সবার কাছে নেই। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই জনগণের মধ্যে উদ্ভিদসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস উৎসাহিত করা উচিত। এতে শুধু দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ নয়, মাংসসমৃদ্ধ খাদ্যের কার্বন নিঃসরণ কমানোও সম্ভব হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তবে এর অর্থ এই নয় যে বিভিন্ন দেশের সরকার বায়ুদূষণ কমানোর পরিবেশগত নীতি বাস্তবায়নে হাত গুটিয়ে নিতে পারে। কারণ বায়ুদূষণের কোনো মাত্রাকেই নিরাপদ ধরা যায় না। একই সঙ্গে ব্যক্তির ওপর দায় চাপানোও ঠিক নয়। কারণ ব্যক্তিপর্যায়ের খাদ্যাভ্যাস অনেক ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে নিয়ন্ত্রিত থাকে।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply