Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » কবুতর আকারের সামুদ্রিক পাখিটি খাবারের খোঁজে হারিকেনের পিছে ছুটে ছোট্ট সমুদ্রপাখি




কবুতর আকারের সামুদ্রিক পাখিটি খাবারের খোঁজে হারিকেনের পিছে ছুটে ছোট্ট সমুদ্রপাখি

উত্তর আটলান্টিকের বাতাস যেন তাদের মানচিত্র। তারা জানে কোন পথে বাতাস বইবে, কোন সময়ে ঝড় উঠবে। ফলে খাবারের খোঁজে তারা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যায়। অঝোর বৃষ্টি, বজ্রপাত আর ভয়ংকর ঝোড়ো বাতাসে নিজেদের জীবন বাঁচাতে রীতিমতো হিমশিম খায় মানুষ। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, 'হারিকেন'-এর মতো ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানলে নিরাপদ আশ্রয়ে না ফিরে উল্টো সেদিকেই ছুটে যায় সমুদ্রের কিছু পাখি। কারণ এ ভয়ংকর ঝড়ই তাদের জন্য সংগ্রহ করে রাখে ভোজের আসর। মরক্কোর উপকূল থেকে হাজার মাইল দূরে পাথুরে গর্তে বসবাস ছোট জাতের সমুদ্রপাখির। রাতের ঘন আঁধারে সেখান বসেই আসন্ন ঝড়ের আভাস পায় তারা। শত শত মাইলজুড়ে বিস্তৃত সেই ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ যখন নিরাপদ আশ্রয়ের দিক ছোটে, এ পাখিরা ছুটে যায় ঝড়ের কাছে। কারণ ঝড়ে সমুদ্রের গভীর থেকে উঠে আসে স্কুইড, অক্টোপাস, কাটলফিশ— যা পাখিদের প্রিয় খাবার। হারিকেন সমুদ্র পৃষ্ঠের উষ্ণতা থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এসব পাখির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ডেসার্টাস পেট্রেল নামের সমুদ্রপাখি। আকারে কবুতরের মতো, ওজন মাত্র কয়েকশ গ্রাম। তবুও ঝড়ের সময় ১০০ কিলোমিটার গতির বাতাস ভেদ করে উড়ে বেড়ায়। টিকে থাকে বিশাল ঢেউয়ের মাঝেও। ঝড় পেরোলেই শুরু হয় পাখিদের আসল কর্মযজ্ঞ। ঝড়ে সমুদ্র থেকে উঠে আসা ছোট মাছ, স্কুইড, প্ল্যাংকটন খুঁজতে থাকে তারা। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের বিজ্ঞানী ফ্রান্সেসকো ভেনচুরা বলেন, ‘এটা কল্পনা করা কঠিন যে কীভাবে এত ছোট পাখি এরকম ভয়ংকর পরিবেশে টিকে থাকে।’ তবে হারিকেন সব সমুদ্রপাখিদের জন্য উৎসব আনে না। এর আঘাতে ভেঙে পড়ে প্রবাল প্রাচীর, নষ্ট হয় কচ্ছপের ডিম পাড়ার জায়গা, ভেসে যায় ঝিনুক ও শামুকের খামার। অনেক সময় হাজার হাজার সামুদ্রিক পাখিও খাবারের অভাবে মারা পড়ে। ২০১৩ সালের এক শীতকালীন ঝড়ে ইউরোপের উত্তর-পূর্ব উপকূলে প্রায় ৬০ হাজার মৃত পাখি ভেসে এসেছিল তীরে। এটি ডেসার্টাস পেট্রেল। এই প্রজাতির পাখিরা সবচেয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে খাবার সংগ্রহ করে তবে ডেসার্টাস পেট্রেলরা অন্যরকম। ২০১৫ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম তাদের পায়ে জিপিএস ট্র্যাকার বসিয়ে দেখেন, পাখিগুলো এক টানে আফ্রিকা থেকে আমেরিকার নিউ ইংল্যান্ড উপকূলে ১২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যায়, তারপর আবার ফিরে আসে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই ঝড়ের পথে উড়ে গিয়ে খাবার খুঁজে নেয়। গবেষক দল ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৩৩টি পাখিকে ট্র্যাক করে দেখেছে, তারা একের পর এক হারিকেনের পিছু নিয়েছে। অন্য পাখিরা ঝড় এড়িয়ে গেলেও এসব পাখিদের ব্যাপার পুরোটাই উলটো। তাদের বিশেষ কৌশল হলো, ডাইনামিক সোয়ারিং অর্থাৎ বাতাসের গতি ব্যবহার করে ডানা না ঝাপটিয়েই হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করা। গবেষক ফ্রান্সেস্কোর মতে, কবুতর আকারের সামুদ্রিক পাখিটি হারিকেন খুঁজে বের করতে সক্ষম উত্তর আটলান্টিকের বাতাস যেন তাদের মানচিত্র। তারা জানে কোন পথে বাতাস বইবে, কোন সময়ে ঝড় উঠবে। ফলে খাবারের খোঁজে তারা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যায়। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ছোট্ট ভেরি থ্রাশ নামের গায়ক পাখি ঝড় এড়াতে আলাদা কৌশল নেয়। ঝড়ের মৌসুম বুঝে তারা ডিম পাড়ে কম, বাসা ছেড়ে আগেভাগেই চলে যায়। বিজ্ঞানীরা এখনো খুঁজে বের করতে পারেননি তারা কীভাবে ঝড়ের আগাম আভাস পায়। —বিবিসি






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply