ইসরাইলের হামলা ‘আমাকে এখন কে বাবা ডাকবে?’, ১০৩ স্বজন হারানো ফিলিস্তিনির আহাজারি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় স্ত্রী-সন্তানসহ ১০৩ জন স্বজনকে হারিয়েছেন আহমাদ আল-গুফেরি নামের এক ব্যক্তি। পরিবারের সদস্যরা যখন অকাতরে প্রাণ দিচ্ছেন, তখন অধিকৃত পশ্চিম তীরের শহর জেরিকোতে আটকে ছিলেন তিনি। কিন্তু ফিরে গিয়ে যে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের কাউকেই আর দেখতে পাবেন না, সেটি হয়তো কখনো কল্পনাও করেননি আহমাদ। তার সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তিন মেয়ের সঙ্গে আহমাদ আল-গুফেরি। ছবি: সংগৃহীত
তিন মেয়ের সঙ্গে আহমাদ আল-গুফেরি। ছবি: সংগৃহীত আন্তর্জাতিক ডেস্ক ৩ মিনিটে পড়ুন গত বছরের ৭ অক্টোবর হঠাৎ করেই হামাস যখন ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণ করে, তখন দেশটির রাজধানী তেল আবিবে একটি নির্মাণক্ষেত্রে কাজ করছিলেন আহমাদ। ওই দিনই যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় ইসরাইলি সেনাদের বাধার মুখে গাজায় রেখে যাওয়া স্ত্রী আর তিন মেয়ের কাছে ফিরতে পারেননি তিনি। তখন থেকে ফোনে সংযোগ পেলেই স্ত্রী-সন্তান এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতেন আহমাদ। তিনি জানান, প্রাণ হারানোর শঙ্কা থেকে তার স্ত্রী শিরিন বার বার তার কাছে কোনো ভুল করে থাকলে মাফ চাইছিলেন। আহমাদ বলেন, সে জানতো সে মারা যাবে। কখনো আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকলে তার জন্য সে বার বার তাকে মাফ করে দেয়ার কথা বলতো। আমি তাকে বলেছিলাম, এসব বলার প্রয়োজন নেই। সেটাই ছিল তার সঙ্গে আমার শেষ কথা। গত ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আহমাদের চাচার বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। এতে তিনি তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে তালা, লানা ও নাজলাকে হারান। হামলায় তার মা, চার ভাই, তাদের কয়েকজন চাচা-চাচী ও তাদের ছেলে-মেয়েরা নিহত হন। আরও পড়ুন: ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গুলি, নিহত ১০ আহমাদ বলেন, একশ জনের বেশি (তার পরিবারের) মানুষ মারা গেছে। হামলার পর দুই মাস কেটে গেছে। এখনো বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে কারও কারও লাশ চাপা পড়ে আছে। গত সপ্তাহে ছিল আহমাদের ছোট মেয়ে নাজলার দ্বিতীয় জন্মদিন। আহমদ এখনও চেষ্টা করছেন এত বড় ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে। তিনি তার সন্তানদের মৃতদেহ স্পর্শ করার বা কবর দেয়ারও সুযোগ পাননি। এখনো মেয়েদের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না আহমাদ। তিনি বলেন, আমার মেয়েরা আমার কাছে ছোট্ট পাখির মতো। আমার মনে হয় আমি কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছি। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আহমদ আল-গুফেরি। ছবি: সংগৃহীত কান্নাভেজা চোখে তিনি আরও বলেন, গাজায় আমার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। আমি এখন কার জন্য গাজায় ফিরে যাবো? আমাকে কে বাবা ডাকবে? আমার স্ত্রী বলতো আমি তার জীবন। এখন আমাকে কে এসব বলবে? আরও পড়ুন: খাবার না পেয়ে মারা গেল গাজার দুই মাসের শিশু সেদিনের হামলায় বেঁচে যাওয়া কয়েকজন প্রতিবেশীর কাছে থেকে আমহাদ ঘটনার বিবরণ শুনেছেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেদিন প্রথম একটি ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের বাড়িতে প্রবেশের ফটকে আঘাত হানে। আমার বাড়ির লোকজন দৌড়ে কাছেই আমার চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ১৫ মিনিট পর বিমান থেকে চাচার বাড়িতেও বোমা ফেলা হয়।’ আহমদের বেঁচে যাওয়া এক আত্মীয় হামিদ আল-গুফেরি বিবিসিকে বলেন, হামলা শুরু হওয়ার পর যে কয়েকজন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যেতে পেরেছিল, কেবল তারাই বেঁচে গেছে। যারা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল তারা সবাই মারা গেছে। হামিদ বলেন, ১০ মিনিট পর পর আমাদের আশপাশের আরও চারটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে হাতেগোণা কয়েকজন ছাড়া সবাই নিহত হন। আরও পড়ুন: গাজায় নিরাপদে খাদ্য পৌঁছানোই বড় চ্যালেঞ্জ: জাতিসংঘ গুফেরি পরিবারের নিহত সদস্যদের মধ্যে ৯৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা থেকে শুরু করে মাত্র ৯ দিন আগে জন্ম নেয়া একটি শিশুও ছিল বলে জানিয়েছেন আহমাদ। সূত্র: বিবিসিSlider
বিশ্ব
জাতীয়
মেহেরপুর জেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
মেহেরপুর সদর উপজেলা
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
English News
»
politics
»
world
» ‘আমাকে এখন কে বাবা ডাকবে?’, ১০৩ স্বজন হারানো ফিলিস্তিনির আহাজারি
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: