Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » রুইকাতসু:জাপানিরা তাদের দেহ-মনের চাপ কমাতে কান্নার কর্মশালা




রুইকাতসু:জাপানিরা তাদের দেহ-মনের চাপ কমাতে কান্নার কর্মশালা

অশ্রু ঝরালে শরীর থেকে কর্টিসল নামক মানসিক চাপের হরমোন কমে যায়। নিয়মিত কান্না করলে ঘুম ভালো হয়, উদ্বেগ কমে ও মন হালকা লাগে। তাই অনেকের কাছে রুইকাতসু এখন এক ধরনের বিকল্প থেরাপি। হাসলে আয়ু বাড়ে— এই বাক্য শুনে শুনে বড় হয়েছি আমরা প্রায় সবাই। আর তাই জীবনের সমস্ত চাপ, দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা একপাশে রেখে আমরা ভালো থাকার অভিনয় করি। নিজেকে ও অন্যকে বলি— ‘মেনে নাও, এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলার নামই জীবন।’ তবে এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম জাপান। হাসিহাসি মুখে দুঃখ চেপে রাখা মানুষদের জাপানিরা বলছে, ‘তিষ্ঠ ক্ষণকাল, একটু কাঁদো, কেঁদে নাও, মন হালকা হবে।’ জাপানিরা কেঁদে ভালো থাকার এ পদ্ধতির নাম দিয়েছে রুইকাতসু। ‘রুই’ শব্দের অর্থ অশ্রু, আর ‘কাতসু’ মানে কার্যক্রম। রুইকাতসুর ভাবনা যারা প্রথম এনেছিলেন তাদের অন্যতম হিদেফুমি ইওশিদা। হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিদেফুমি মনে করেন, কান্না মানুষের দুর্বলতা নয়। বরং কান্না মানুষের শক্তি। আবেগ প্রকাশের অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি। সেই ভাবনা থেকেই ২০২৩ সাল থেকে কান্নার কর্মশালা পরিচালনা শুরু করেন তিনি। কর্মশালায় মানুষ একসঙ্গে বসে আবেগঘন সিনেমা দেখে, পুরনো চিঠি পড়ে বা গল্প শোনে, যাতে সবার চোখে জল আসে। কেউ কেউ আবার প্রশিক্ষিত কান্না-সহায়ক হিসেবে উপস্থিত থাকেন, যারা অংশগ্রহণকারীদের স্বাচ্ছন্দ্যে কান্না করতে উৎসাহ দেন। রুমাল এগিয়ে দেন, বাড়িয়ে দেন কাঁধও। জাপানি বিশেষজ্ঞদের মতে, অশ্রু ঝরালে শরীর থেকে কর্টিসল নামক মানসিক চাপের হরমোন কমে যায়। নিয়মিত কান্না করলে ঘুম ভালো হয়, উদ্বেগ কমে ও মন হালকা লাগে। তাই অনেকের কাছে রুইকাতসু এখন এক ধরনের বিকল্প থেরাপি। জাপানের কর্মসংস্কৃতি অত্যন্ত কঠোর। সেখানে দীর্ঘ সময় কাজ, প্রতিযোগিতা আর একাকিত্ব অনেককে আবেগ দমন করতে বাধ্য করে। পরিবার বা বন্ধুদের কাছে খোলামেলা আবেগ প্রকাশ করা সবসময় সহজ নয়। তাই নিরাপদ পরিবেশে কান্না করার এই আয়োজন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, বিশেষ করে তরুণ ও মধ্যবয়সীদের মধ্যে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply